আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বুদ্ধিজীবীর সংজ্ঞা কী?



সামরহায়্যর ইন ব্লগে ওয়ামীকে কেন্দ্র করে ব্রাত্য রাইসুর ছোঁড়া বিভিন্ন পোস্ট নিয়ে যে কুতর্কের কুরুক্ষেত্র ঘটেছে তাতে স্পষ্ট রূপে ২ টি বিভক্তি দেখা যাচ্ছে। এই ২ টি বিভক্তির তেমন কোন যৌক্তিক অবস্থানগত কারণ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। একদল সুশীল/ প্রতিবন্ধীজীবী/ দালাল এই বলে আরেক দলকে খারিজ করছে; অপরদিকে অন্য দল দাবী করছে বুদ্ধিবৃত্তিক আলোচনার। মানতে হয় ব্রাত্য রাইসু, মানস চৌধুরী, মাহবুব মোর্শেদ; এদের জ্ঞানচর্চার ওজন আছে এবং এরা যেকোন পরিস্থিতিকেই শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সামলে নিতে পারেন- তা বুদ্ধি দিয়েই হোক, তর্ক দিয়েই হোক। কিন্ত কথা হচ্ছে আমজনতার উচিত বুদ্ধির সাথে যখন তর্ক হয়, তর্কের ভাষা বা বৈশিষ্ট্য তখন কী হওয়া উচিত? সাধারণ মানুষ কোন তর্কের শুরুতেই তার উদ্দেশ্য সম্পর্কে সচেতন থাকে, কারণ তর্ক করে সিদ্ধান্তে আসার অভ্যাস তার গড়ে ওঠেনি।

এই সাধারণের উচিত বুদ্ধি থেকেই কিন্তু একজন আরজ আলী মাতুব্বর গড়ে ওঠেন। যেভাবে একজন সরদার ফজলুল করিম গড়ে ওঠেননি। অবশ্য এই দুজনকেই আবার খারিজ করে দেবার মানসিকতা রাখেন তেমন লোকের অভাব নেই। ব্লগে কোনকিছু নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে সচরাচরই দেখা যায় ব্লগাররা মূল যায়গা থেকে ছিটকে যান। ট্রেন্ডী ব্লগাররা অবশ্য খিস্তিখেউড় না করে পারবেননা আবার সিরিয়াস ও সাহিত্য ঘেঁষা যারা তাদের রয়েছে নিজেদের অবস্থান।

আসলে তর্কের জায়গাটাই বড় অদ্ভুত, তর্কে করো সঙ্গ দেয়ার অর্থ এই নয় যে তার বিশ্বাসের সঙ্গে সহবাস করা। তর্ক আগায় তার ধর্ম অনুযায়ী। এই তর্ক সবসময় বিতর্ক নাও হতে পারে। আমার মনে হচ্ছে রাইসু সেদিগেই আগাতে চাচ্ছিলেন। উদ্যোগটি নিঃসন্দেহে ভালো।

কিন্তু উদ্দেশ্যটির গোড়ায় ছিল আগাছায় ভরা। রাইসু চেয়েছিলেন তার এই প্যাকেজ তর্কানুষ্ঠানে বুদ্ধিজীবীদের আগমন ঘটবে বেশি কিন্তু তিনি হতাশ হলেন। তাহলে আমার প্রশ্ন- বুদ্ধিজীবি কীসে হয়? সাধারণ ও অ-সাধারণ ব্লগারদের কাছে আমি জানতে চাচ্ছি।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।