আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তিনি আমাদের উজ্জল ভাই-০১

আমি জাহান্নামের আগুনে বসিয়া হাসি পুস্পের হাসি

সাংবাদিকতা করব বলেই ভর্তি হয়েছিলাম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে। ২০০৫ সালের মার্চ মাসে তাই নিজ এলাকার পত্রিকা দৈনিক বগুড়ায় নিউজ পাঠানো শুরু করলাম। তখন ফার্স্ট ইয়ারের ছাত্র ছিলাম বলে ক্যাম্পাসে কীভাবে সাংবাদিকতা করতে হয় জানা ছিলোনা। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাই একটা অন্ধকারের ভেতর বাস করে সাংবাদিকতায় ছিলাম। সেবছরের সেপ্টেম্বরে পরিচয় হলো তার সঙ্গে।

আমাদের নবীন বরণের রিহার্সেল চলছিল বিভাগের সেমিনার লাইব্রেরিতে। উনি কাকে যেন বলছিলেন, এই তোদের ফার্স্ট ইয়ারের কেউ সাংবাদিকতা করবে নাকি? এটা শুনে আমার বন্ধু রাব্বানী আমাকে দেখিয়ে দিলো। উনি বললেন, এই ছোড়া? একে দিয়ে হবেনা। কিরে , করবি নাকি? আমি হচকিয়ে গেলাম। বলে কি ব্যাটা? সাংবাদিকতা করবো বলে সব ছেড়ে এখানে পড়ে আছি।

বললাম, ভাই করবো। উনি বললেন, নাম কি? নাম বললাম। আমার নাম আনিসুজ্জামান উজ্জল। আমার দেশ-এ কাজ করি। নবীন বরণ শেষে আমার সঙ্গে দেখা করবি।

দেখি কেমন কাজ করতে পারিস। এভাবেই উজ্জল ভাইয়ের সঙ্গে আমার পরিচয় এবং সাংবাদিকতার হাতেখড়ি। সেপ্টেম্বরেই কাজ শুরু করলাম বার্তা সংস্থা এনএনবি-তে। ধীরে ধীরে তারন সঙ্গে জড়িয়ে যেতে শুরু করলাম। যতদিন তিনি ক্যাম্পাসে ছিলেন এরমধ্যে আমরা দুজনই রাজশাহীতে আছি অথচ আমাদের দেখা হয়নি-এমন দিনের কথা আমার মনে পড়েনা।

এনএনবি-তে যখন কাজ শুরু করলাম তখন আমি কম্পিউটারের কিছু জানতাম না। উজ্জল ভাইয়ের অফিসে বসতাম। দুপুর ২টার বাসে আমি, বাপ্পী(আজকের কাগজের হাসনাত রাব্বী) ভাই এবং সিরাজ (মানবজমিনের) সিরাজুল ইসলাম যেতাম উজ্জল ভাইয়ের অফিসে। থাকতাম রাত ৮টা-১০টা পর্যন্ত। কোন কাজ নেই।

উজ্জল ভাই নিউজ করতেন আর আমাদের পাশে বসে দেখতে হতো। মাঝে মাঝে আমাদের (বিশেষ করে আমাকে ) কম্পিউটার জ্ঞান দিতেন। এভাবেই চলছিল। .... (চলবে)

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.