আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভ্রমণ: সিডরের পরে, নার্গিসের সাথে - ১

হয়তো আমি কোন কিছু সম্পর্কে নিশ্চিত নই

অফিসিয়াল কাজে কোথাও গেলে সেটাকে ভ্রমণ বলা উচিত কিনা, তা নিয়ে প্রায়ই দ্বিধায় ভুগি। ভ্রমণের দিক দিয়ে বিচার করলে এই ধরনের বেড়ানোতে সুবিধা-অসুবিধা দুটোই আছে। প্রথম সুবিধা হচ্ছে, পুরো খরচাপাতি যায় অফিসের ঘাড়ে। তাছাড়া অফিস ট্রান্সপোর্ট থাকায় যাতায়াতের চিন্তা করতে হয় না। দ্বিতীয় সুবিধা হচ্ছে, থাকা-খাওয়া নিয়ে কোনো দুশ্চিন্তা বা টেনশন করতে হয় না।

সবকিছু ঠিক করাই থাকে। তৃতীয় সুবিধাটি হলো, যখন যেখানে খুশি নেমে পড়া যায়, ইচ্ছে হলে আশপাশের দু’একটি এলাকা বাড়তি ঘুরে আসা যায়। অসুবিধাও কম নয়। মূল অসুবিধা হচ্ছে, প্রথমে অফিসিয়াল কাজটি সেরে ফেলতে হয়; তারপর নিজের ইচ্ছেমতো যাওয়ার পালা। কখনো কখনো এমন হয়, সারাদিনই কাজ করতে হয়।

ফলে সেদিনকার মতো ঘুরাঘুরিটা শেষ। দ্বিতীয় অসুবিধা হচ্ছে, মাথার মধ্যে ‘অফিস’ বিষয়টি ঢুকে থাকায় বিশুদ্ধ ভ্রমণের আমেজ পাওয়া যায় না। তবে ভ্রমণের ষোলআনা ইচ্ছে থাকলেও অর্থ ও সময়ের অভাবে যারা নিরূপায়, তাদের জন্য এই অসুবিধাগুলোকে উপেক্ষা করাই ভালো। একটি কথা এখানে বলে রাখা দরকার। অফিসিয়াল কাজে মাঝেমাঝেই যেতে হয় বিভিন্ন জেলা-উপজেলায়।

এক্ষেত্রে স্থান নির্বাচনের প্রসঙ্গ আসলে চেষ্টা করি এমন এলাকায় যেতে, যেখানে হয়তো অফিসিয়াল কাজ ছাড়া আর কখনোই যাওয়া হবে না। ফলে, বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানগুলো যাওয়ার প্রসঙ্গ আসলে অনায়াসেই অন্য সহকর্মীদের কাঁধে চাপিয়ে দিয়ে আমি নিশ্চিন্তে চলে যাই পটুয়াখালীর দশমিনা, কুমিল্লার হোমনা, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর কিংবা বগুড়ার সোনাতলায়। এই ধারাবাহিকতায় এবারে যে জায়গাগুলো ঠিক করলাম, তার মধ্যে একটি ছাড়া বাকিগুলো তেমনই অবহেলিত সাদামাটা উপজেলা সদর। ব্যতিক্রম কেবল কলাপাড়া, যেখানে কুয়াকাটা নামক বিখ্যাত জায়গাটি অবস্থিত। এছাড়া আমাকে যেতে হয়েছে বাগেরহাটের শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ, রামপাল, পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ, দশমিনা এবং বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলায়।

উল্লেখ্য, বাবুগঞ্জ এবং রামপাল ছাড়া বাকিগুলো মোটামুটি সিডর-আক্রান্ত। আর মাঝখানে পরিকল্পনা না থাকলেও একটি রাত কাটাতে হয়েছে খুলনা শহরে। মে মাসের চার তারিখে একটি ভিটারা গাড়ি নিয়ে যে যাত্রা শুরু করেছিলাম, তার অনুত্তেজনাকর সমাপ্তি ১৫ তারিখে হলেও এই জায়গাগুলো আমাকে দিয়েছে একই বাংলাদেশের একই ধরনের ছবির ভিন্ন পরিবেশনার স্বাদ। কীভাবে? সে গল্প না হয় আগামী লেখা থেকেই বলা শুরু করি।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।