আমি জাহান্নামের আগুনে বসিয়া হাসি পুস্পের হাসি
ছবি পরিচিতি:
২০০৭ সালে শিবলী ভাইয়ের ছেলে রোদের জন্মদিনে পেছনে বাম থেকে কাজী শাহেদ, শিবলী নোমান (কোলে রোদ) ও উজ্জল ভাই এবং সামনের সারিতে সালাহউদ্দীন মুহম্মদ সুমন, মেহেরুল হাসান সুজন এবং হাসনাত রাব্বী বাপ্পী।
পূর্ব প্রকাশের পর:
সকাল ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে প্রতিদিন ক্যাম্পাসে উজ্জল ভাইয়ের সঙ্গে দেখা হতো। এরপর রাত ১২টা-১টা অব্দি একসঙ্গে। সারাটা দিন তার সঙ্গে আমি, সিরাজ ভাই আর বাপ্পী ভাই। কিছুদিন পর সালাহউদ্দীন মুহম্মদ সুমন আমাকে বলল, দোস্ত আমাকেও নে না তোদের সঙ্গে।
উজ্জল ভাইকে বললাম সে কথা। ব্যস, আমাদের সঙ্গী বাড়লো। সারাদিন ক্যাম্পাসে এদিক সেদিক ঘুরতাম সবাই মিলে। সবার কাছে আমরা পরিচিত হতে শুরু করলাম 'উজ্জল বাহিনী' নামে। একসাথে খাওয়া, একসাথে আড্ডা দেয়া সব যেন একই সুতোতে গাঁথা।
২০০৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি উজ্জল ভাই আমাকে সকাল বেলা বললেন, সমকালের শিবলী ভাইয়ের অফিসে যা তো এখুনি। উজ্জল ভাই যখন যা বলেছেন, আমরা কেউই কোন কথা না বলে তা করতাম। তাই তখনই ছুট দিলাম সমকাল অফিসে। কয়েকদিন আগেই শিবলী ভাইয়ের সঙ্গে পরিচয় হয়েছে উজ্জল ভাইয়ের মাধ্যেম। অফিসে গিয়ে শিবলী ভাইয়ের সঙ্গে অনেক আলাপ হলো।
১৪ ফেব্রুয়ারি কাজ শুরু করলাম সমকাল-এ। সেসসময় সমকাল এবং আমারদেশ-এর রাজশাহী অফিস একই ভবনের একই তলায় ছিলো। ফলে, পত্রিকা চেঞ্জ হলেও সারাটা দিনই প্রায় উজ্জল ভাইয়ের সঙ্গে থাকতাম। একসাথে অফিসে যাওয়া, ফেরা এবং গভীর রাত পর্যন্ত বিনোদপুরে মানিকের দোকানে আড্ডা দেয়া সবই চলছিল।
সমকাল-এ কাজ শুরুর পর উজ্জল ভাই বললেন, বড় মুখ করে তোকে শিবলী ভাইয়ের কাছে পাঠিয়েছি।
মুখটা রক্ষা করিস। শুধু বলেই ক্ষান্ত হলেন না বরং, বিভিন্ন নিউজের আইডিয়া এবং ক্যাম্পাসে বিভিন্ন সোর্সের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলেন উজ্জল ভাই। কোথায় গেলে কোন নিউজ পাবো সবই বলে দিলেন।
উজ্জল ভাইয়ের নিয়ম ছিলো সাংবাদিকতা বিভাগে নতুন বছরে যারা ভর্তি হয় তাদেরকে সাংবাদিকতায় আসার জন্য আহ্বান করা। আমরা ফার্স্ট ইয়ার এলেই দলবেধে ক্লাশরুমে গিয়ে এ আহ্বান জানাতাম।
উজ্জল ভাইয়ের কথা ছিলো- সাংবাদিকতার ছাত্ররা যদি সাংবাদিকতা না করে তাহলে কে করবে রে? ২০০৬ সালের মাঝামাঝিতে উজ্জল ভাইয়ের হাত ধরে আমাদের সঙ্গে সাংবাদিকতা শুরু করলো ফার্স্ট ইয়ারের এহসান, কাইয়ূম ও আবু সায়েম।
আগেই বলেছি, ক্যাম্পাসে সাংবাদিকদের দুইটা গ্রুপ ছিলো একসময়। একগ্রুপ ছিলো প্রেসক্লাবে, অন্যটি লাইব্রেরির পেছনে আমতলায় বসত। আমরা শেষের দলে ছিলাম। ২০০৬ সালের জুলাই মাসে উজ্জল ভাই এই আমতলা গ্রুপের জন্য একতটি প্ল্যাটফর্ম করার চিন্তা করলেন।
কথা বললেন, তার বন্ধু যুগান্তরের জোহা ভাই, প্রথম আলোর বাবু ভাই এবং সোনালী সংবাদের মুনসুর ভাইয়ের সঙ্গে। তাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ৭ জুলাই ২০০৬ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি গঠন করা হলো। উজ্জল ভাইয়ের কথা ছিলো-আমরা দীর্ঘদিন ধরে আমতলার সাংবাদিক বলে পরিচিত ছিলাম। বসার কোন জায়গা ছিলোনা। দুদিন পর চলে যাব।
কিন্তু তোদের জন্য বসার একটু জায়গা হয় সেজন্যই এই প্রচেষ্টা। তার কথায় আমরা নতুন স্বপ্ন দেখতে শুরু করলাম। ...
(চলবে...)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।