আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কারে মিলিয়াছি কারে ভূলিয়াছি



সূর্যের সাথে পাল্লা দিয়ে বারো ঘন্টা আকাশভ্রমণ করে নামলাম আবার লন্ডনে। প্রায় দেড়মাস সময় একদম ঝাঁ করে পার হয়ে গেল। অন্যান্যবারের চেয়ে এবারের দেশ ফেরত একটু আলাদা ছিল। এবার দেখা হয়েছিল অনলাইন কমিউনিটির সাথে অফলাইনে। কার কার সাথে কি হইল তারই একটা মিনি ফিরিস্তি দিয়ে দেই।

পরে কখনো আঙ্গুল চুলকালে বিস্তারিত লিখব। ****ফোনে হ্যালো করেছি যাদের**** ঝড়ো হাওয়াঃ দু দফা ফোন পেয়েছিলাম হ্যালো আমি ঝড়ো হাওয়া বলে। কাছের থেকে ঘনিষ্ঠতা করার সুযোগ পাইনি। তিমুরঃ ফোনে কেতাবাদি বিষয়ক কিছু আলোচনা হয়েছিল। ভবিষ্যতের কীর্তিমান লেখক/অনুবাদকের ছায়া, কায়া পাওয়া গেছিল ফোনেই।

আরো কিছু কথা বলার ছিল বাংলাবাজার সূত্রে, পরে আর ফোন পাইনি। শুভঃ ফ্রীডমের শুভভাই নিজেই ফোন করেছিলেন। বেশ মজার আলাপ হল। খুব ধরাধরি করেছিলেন ওনার কর্মস্থলে যাবার জন্য। ঢাকার বাইরে দেখে ইচ্ছা থাকলেও সময়ের চাপে দেখা হয়নি।

আমি ঢাকায় থাকতেই ওনার কিছু বই অনলাইনে বিক্কিরি হয়েছিল। দুজনেই খুশিঃ) কৌশিকঃ বিখ্যাত কৌশিকের ফোন পেয়েছিলাম আমি! যদিও মার্কেটিং সূত্রে। ফোনে আমাকে বাকী বিল্লাহ ভাইয়ের ফোন আর ছাপাকলের ঠিকানা দিয়েছিলেন। রাসেলঃ (...) ?? মতলব আমি ঠিক শিওর না এই রাসেল ভাইয়ের সাথেই ফোনে কথা হয়েছিল কিনা। ছাপাকলের হত্তাকত্তা।

ফোন ছাড়া দেখা নাই। শেখ জলিলঃ চলে আসার আগের রাতে হটাত মিসকল। কলব্যাক করতেই দেখি আমি শেখ জলিল বলছি। দেখা করার জন্য অত্যান্ত আন্তরিক আমন্ত্রণ জানালেও সময়ের লিমিটের কারণে চান্স পাইনি। ****দেখা হয়েছে যাদের সাথে**** শাহানা(বিড়ালীঃ) সামহোয়ারের অফিসে দেখা হয়েছিল বিলাই আপার সাথে।

অল্প এক দুলাইন হাই হ্যালো ছাড়া বিশেষ জমে নাই। হাসানঃ সামহোয়ারের বয় জিনিয়াসের সূত্রেই অফিসে যাওয়া। ম্যালা টাইম নিয়ে সেদিন সব ঘুরিয়ে দেখিয়েছিল। আরো এক দুবার বসার ইচ্ছা ছিল মাগার টাইম পাই নাই। আরিল্ডঃ ব্লগের অফিশিয়াল মালিক।

নর্ডিক, বাস্তববাদী, আইটি পাব্লিক। আর কি লাগে? আধাঘন্টার যে সিটিংটা দিসিলাম, হোল লাইফ মনে থাকবে। ত্রিভূজঃ তিন চারবার ফোনে বাক্যালাপের পরে দেখা করা ঠিক হল। পনের মিনিটের মাথায় বসুন্ধরা সিটির আটতলায় পৌছাতে হবে। রাত বাজে তখন ৮টা।

টাইমের ভিতরেই পৌছায়ে দেখি তেকোনার খবর নাই। একটু পরে ফোন। বান্দা পৌছায়ে গেসে। খুজাখুজি করে দেখি সেই যথারীতি লিকলিকে শুকনা এক ছোকরা মোটা চশমা পরে ঘুরাঘুরি করছে ফোন হাতে আমারে মিসকল দিবার ধান্দায়। পেছন থেকে ঘাড়ে হাত রাখলাম।

ফরিদ ভাই? চমকে উঠল ছোকরা। তারপর? আরেকদিন বলব নাহয় বাকী বিল্লাহঃ বাসার পাশেই ছাপাকলের অফিস। কৌশিকের ফোনে গেলাম সেখানে। গিয়ে দেখি পিচ্চি অফিস সেখানে সোফা/চেয়ারে এক বান্দা ঝিমাই/ঘুমাইতেসে, তারে ডাকাডাকি করে তোলার পরে জানলাম বাকীসাব নাই, কিছু সময় পরে আসবে। যাই হোক কিছু সময় পরে বস এলেন, কথাবাত্তি হইল, পরে আর দেখা হয় নাই।

নাজমুল আলবাবঃ ২০ ঘন্টার জন্য গেছিলাম সিলেটে। উদ্দেশ্য এক দুজন কাছের মানুষের সংসর্গ। সময়ের আগেই কাজ সেরে ভাবছিলাম দেখে যাই নাজমুল আলবাবের অফিস। গেলাম সাইবার ক্যাফেতে, গিয়ে ওয়েবসাইট ঘেঁটে (বৈদেশীগোর লাহান) ঠিকানা বের করলাম। পরে মনে হল বেকুবের মত ১৫ টাকা খরচ না করে, নিউজস্ট্যান্ড থেকে দেইখা নিলেই হইতঃ(।

যাই হোক গেলাম অফিসে, রিসিপশনের ঝাক্কি পার হবার পর অফিসে ঢুকে দেখি সদালাপী ব্যাস্তমতন একজন কম্পিউটারে কাজ করছেন। সোজা গিয়ে বললাম, আমি ফরিদ, দেখি পাবলিক তাকায়ে আছে, বললাম বইমেলা ডট কম। মনে হল আসমান থেকে পড়ল। বিশ্বাসই করতে পারেনি আমি কোথা থেকে কোথা হয়ে যাব। পরের আধা ঘন্টা খুব আনন্দে কাটল।

আরাফাতুল ইসলামঃ আরাফাতের ঘাড় ভাঙ্গিয়া পিজ্জা হাট চলিয়াছে। বিস্তারিত কহিলাম না। আরো অনেকেই ভাংচুরের এটেম্পট নিতে পারেঃ) ফয়সাল আরেফিন দীপনঃ জাগৃতি প্রকাশনীর মালিক পরিচিত বন্ধুজন। সাধারণত অনলাইনে লেখেন না, কিন্তু সিনিওর ব্লগার সবার সাথেই পরিচয় আর কমেন্ট করার মাঝেই নিজের এক্টিভিটি গুটিয়ে রাখেন। বছর পরে দেখা হতেই কোক মিষ্টি হল।

বই কেনা বেচাও হল। ****দেখা হয়নি যাদের সাথে**** রাগুদিঃ ভাবসিলাম কতা হইবে। যোগাযোগ হইল না। মাইন্ড খাইসিঃ( মাহবুব সুমনঃ বইলা কইয়া দেশে আইসা আমার খবর নিলেন না! আমি নাহয় পিয়াল ভাইয়ের লাহান বিয়া করি নাই, তাই বলে এত দোষ? ছবিটা বাটার মোড়ে থেকে নেয়া। এলিফেন্ট রোডে


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।