আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হইতো জোনাকি আর জ্বলত না...(২)

জোনাকি জ্বলা রাতে মন যেতে চাই তারা ছুতে

বুঝতে পারলাম সত্যি আমাকে টেনে বের করা হচ্ছে। বাইরে বের হবার পর মনে হল সত্যিই পৃথিবী অনেক সুন্দর। মনে হল আমার দ্বিতিয় জীবনের জন্ম হল। নবজন্মের সুখে দির্ঘশ্বাস ফেললাম। তখন চারিদিকে অনেক আলো বুঝতে পারলাম আমার আশে পাশে অনেক লোকজন।

তারপরে অমি আর কিছুই জানিনা... ঞ্জ্যান ফেরার পর দেখলাম আমার আশে পাশে টিচাররা। আমাকে ইমারজেন্সি রুমে রাখা হয়েছে। আর আমার পাশের বেডে আমার ফ্রেন্ডরা। এদিকে আমার নাক মুখ দিয়া কাদা বের হচ্ছে তার সাথে সামান্য শ্বাসকষ্ট। টিচার আমার কাছে আমার বাসার নাম্বার চাইল।

কিন্তু আমি ভয়ে ছিলাম। কারন আমার আব্বু হার্টের রুগি আর আম্মুও দূর্বল মানুষ। শেষে কিছু অঘটন না ঘটে যায়। এরি মধ্যে দেখি আব্বু আম্মু এসে হাজির। পরে জানতে পারলাম আমার ফ্রেন্ড আম্মু আব্বুকে খবর দি্য়েছে ।

আম্মুর কান্না কান্না ভাব দেখে ভয় পেয়ে গেলাম। আসলে আমি তখনও বুঝতে পারছিনা আমার কথায় লেগেছে। টিচারের কথাতে বুঝতে পারলাম আমার কপালে কিছু একটা হইছে। পরে পায়ের দিকে খেয়াল করে দেখি পায়ের হাটু পুরা তরমুজ ফাটা হয়ে আছে। আম্মুর কান্না থামনর জন্য বললাম আমার বেশী কিছু হয়নি তো.... সব চেকআপ করার পর ডাক্তার বলল আমার এক সপ্তাহ হাসপাতালে থাকতে হবে।

(ধুরররর!!! আর ভদ্র ভাষাতে লিখবার পারতে ছিনা!!)ডাক্তারের কথা আমার কিছুই বুঝে আইল না। কারন আমার অন্য ফ্রেন্ডগো চি?কার দেইখা ভাবছিলাম আমার হইতো কম লাগছে তাগো থেইকা। পরে জানবার পারলাম আমি নাকি বেশি কাদা খাইয়া ফেলছি এই কারনে আমারে বাসাই পাঠায়া ভরসা পাইতেছে না। কাদা না খায়াই বা কই যায় দুপুর বেলা ক্ষুধাও লাগছিল এই কারনেই হইতো বেশী খাইছি ১ সপ্তাহ হাসপাতে থাকার অভিজ্ঞতাও বেশ। সবাই ঝাকে ঝাকে দেখবার আইতো।

আর আমার তো শুইয়া থাকত থাকতে মাজা মুরা ধইরা যায়তো। হাটব তারও উপায় নাই ঠ্যাং এ ব্যাথা। আর গাড়ির ডান বাম খেলাই তো পুরা হাড্ডির মুড়ি ভাজা হইয়া গেছে। তারউপর আয়নেতে নিজের সুরত দেখলে নিজেই ডরাই যায় । কপালের দাগ দেখে মনে হয় কারোর জুতার তলার বাড়ি খাইছি ।

এক্কে বারে জুতার তলার ডিজায়িন আমার কপালের উপর। ফ্রেন্ডরা আমারে দেখতে আইসা ক্ষেপাইত আর চামে আমার খাবার গুলান খাইয়া যাইতো। ! তারপরও ওরা আসলে মজা হত। কেউ কেউ আমারে দেখতে আসার নাম কইরা নার্চগো লগে টানকি দিতআর আমার খানাগুলান সাবাড় করত বাসাতে আসার পরও ১ পায়ে হেটে বেড়াতাম। কারন ব্যাথা তখনও যায়নি।

নেটে ফ্রেন্ডেগো কাছে কষ্টের কথা কইলাম। আল্লাহ্ আমারও একখানা ভাগ্য দিছিল। নেট ফ্রেন্ডরা আমার সমবেদনা তো দূরে থাক অরধেক বেদনাও করল না। এক নেট ফ্রেন্ড আমার পা ব্যাথা কথা শুইনা কইল"তুমি এই সুযোগ হাত ছাড়া কইর না, একটা ফুটা থালা হাতে রাস্তার মড়ে দাড়ায় পড়,ভালো ইনকাম হইব" হতচ্ছাড়া কুথাকার !!! আরেক নেট ফ্রেন্ডে উলটা আমারে ঝাড়ি দিল। কইল"ফ্রেন্ডের গাড়িতে উঠছিলা তুমার আব্বু জানে? ফ্রেন্ডের গাড়িতে উঠছ!ঠিকি হইছে!!" কি আর কমু! বাসাতে ফেরার পর বাংলাদেশ থেকে তো ফনের পর ফন আসতেছে।

সবাইরে এই গল্প শুনাইতে শুনাইতে মাড়িতে হিড়কি লাইগা গেল। নানি ফোন দিয়া কই "কি গো কাদা কেমুন খাইলা?" আমি চিক্কুর পাইড়া কইলাম" নানি তুমি মজা লও তাই না?" নানি কই"ঐ চুপ থাক ফুন দিয়া তোর মুখের কাদার গন্ধ আইতেছে" আমি তো হতবাক । আমার মান সম্মাম বুঝি এবার সব ফিতরা হইয়া গেল!! দেশে গিয়া কারো সামনে ঝাড়ি দিয়া কাথা কওয়ার দিন বুঝি ছিনতাই হইল!!! (ফটুকডা ঐ দিনের )

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।