আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হইতো জোনাকি আর জ্বলত না...(১)

জোনাকি জ্বলা রাতে মন যেতে চাই তারা ছুতে

জীবনে চলতে গিয়ে নানা রকম অভিজ্ঞতা হয়। এক জীবনের প্রতিটি পথে অনেক ছোট ছোট গল্প থাকে। ঠিক এমনই একটা গল্প... দিনটা ছিল শনিবার ২২ শে মার্চ ২০০৮। সেদিন কলেজে রেজাল্ট আনতে সব ভালো রকম ফিট ফাট হয়ে গিয়েছিলাম। রেজাল্ট দেখে তো খুসিতে কুটি কুটি।

চারিদিকে ফটুক তুলার হিড়িক লেগে গেছে। এই দিকে আমার টেনসনে মাথার গাম চুলে থুক্কু পায়ে পড়ছে। নাহ রেজাল্টের টেনসন না বাসাতে ফেরার টেনসন। আম্মু তাড়াতাড়ি বাসাতে ফিরতে বলছে। কয়েকজন ফ্রেন্ডরে পেলাম আমার মতই তাড়ার উপর।

তাদের সাথে কলেজ থেকে বের হলাম। বাইরে এসে দেখি কলেজের গাড়ি নাই। আর আমার কলেজ এমন ভাগাড়ে যেখানে টেক্সি পাওয়া আর ডুমুরের ফুল দেখা একই কথা। আমাদের বাইরে দাড়ায় থাকতে দেখে এক ফ্রেন্ড আমাদের মেইন রোড পর্যন্ত আগায় দেয়ার কথা কইল। সবাই যায়তে রাজি হইল কিন্তু আমার সমস্যা।

এক হইলো আমি অন্যের গাড়িতে উঠি না আরেক হইল গাড়িটা ছিলো পিকআপ গাড়ি। যদিও থাইল্যান্ডে পিকআপ গাড়ির ব্যাবহার বাংলাদেশের থেকে বেশী করা হয় কিন্তু আমার কাছে তো পুরা মালটানা গাড়ি মনে হয়। না বললেও অভদ্র দেখায় আবার এইদিকে তাড়া। উঠলাম ফ্রেন্ডের সাথে, ইচ্ছা করেই সবাই পিছে বসলাম হৈ হৈ করার জন্য। কিছু দূর যাওয়ার পর বুঝতে পারলাম গাড়ি চালক ফ্রেন্ড আরেক মটর সাইকেল চালক ফ্রেন্ডের সাথে পাল্লা ধরছে।

এক সময় মটর সাইলেক চালক গাড়ির আগে চলে গেলো তাকে ধরার জন্য গাড়ি চালক জোরে চলাতে শুরু করল । কিন্তু মটর সাইকেল চালক সাইড না দেয়ার কারনে তাকে বাঁচানর জন্য গাড়ি চালক ডানে মোড় নিলো। গাড়ি ডানের কেনালে পড়তে দেখে চালক আবার বামে মোড় নিল। আমাদের কলেজের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য রাস্তার ২ পাশে এই কেনাল আর সারি সারি গাছ। এই রকম ডানে বামে পড়ে পিছে আমাদের ঝাকা নাকা অবস্থা।

বামের মোড়টা এতো জরে ছিল যে আমরা যারা পিছে ছিলাম সব পড়লাম পানির মধ্যে.... প্রচোন্ড শ্বাস কষ্টের মধ্য দিয়ে নিজেকে আবিষ্কার করলাম অন্ধকার কাদার মধ্যে আর উপর থেকে আমার উপর ভারি কিছু চেপে আসছে। জোর করে ভারি জিনিসটাকে সরাতে চেষ্টা করলাম। বুঝতে পারলাম গাড়ির নিচে পড়েছি। হাতড়ে বের হবার কোন পথ খুজে পেলাম না। মনে হতে লাগল আজ হইতো আমার শেষ দিন।

মূহুর্তের মধ্যে মনে পড়ে গেল সকল প্রিয় মুখ। সারা জীবনের হিসাব নিকাস এক সেকেন্ডে চোখের সামনে ভেসে উঠল। এই দিকা আমার উপর ভারটা বাড়তে শুরু করেছে। আস্তে আস্তে আমাকে কাদার মধ্যে পুতে ফেলছে। আমি ভেবে নিলাম আজ আমি মরে যাচ্ছি।

আন্দাজেই হাতড়ে বের হবার পথ খুজতে শুরু করলাম। অন্ধকার আর শ্বাস কষ্টের মধ্য দিয়ে এক সময় মনে হল আমার হাত দরে কেউ টেনে বের করছে আমাকে...... (চলবে....) (এতো বড় লিখতে গিয়া হয়রান হইয়া গেছি) (ফটুকডা ঐ দিনের তোলা ক্লাস টিচারের সাথে)

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।