আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কারে কারে রাজাকার বলি,..............



যারা বলছেন- যাকে তাকে মতের মিল না হলে বা নির্দিষ্ট ফর্মের বাইরে কথা বললেই রাজাকার তকমা লাগানো ঠিক কি না.... ইত্যাদি, তাদের উদ্দেশ্যে বলি, ১। যাকে তাকে রাজাকার বলা আমিও সাপোর্ট করি না, ২। যেকোন মতের অমিল হলে রাজাকার বলা আমিও সাপোর্ট করি না, ৩। নির্দিষ্ট ফর্মার বাইরে বললেই তাকে রাজাকার বলা আমিও সাপোর্ট করি না। তবে অবশ্যই রাজাকার বলা সাপোর্ট করি ও নৈতিক কর্তব্য মনে করিঃ ১। যারা সরাসরি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী কথা বলে- যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে কথা বলে, রাজাকার-আলবদর-আলশামস বাহিনীর আদর্শের কথা প্রচার করে, ২। যারা জামাত-শিবিরের পক্ষে কথা বলে- যুক্তি করে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিপক্ষে যুক্তি করে, ৩। যারা উপরে উপরে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে নানাকথা বলে- কিন্তু ভিতরে ভিতরে বিভিন্ন কথার মধ্য দিয়ে সচেতনভাবে রাজাকারদের পক্ষে এক ধরণের প্রচারণা চালায়- চিহ্নিত রাজাকাররা এসে সমানে বাহবা ও ধৈর্য ধরার উপদেশ দিয়ে যায়- যারা একই সাথে বলে- সব যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই (জামাত-নেজামি-মু.লী-আওয়ামি-বিএনপি সব)- আবার বলবে- আলজেরিয়া-সুদানে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়নি- ইউরোপের মত না হলে বিচার হবে কেমন করে, এভাবে একটা ধোয়াশা তুলে- যারা এভাবেও ধোয়াশা তুলে- দেশের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ থাকতে এই দাবিই একমাত্র হতে পারে না, ইত্যাদি, যারা মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন দলিল তুলে দেয় ঠিকই- কিন্তু পরক্ষণেই বলে- জামাতের মতাদর্শধারী আর যুদ্ধাপরাধী এক না- কিন্তু পরিস্কার ভাবে বলে না- যুদ্ধকালীন জামাতের ভূমিকা কি ছিলো- কেন তারা ইউনিক, কেন তারা আলাদা------ এসব করেই যারা নতুন প্রজন্মের কাছে ভুল মেসেজ নিয়ে যেতে চায়- নতুন প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করতে চায় তারা (আমি আসলে নতুন প্রজন্ম নিয়েই উদ্বিগ্ন- আগের প্রজন্মের- এ ধরণের রাজাকারদের দ্বারা বিভ্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম)।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।