আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

স্কুলের ছেলেমেয়েদের সরকারী অকথ্য নির্যাতন, দুর্নীতির প্রথম পাঠ

যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে

প্রধানমন্ত্রী আসবেন তো মফস্বল শহরগুলোর প্রশাসন মোটামুটি প‌্যান্ট-জাইঙ্গা খুলে দৌড়াতে শুরু করে। স্কুল কলেজ থেকে ছেলেমেয়ে সংগ্রহ করো, তারপরে ঘন্টার পর ঘন্টা রাস্তার দুইপাশে খাড়া করো তাদের। প্রধানমন্ত্রী দেখে বিগলিত হন, তারপর উন্নয়ন হেগে দেন রাস্তার দুই পাশের কোমলমতি ছেলেমেয়েদের কপালে। ছেলেমেয়েরা দেখতে দেখতে বুড়ো হয় কিন্তু প্রধানমন্ত্রীদের প্রতিশ্রুতি আর পালিত হয় না। এখন দুর্নীতির বিরুদ্ধে বেরাজনৈতিক সরকারের রাজনৈতিক আচরণ সেই তমসাচ্ছন্ন কালের মতই।

স্কুল কলেজে ছেলেমেয়ে ঠিকমত যাচ্ছে কিনা সেটা না যত কঠোরভাবে সরকার পর্যবেক্ষণ করে তার চেয়ে এমন রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে স্কুলের সব ছাত্র-ছাত্রীকে বাধ্যতামূলকভাবে অংশগ্রহণের চাপ থাকে সর্বোচ্চ। হেডমাস্টাররা বলে থাকেন, আজ কোন নিস্তার নাই, সবার আসা ফরজ! সেই ছেলেমেয়েরা রাস্তার দুইপাশে প্রজার মত দাড়িয়ে থেকে হাত নাড়ে। রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে, ক্ষুধার্ত পেটে অসহায় দাড়িয়ে থাকে। পিতা-মাতা জানতেও পারে না তার বাচ্চাটা এখন সরকারী চুতিয়াদের খপ্পরে। গণসচেতনতা দরকার ঐ বাচ্চাকাচ্চাদের বাপমাদের।

দরকার তাদের চাচা-মামাদের। ফুলের মত নিস্পাপ বাচ্চাদের ঘন্টার পর ঘন্টা সরকারী অনিয়ম আর বর্বতার দেখানোর কোন মানে নেই। ছেলেমেয়েরা নিজের চোখে দেখে নিল এই সরকারের কথার কোন ভরসা নেই। একটা সামান্য শোভাযাত্রার টাইমটেবিল ঠিক করে জানাতে পারে না এই মোবাইলযুগে এসেও! সরকারী, রাজনৈতিক যেকোন শোভাযাত্রায় স্কুলের ছেলেমেয়েদের এমন রাজনৈতিকভাবে ব্যবহারের নামে নিপীড়নের প্রবণতা বন্ধ করতে হবে। আমরা আমাদের সন্তানকে সরকারী অনিয়ম ও দুর্নীতির সাথে এখনই পরিচয় করিয়ে দিতে পারি না।


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.