আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইউনূস সেন্টারের প্রতিক্রিয়া

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে কর অনিয়মের অভিযোগের প্রতিক্রিয়া গত রাতে ইউনূস সেন্টার এক প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছে, আয়কর অব্যাহতিতে আইনের কোনো বরখেলাপ হয়নি। বিবৃতিতে বলা হয়, নোবেলবিজয়ী প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস আয়কর 'ফাঁকি' দিয়েছেন এ রকম কোনো কথা এনবিআর বলেনি। এনবিআর বলেছে, তিনি আয়কর অব্যাহতি চেয়েছেন এবং আইন অনুসারে এনবিআর সে আয়কর অব্যাহতি দিয়েছে। এখানে আইনের কোনো বরখেলাপ হয়নি।

এনবিআরতার প্রতিবেদনে প্রশ্ন তুলেছে যে, সুপ্রিমকোর্টের রায় অনুসারে প্রফেসর ইউনূস একজন পাবলিক সার্ভেন্ট। পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে তাকে বিদেশ থেকে কোনো আয় গ্রহণ করতে হলে, পুরস্কার গ্রহণ করতে হলে, বিদেশে ভ্রমণ করতে হলে তাকে সরকারের অনুমতি নিতে হবে। অথচ কোনো সময় তিনি সেটা করেননি। এতে তিনি আইন ভঙ্গ করেছেন। সুপ্রিমকোর্ট রায় দিয়েছেন যে প্রফেসর ইউনূস একজন পাবলিক সার্ভেন্ট। এটাও রায়ে বলা হয়েছে ২০০০ সাল থেকে পরবর্তী ১১ বছর তিনি আইনবহিভর্ূতভাবে গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি পদে বহাল ছিলেন। এ সময় এমডি পদে বহাল থাকার তার কোনো এখতিয়ার ছিল না। এই ১১ বছরে তিনি গ্রামীণ ব্যাংক থেকে যে বেতন ভাতা ও সুবিধাদি পেয়েছেন এনবিআর বলছে তা ফেরত নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। অর্থাৎ ২০০০ সালের পর থেকে তিনি সুপ্রিমকোর্টের রায় অনুসারে আর পাবলিক সার্ভেন্ট ছিলেন না। যদি পাবলিক সার্ভেন্ট না থাকেন তবে ২০০০ সালের পরে প্রফেসর ইউনূসের বিদেশি আয় গ্রহণ ইত্যাদি ব্যাপারে আর সরকারের অনুমোদন নেওয়ার কোনো প্রশ্নই উঠে না। একজন প্রাইভেট নাগরিকের জন্য যে আইন প্রযোজ্য সে আইনেই তার উপর প্রযোজ্য হবে। অর্থাৎ এনবিআর যে অভিযোগ করছে সে অভিযোগের কোনো ভিত্তি আর থাকে না। প্রফেসর ইউনূস বিদেশ থেকে যেসব খাতে আয় করেন সেগুলো হলো বক্তৃতা, তার লিখিত বই এর রয়েলটি এবং পুরস্কার যা করমুক্ত আয় হিসেবে তিনি প্রচলিত আইন অনুসারে দেখাতে পারেন যদি তা ব্যাংকিং চ্যানেলে নিয়ে আসেন। প্রফেসর ইউনূস সব সময় তার বৈদেশিক আয় ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে নিয়ম অনুযায়ী এনেছেন এবং প্রতিবছর আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার সময় সব আয় এনবিআরকে প্রদর্শন করে যখন যে কর ধার্য হয়েছে তা পরিশোধ করেছেন। তিনি সব সময় আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার সময় সব দেশি ও বিদেশি আয় প্রদর্শন করেছেন। কাজেই যারা কর ধার্য করেন তাদেরই দায়িত্ব হলো কোনটি আয়কর মুক্ত এবং কোনটির কর দিতে হবে তা নির্ধারণ করা। কর কর্তৃর্পক্ষ কোনো দিন এ ব্যাপারে কখনই প্রশ্ন করেনি। কখনই কোনো নোটিস কিংবা চিঠি এনবিআর তাকে দেয়নি।

ইউনূস শান্তির পক্ষে বলায় সরকার নাখোশ : বিএনপি

রাজনৈতিক বক্তব্যে 'নাখোশ' হয়ে সরকার নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে বলে দাবি করেছে বিএনপি। গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক থাকাকালে ইউনূসের বিভিন্ন 'অনিয়মের' বিরুদ্ধে মন্ত্রিসভা আইনি ব্যবস্থার সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রতিক্রিয়ায় এই দাবি করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। জাতীয় প্রেসক্লাবে গতকাল বিকালে 'নব্বইয়ের ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্রঐক্য' সংগঠনের উদ্যোগে তারেক রহমানের ষষ্ঠ কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। ডাকসুর সাবেক ভিপি আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির সহসভাপতি সাদেক হোসেন খোকা, সাবেক ছাত্রনেতা ড. আসাদুজ্জামান রিপন, ফজলুল হক মিলন, খায়রুল কবীর খোকন, নাজিম উদ্দিন আলম, হাবিবুর রহমান হাবিব, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, খন্দকার লুৎফর রহমান, সাইফুদ্দিন মনি, আসাদুর রহমান খান, হেলেন জেরিন খান, এ বি এম মোশাররফ হোসেন, রফিক শিকদার, আজিজুল বারী হেলাল, সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু প্রমুখ।

ড. মোশাররফ বলেন, দেশের ৯৫-৯৭ ভাগ মানুষ নির্দলীয় সরকারের পক্ষে। নোবেলবিজয়ী অধ্যাপক ইউনূসও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের পক্ষে কথা বলেছেন।

দেশের বাস্তবতা ও ভবিষ্যৎ শান্তির পক্ষে অধ্যাপক ইউনূস কথা বলেছেন বলেই সরকার এই আইনি ব্যবস্থার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকার কেবল ড. ইউনূসই নয়, বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া, তার ছেলে তারেক রহমানের বিরুদ্ধেও একের পর এক আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছে। আইনি ব্যবস্থার হুমকি মোকাবিলা করেই নির্দলীয় সরকারের দাবি আদায়ের ঘোষণা দেন মোশাররফ।

এদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য আ স ম হান্নান শাহ জাতীয় প্রেসক্লাবে জাসাসের এক আলোচনা সভায় বলেছেন, মেয়াদ শেষ হলে বাংলাদেশের মানুষ একদিনও আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় থাকতে দেবে না। মুন্সীগঞ্জের আড়িয়ল বিলে বিমানবন্দর বিরোধী আন্দোলনের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, সেখানে বাংলার মা-বোনেরা ঝাড়ু দিয়ে ঝেটিয়ে সরকারকে বিতাড়িত করেছিল। এবার গাজীপুরের গজারি লাঠি দিয়ে সরকারকে বিদায় করা হবে।

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.