আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ম্যাচের দাম কেন এখনও ১টাকা থাকবে? চিতায় পোড়ানোর খরচ বৃদ্ধি করা হোক

যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে

একবার আমার পকেট থেকে দুইটা পাঁচশ টাকার নোট পিকপকেট হলো। টের পেয়ে মেজাজ গেল খিচড়ে। আরেক পকেটে খুঁজে পেলাম একশটাকার একটা নোট। যাচ্ছিলাম বাজারে। সামনে একটা ভিক্ষুক পড়তেই একশটাকা দিয়ে দিলাম তার হাতে গুজে।

কি আর হবে একশ টাকা থেকে! পুরো নাই হয়ে মনে হলো যা শালা, যাবি যখন সব যা! আমার দশা হয়েছে এমন। কোন কিছু কিনতে গিয়ে যদি দেখি আগের দিনের দাম এখনও বর্তমান আছে হোচট খাই। আর যদি শুনি গত একমাসে পরিবর্তন হয় নাই, তাহলে তো আরো তাজ্জব বনে যাই। আগের দিনের দাম মনে থাকে না বলে নিশ্চিত হয়ে নেই, দাম ঠিকঠাক বেড়েছে কিনা। না বাড়লেই অস্বস্তি।

শরীর গুলাতে থাকে। মনে হয় গন্ডগোল বেধেছে। মোটামুটি এই কয়েক মাস সুস্থ্যই ছিলাম। প্রতিদিন নতুন নতুন দামে পন্য ক্রয় করতে পারি। থ্রিলিং থ্রিলিং ভাব একটা।

গেজবলের মত, কি কি কিনতে পারবো, আর কি কি বাস্তবিকই পারি না এইসব শূণ্যপূরণ করা দারুণ একটা রোমাঞ্চকর খেলা হয়ে গেছে। তবে গতকাল ম্যাচ কিনতে গিয়ে হঠাৎ মনে হলো, কত দিন আগে বেড়েছে এই ম্যাচের দাম! ৫০ পয়সা থেকে ১ টাকা হয়েছে পনের ষোল বছর হবে। আর এখনও এক টাকা! ঘোরতর অন্যায়, ম্যাচের দাম না বাড়িয়ে চিতায় পোড়ানোর খরচ হাতের নাগালে রাখার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অনতিবিলম্বে ম্যাচের দাম দু্ই টাকা করা হোক। কমমূল্যে আগুণ খরিদ করার সুযোগ উন্মুক্ত রাখা ঠিক নয়।

যেকোন সময় পাবলিক আগুণ জ্বালিয়ে দিতে পারে সরকারের গদিতে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.