আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঈমানী চেতনা: ১৯৭১, এবং -"জয় বাংলা"



ঈমানী চেতনা। আমরা সবাই বলি। বিশ্বাস করি বিশ্বাসীরা। আলোচনা করি। আসলে বস্তুটি কি? কিভাবে একে ধারন লালন বিকাশ করতে হবে।

তা আমাদের কোন ভিন্ন উপলদ্ধির মাত্রায় নিয়ে যায়? জয় বাংলা দিয়ে আমি এটাকে সহজে উপলদ্ধি করতে পারি!!!! আপনি কি মনে করেন আমার ভাবনা টা সঠিক?? যদি হ্যা হয় , তবে ধন্যবাদ। যদি আপনার মত না হয়.. সুন্দর করে আমাকে এই পোষ্টেই জানালে কৃতার্থ হবো। বিষয়টি এমন--- আমি বিশ্বাস করি। বিশ্বাসের সাথে আমার চাওয়া , পাওয়া, না পাওয়া, স্বপ্ন সব কিছু জড়িত। আমি বিশ্বাস থেকে শক্তি পাই।

আনন্দ পাই, আশা পাই। আমার বিশ্বাসই আমার কাবা। যেমন ভোগ বাদীর বিশ্বাস ভোগে। তাই তার সকল কর্ম, স্বপ্ন, বেঁচে থাকা স্ই নিমিত্ত। দুনিয়াটা মস্ত বড়, খাও দাও ফুর্তি কর আগামীকাল বাচবে কিনা বলতে পার?--- সুতরাং তার সকল আবর্তন তার বিশ্বাস কে কন্দ্রে করে।

এমনি ভাবে সকল চেতনার কেন্দ্রে তার মৌলিক বিশ্বাস প্রোথিত। তার স্বরুপ কেমন? যেমন পাই আমরা পূর্বে সাহাবীদের মধ্যে .. শোহাদায়ে কারবালায়... তেমনি আমাকে আরও জ্বাজ্যল্যমান অনুভবের নৈকট্যে আনে ১৯৭১। এবং -"জয় বাংলা" আমাদের চেতনা... আমাদের বিশ্বাস ছিল মুক্তি চাই। যে কোন মূল্যে তা অর্জনে দৃঢ় প্রতৃজ্ঞ। আমাদের ঈমান তখন শুধু স্বাধীনতা অর্জন।

এর বাইরে কোন আলাপ, কোন বিশ্বাস গ্রহনযোগ্য নয়। এবং তার প্রত্যক্ষ্য রুপ হাজারো মুক্তেযোদ্ধার আত্মদানের ঘটনায়.. সমুজ্জল। পাকসেনার বেয়নেট তাক করা... নিশ্চিত মৃত্যু.... তবুও মাথা নোয়াবার নয়.. কি নির্ভিক চেতনা.. বিশ্বাসে কি দৃঢ়তা... পাকিদের হাজারো ভীতিকে উপেক্ষা করে তাদের গগনবিদারী অকুতোভয় দৃঢ় বিশ্বাসের উচ্চারন ছিল -"জয় বাংলা" -"জয় বাংলা" শিহরিত হয়ে উঠে প্রাণ। মৃত্যুও ভীত হয়ে উঠতো বিশ্বাসের এই দৃঢ়তার কাছে। বুকে ঠেকানো বেয়নেটও কেঁপে উঠতো উচ্চারনের দৃঢ়তায়।

বিশ্বাসের স্তর কি এমন হওয়া উচিত নয়?

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.