আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

উদাসীর উদাসনামা-২! এইবার ডাবল ফাউল!

আসেন দুর্নীতি করি। আর এই দুনিয়াটাকেই খুচাই!

একখান গল্প কই! একটা পুলা থাকতো চট্টগ্রামে। মেলা পুলাই থাকে মাগার গল্প আমার ঐপুলারে নিয়া। লেখাপড়ায় মোটামুটি ভালোই তয় সব সময় পুলাপানের সাথে আড্ডার উপরই চলতো , সবাই এক নামে চিনতো-মাইনে জনপ্রিয় সবার কাছে। বাপে মোটমুটি ৫০ পার কইরা ফেলাইছে, নিউমার্কেটে দোকান-ব্যাবসা খারাপ না।

তা আমাগো পুলাটা বড়ই উদাস-মাঝে মাঝে কবিতা লেখতো ছন্দ বৃত্ত ধারায়। মনে কর কোনো এক দিন জেগে উঠি ঘুমন্ত শহরে। শিশিরে ঢাকা প্রান্তরে খুজে ফিরি স্বপ্নে দেখা রাজকন্যা... কোবতে লেখতে লেখতে পুলা ইন্টার পাশ কইরা ঢুকলো চট্টগ্রাম ইউনিতে। তা আমাগো মজনু মিয়া একদিন একটা রিক্সা ঠিক করতে গিয়া ফুল কিনলো আনমনে হুদাই-মনে হয় টেকায় শুলাইতাছিলো হাতে। যখনই রিক্সা উঠবো তখনই ফিজিক্স ডিপার্টমেন্টের সামনে চোখে পড়লো এক সুন্দরীরে-মাশাল্লাহ বড্ড ঝাকানাকা।

মাগার সুন্দরী দেখি আগাইয়া আসলো তার দিকে, কইলো," আপনের হাতে ফুল, কিন্তু জীপার খোলা কেন?" ব্যাস মনটা ঐখানে দিয়া দিলো জীপার লাগানের আগেই। তারপর শুরু হইলো পাটা উল্টানির মতো দেখা সাক্ষাত, চোখে চোখ রাখা, আস্তানায় গিয়া চা খাওয়া। তো এক ভোরে সে রেডী হইলো-টার্গেট মজনু আমার অফার দিয়া ছাড়বো; আয় আইজকা। আইজকা সকালে ঝোকের মাথায় ফজরের নামায পইড়া ফেলাইলো আতকা কিল্লিগা হেয় নিজেও কইবার পারলো না। যাই হোউক, রাস্তায় বাইর হইয়া ক্যাম্পাসের গলিতে ঢুকলো,হঠাত দেখে দুই তিনজন ছেলে একসাথে আরেকটা ছেলেকে পিটাচ্ছে।

যারা পিটাচ্ছে তাদেরকে সে চেনে শিবির পার্টি হিসাবে মাগার যে মাইর খাওনের তালে তাকে সে চেনে না। হঠাত চোখের পলকে দেখলো পিটানেওয়লাদের একজন পাজামার মধ্যে থেকে বড় একটা ছোড়া বের করলো আর নিমিষেই গলায় বসিয়ে দিলো। মুহুর্তে ঘটে গেলো ঘটনা আর রক্তে সয়লাব চারিদিক। এরকম বিভতস ঘটনা ঘটে যাচ্ছে আর দেখা গেলো ঐ ৩ জন ছেলে জামাত সহকারে দুরাকাত নামাজ পড়ে ফেললো পাশেই। ততক্ষনে গলাকাটা ছেলেটা নিথর হয়ে গেছে।

ছেলে তিনটা কিছুক্ষন তাকালো নিথর ছেলেটার দিকে, তারপর সাধারন ভাবে হেটে চলে গেলো। এতক্ষনে আমাদের মজনু ভাইজান কি ঘইটা গেলো তা দেইখা কাপুনি শুরু হয়ে গেলো। শরীর ঘামে ভিজে গেলো। সে জ্ঞান হারাইলো ইনস্ট্যান্ট জায়গার পর। বেশ কিছুদিন পর বাবা বললো,"লন্ডনে চলে যাও।

লেখাপড়া ওখানেই শেষ করে আসো। "ইদানিং বাসা থেকে তেমন বের হয় না। লাইলি সে ঘটনার পর বাসায় একবার এসেছিলো দেখা করতে, কিন্তু তারপরে আর যোগাযোগ নেই। এদিকে আইইএলটিএস, কাগজপত্র যোগাড়, এ্যাম্বাসী ফেস, খুব দ্রুত কেটে গেলো কোনোরকম ঝামেলা ছাড়াই। শুধু শেষ যেটুকু মনে পড়ে মা খুব কেদেছিলো ওকে ঝরিয়ে ধরে।

লন্ডন ইউনিতে ভর্তি হলো। কিছুদিন পর খুব স্বাভাবিক মনে হলো মাগার একটাই সমস্যা হেভী খরচ পড়ালেখার। তাই কাজে নামতে হলো। প্রথমে কিছুদিন গাড়ি মুছার কাজ, তারপরে পেলো রেস্টুরেন্টে-সবমিলিয়ে খারাপ না। পড়ালেখা যা করে তাতেই দেখা গেলো সেমিস্টারে ঝাক্কাস গ্রেডিং।

নিজের রেজাল্টে নিজেই টাস্কি! যাই হোউক নেক্সট সেমিস্টারের ফি এর জন্য অল্প কিছু পাউন্ড বাকী। মাগার ক্রেডিট কার্ড আছে না, চিন্তা কি! শুরু হইলো নেক্সট সেমিস্টার, এদিকে ক্লাসের সুজান একটু বেশী সুন্দরী। খালি চারপাশে ঘুরঘুর করে। আর মনও চায় একটু বাতচিত করতে!কি আর করা, আমি হইলেতো প্রথমে আইসাই বাতচিত শুরু কইরা পুরা পাংখা, মাগার সে সেইটা করলো এক সেমিস্টার পর। ভালোই তো, মাগার পকেটখান খালি বিট্রে করে আর লগে চাকরির টাইম তো আছেই।

তাও যৌবন মানে না বাধা, প্রেম করলে সকলেই গাধা। দেখতে দেখতে আরেক খান সেমিস্টার আইসা পড়লো। মাগার হাতে এবার টাকা বেশী জমে নাই। ক্রেডিট কার্ড আছে তয় মনে হয় ঝামেলা আছে। ভিসা রিনিউ হইয়া যাইবো মাগার টাকা থুক্কু পাউন্ডের দরকার।

এদিকে কিছুদিন আগে খবর পাইলো বাপে নাকি একটা স্ট্রোক করছে, কিজন্য বিশেষ জানায় নাই, খালি কইছে বয়সের দুষ! সুজানরে একদিন মনের দুঃখে মজনু মিয়া বইলা ফেলাইলো। ফিরিঙ্গি লাইলি বইলা ফেলাইলো-নো চিন্তা ডু ফুর্তি। হের বাপের মেলা পাউন্ড। যাইয়া কথা কও। মজনু কইলো খারাপ কি? সব প্রবলেমের সলভ হয় খুব সহজেই।

গেলা শিনা টান কইরা। গিয়া দেখে সুজানের বাপ হইলো বিরাট লাটসাহেব। কায়দা বায়দা দেইখা টাস্কি খাওনের জোগাড়। কথা বার্তায় বোঝা গেলো ব্যাটা ক্যাথলিক। কইলো,"তুমি ভালা পোলা! তো নাম পাল্টাইয়া কি রাখবা?" প্রথমে একটা ধাক্কা খাইলো।

নাম পাল্টামু মানে, মুসলমান থুইয়া খ্রিস্টান হমু নাকি! কয় কি? ঝোকের মধ্যে বাতচিত করলো, কারন মজনু আছিলো ঘোরের মধ্যে আর দুই-তিনটান তো আছেই! মাথায় কিছু ঢুকতাছে না। সেই দিন আছিলো শুক্রবার। কাম থুইয়া গেলো জুম্মার নামাজ পড়বার। মেলা দিন পর পড়তে আসলো নামাজ। নামাজ শেষে দেখলো এক প্রৌড় বাপ তার পিচকা পুলারে টুপি পড়ায়া আনছে, বলতাছে কিভাবে সালাম দিতে হয়, কিভাবে নামাজ পড়তে হয়, কিভাবে মোনাজাত করতে হয়।

মনে পইরা গেলো কুটিকালের কথা। ওর বাপ একসময় তাবলিগ করতো। কুটিকালে ওরে প্রায় জুম্মাতেই লাভলেন নিয়া যাইতো। তখন নামাজের শেষে বাপে লেমনচুস কিন্যা দিতো। কত কথা বলতো, বলতো মানুষ কেমনে হওন যায়, কিভাবে মানুষের মতো বাচতে হয়।

বাপের কথা মনে পইড়া গেলো। চোখ দিয়া পানি পড়তে লাগলো মসজিদে বইসা। তারপর যতদূর জানি পোলাটা পড়া শেষ না কইরাই দেশে আইসা পরে। জামাত-শিবিরের ঐ হত্যাকান্ডের সাক্ষী হওন সত্বেও ও ঘাটায়তে যায় নাই কারন ওর এক বোইন আছে। যদি জানবার পড়ে ও ঐঘটনার সাক্ষী তাইলে আর যাই হোউক চট্টগ্রাম ছাড়বার হইবো তাগো।

তবে আল্লার অবশ্য বিচার আছে। লীগের পুলাপান কিন্তু এইটার বদলা ঠিকই নিছে। তিনটার মধ্যে দুইটার নাকি লাশ গুম কইরা ফেলায় যার জন্য থানায় কোনো কেস নাকি হয় নাই, আরেকজনের কোনো খবর নাই। যাই হোউক, মজনু মিয়া দেশে আসার কয়েক মাসের মধ্যেই বিয়া কইরা ফেলায়। আমারে দাওয়াত দেয় নাই, তয় সুজানরে দাওয়াত দিছে।

মেলা আনন্দ করছে, আর আমি রাগ কইরা একদিন ঢাকায় পাইয়া ইচ্ছা মত কি যে করছি আর কইলাম না! তয় আমি খুশী, কারন মজনুর গতকাল একটা পুলা হইছে, আর হেই পুলার আকিকার এ্যাডভান্স দাওয়াতও দিছে। আমি যামু ওর পুলার আকিকায়! দাওয়াতের ব্যাপারে আমার না নাই!

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.