চলে যেতে যেতে বলে যাওয়া কিছু কথা
ব্রিটিশ মেডিকেল এসোসিয়েশন ব্রিটিশ সরকারে কাছে আবেদন জানিয়েছে এলকোহলের উপর ট্যাক্স বাড়ানোর জন্য। তাদের আরো দাবী ছিল এলকোহলের বিজ্ঞাপনের উপর যেন কড়াকড়ি আরোপ করা হয়। বিজ্ঞাপনগুলো যেন প্রচার করা হয় রাত নটার পর। সুপারমার্কেট কিংবা পাবগুলোতে মদ বিক্রি বৃদ্ধির যেকোন দায়িত্বহীন প্রচারনা অবৈধ ঘোষনার আবেদন করা হয়। ব্রিটিশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের নৈতিকতা এবং বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান নাথানসন সরকারের সমালোচনা করেন মদ বিক্রেতাত সাথে আতাত করার জন্য।
১৯৯১ সাল থেকে ২০০৫ সালের মধ্যে এলকোহলজনিত মৃত্যু ৪,১৪৪ জন থেকে দ্বিগুন হয়ে ৮,৩৮৬ জন হয়েছে। লিভার সিরোসিসের বৃদ্ধি ঘটেছে আশংকাজনকভাবে।
পিক আওয়ারে হাসপাতালের দূর্ঘটনা এবং ইমারজেন্সি বিভাগে ভর্তির প্রায় ৭০% ভাগ এলকোহলজনিত। ষোলর্ধ বয়সের ভর্তি ৯৫-৯৬ সাল থেকে ০৫-০৬ সালের মধ্যে দ্বিগুন হয়ে ১৮৭,৬৪০ জনে উন্নিত হয়েছে। একই সময়ে বাচ্চাদের এলকোহলজনিত ভর্তি একই সময়ে ৩,৮৭০ জন থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৫,২৮০ জনে উন্নিত হয়েছে।
এই রিপোর্টে স্থানীয় অথোরিটিকে লাইসেন্সের সংখ্যা হ্রাস এবং পাব-ক্লাবগুলোতে মদ পানের সময়েরও হ্রাসের আহ্বান জানিয়েছে।
আইনেরও ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে যাতে মদের কোম্পানিগুলো তরুনদের খেলাধুলা কিংবা সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠানগুলোর স্পনসর না হতে পারে।
তারা সুপারমার্কেটের মদের মুল্যহ্রাসের উপর নিষেদ্ধাজ্ঞার আহ্বান জানিয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার শহর এলিস স্প্রীংএ মদকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, শুধুমাত্র লাইসেন্স প্রাপ্ত ৯০টি পাব-ক্লাবে শুধু মদ পান করা যাবে।
ব্লগে অনেকে আহ্লাদ বশত: এলকোহলে প্রমোশনে সহায়ক মন্তব্য দিয়ে থাকেন এবং মনে করেন এটি পান করাটা খুব বেশি ইন্টেলিজেন্টদের জন্য অসম্ভাব্যি হয়ে পড়ে।
আমাদের মত গরীব দেশে মদ্যপানের ব্যাপারটি পাবলিক হয়ে গেলে এর পরিনাম যে কি ভয়াবহ হবে তা বলাই বাহুল্য।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।