আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

উদাসীর 'ৎ' ফিরা আসছে, সে তাতেই খুশী! এখন সবাই খাও ভূষি!

আসেন দুর্নীতি করি। আর এই দুনিয়াটাকেই খুচাই!

বাপে ইদানীং একটা কর্মসূচী হাতে নিছে। বড়ই বেতাইলা কর্মসূচী। এই বছরের টার্গেটও বাইন্ধা দিছে। মাগার মুশকিল হইলো এখন এইটা নিয়া একটা ডাইলেমার সৃস্টি হইছে।

বাপের এ বছরের লক্ষ্য হইলো আমাদের মূল আত্নীয় স্বজন হইতে শুরু কইরা ডালপালা, শাখা-প্রশাখা-উপশাখা-কান্ড-ডগা-মঘাটাইপ সকলের সাথে সুসম্পর্ক পূনর্গঠন আর পুনর্প্রতিস্ঠা করিতে হইবে। গত বছর প্রতিমাসে দেখা যাইতো গড়ে ২ টা বিয়ার ইনভাইটেশন আইতো, হিসাব কইরা দেখলাম টাইনা টুইনা বছর জুইড়া মাত্র ২খান বিয়ায় এ্যাটেন্ড করছি, তার মধ্যে একটা বিয়ায় বোরহানী নস্ট ছিলো দেইখা খাতিন্দার পার্টির লগে বাগড়া বাজাইছি, যদিও আমি বোরহানী খাইনা!বাগড়া বাজাইতে হয় তাও ফাও তালে একটা বাজাই! তা বাপের এই অদূরদর্শী সিদ্ধান্তের ব্যাকরনে এই সপ্তাহে মোট ৫ টা বিয়া, যার মধ্যে ৩ টা বিয়েতেই আমাকে এ্যাটেন্ড করতে হবে। বিয়া এ্যাটেন্ড করা ব্যাপার না, ব্যাপার হইলো যাইয়া ঐখানে খাড়াইয়া থাকন আর যারে দেখুম, চাই সে আত্নীয় হোউক কিংবা কম্যুনিটি সেন্টারের ওয়েটার কিংবা অন্য বাড়ীর কাজের বু্যা হোউক ভাব লইয়া খাড়াইলেই একটা সালাম দিতে হইবো আর কইতো হইবো আমি অমুকের সাওয়াল আমারে চিনছেন?বড়ই এ্যামবেরেসিং সিচুয়েশন! বহুদিন ঢাকার লুকাল বাসে চড়া হয় না। ইদানিং একটু শখ কইরাই চলি বইলা মনে হয়। তবে উঠলে সে কলেজ লাইফের কথা মনে পইড়া যায়।

কত আরামে উঠতাম, পুরা বডি থাকতো বাসের বাইরে, একটা হাত দরজার কোনো এক কোনা ধইরা আরেকটা ঠ্যাং বাসের কোনো এক চিপায় বাজাইয়া, আর পুরা বডি বাসের বাইরে রাইখা ঝুলা খাওয়া। এরকম ভাবে যাইতে মজাও আলাদা। বাস ভাড়া না দিয়া নাইমা যাওয়া, রাস্তায় যত সুন্দরী যায় তাগো এক নজর দেখা, হুট কইরা বইলা বসা,"আপা আপনের ওড়না চাক্কায় পেচায় গেছে!" অথবা" আপা আপনেরে হেভী সুইট লাগতাছে, মাগার দাতে কি লাইগা রইছে?" এখন আর এইসব করাও হয় না, ঝুলাও হয় না। তা সেইদিন লুকাল বাসে খাড়াইয়া যাইতেছি, এমুন সময় কন্টাক্টর আইসা ভাড়া চাইলো,"মামা ভাড়াটা?" -আমি তোর মামু লাগি কোন রিসতায়? -তালতো রিসতায়। অহন ভাড়া দেন নাইলে আন্কেল কমু! -শ্বশুড়ের নাতী রাস্তা ভইরা তালতো খালতো বানাও নাকি? -আরে না, আপনেগো মতো লোকের শ্বশুড়ের নাতী হইবার চাইনা দেইখাই এই রিসতা বানাই।

বুঝলাম আমার আগের পারফরমেন্স নাই। হুট কইরা ধরা খাইলাম! আসলে প্রাকটিস মানুষের জীবনের ভয়ন্কর অবিচ্ছেদ্য অংশ। প্রাকটিস না করলে মানুষের সকল কার্যক্ষমতায় বিশেষ ঘাটতী দেখা যায়। আমি ছোটকালে আলী কাকাকে দেখতাম হঠাত তার মাথা গরম হইয়া যাইতো। কথা নাই বার্তা নাই এলাকার ঝোপঝাড়ে গিয়া কচু গাছ কাটতো দাও দিয়া সমানে।

কাটনের একটা ভাব ছিলো, এক কোপ নাড়ানী দিতো কচু গাছের মাথায় এক সাথে এক ডজন দেড় ডজন কচুগাছের মাথা গায়েব। কি নৃশংস! আমি জিজ্ঞেস করলাম,"এত চেতেন কেন?কচু গাছ গুলানের যৌবন আছে না? এগুলান বুড়া হইলে মারেন, এখন মারতাছেন কেন?" আচায্য সে আমার কথার উত্তরও দিলো না। সমানে তার দাও চালাইয়া যাইতাছে। আমি তার বিরুদ্ধে আমাগো ব্লগের ফারজানা মাহবুবার মতো জনসচেতনতা মূলক কার্যক্রম হাতে নিলাম আমাদের ঝিমাইনা এলাকায় যার নাম: "কচু গাছ বাচাও!" মাগার আমার কর্মসূচি পয়লাতেই ধরা। আমার আব্বাজান আমারে কয়,"আরে সামনে কোরবানীর ঈদ, আর ও হইলো কসাই, মাঝে মাঝে গরু কম কাটে দেইখা হাতের নিশানা ঠিক রাখতে ও সেই প্রাকটিস করে!" আমি তখন মহাশূন্য থিকা ফাল দিয়া পড়লাম।

আমি এখন কি নিয়া প্রতিবাদ করুম বুঝতাছি না, গরু নিয়া না কচু নিয়া? একটা কিছু নিয়াতো প্রতিবাদ করতে হইবো, হঠাত কইরা তখন নিজেরে বেকার মনে হইতো! সেইদিন বইমেলায় গেছিলাম, যেইটা একটা পোস্ট আমি অলরেডী ফাইদা ফেলাইছি। তয় কিছু অনু গল্প এখনও অপ্রাকাশিত। যেমুন সেই দিন এক স্টলে খাড়াইয়া কিছু বই দেখতছিলাম। হঠাত গেব্রিয়াল গার্সিয়া মার্কেজের একটা অনুবাদ পেলাম, গল্পের নামটা ছিলো অনেকটা এরকম "আমার বেশ্যারা "। জানি না এটা কেমন লিখেছে তবে ওনার নিঃস্বঙ্গতার ১০০ বছর পড়ে আমি ওনার ভক্তই ছিলাম।

আমি পাশে দাড়ানো হলুদ শাড়ী পড়া মেয়েটাকে জিজ্ঞেস করলাম, "রেট কত?" -কি? (একটু উচ্চস্বরে) -এই বইটার রেট কত?কিনবার চাই, কমিশন দিবেন নাকি পুরা দাম রাখবেন? -কি বলতে চান এসব? আমি কি স্টলের লোক নাকি? -কন কি তাইলে আপনি স্টলের ভিতর কেন? তার উত্তর ছিলো বাইরে ভীড় দেখে সে এখানে বসতে এসেছে। আশ্চর্য দুনিয়ায় কে কোথায় থাকে তার পজিশনটার দিকে খেয়াল করেনা। ইদানিং আমারও বুঝতে সমস্যা হয় কে কি হয় কেমন হয়? হয়তো কোনো একদিন বৌকে নিয়ে শাড়ি কিনতে যাবো মার্কেটে আর বাসায় নিয়ে আসবো অন্য কোনো মহিলাকে। মাথাটার চিকিৎসার টাইম হইছে। তবে ব্লগে আমার একখান জিনিস ফিরা পাইছি আবার সেইটা হইলো আমাগো পরানের 'ৎ'।

কতদিন এর ব্লগে দেখি নাই। আমার পরানের খন্ডেক ৎ যুগ যুগ বাইচা থাকো আমাদের দিলের চিপায়!

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.