আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অতঃপর নির্বাসিত ভালবাসা

ধোঁয়ায় মোড়ানো পৃথিবী আমার। যেখানে নেই সত্য মিথ্যার তামায় মোড়ানো কোন খোলস। চারপাশে শুধু ধোঁয়া। ধোঁয়ার মাঝেই আমি তৈরি করেছি আমার স্বপ্নের আগামী। ঘুম ভেঙ্গেই জয়ীতা স্বপ্নটাকে মনে করার চেষ্টা করছিল।

আজকের সকালটা বহুদিন পর হঠাৎ করেই আবার ভাল লাগতে শুরু করেছে। বহুদিন এত ভাল স্বপ্ন দেখা হয়না। সাগর কোথায় আজ জয়ীতা জানেনা। আশ্চর্য!এখন তো ঠিকই মনে করতে পারছেনা ওর মুখায়বব অথচ স্বপ্নে কত সহজেই দেখল দুজন হাত ধরে একটা পার্কে বসে আছে! জয়ীতা জানেনা কেন সাগর ওকে ছেড়ে গিয়েছিল। দীর্ঘ ৭ বছরের সম্পর্ক কত সহজেই ভেঙ্গে গেল সাগরের কিছু কথায়।

আজ ৭ জুলাই,১৫ বছর পূর্ণ হত ওদের সম্পর্কের যদি সব ঠিক থাকত। জয়ীতার সব স্পেশাল তারিখগুলো মনে থাকে,কখনই ভুল হয়না_আর সাগর?ও কি মনে রেখেছে জয়ীতাকে?_এসব ভাবতে ভাবতে রেডি হতে শুরু করল ও। বেড ছাড়ল,ফ্রেশ হল,ব্রেকফাস্ট করে শাড়ি বাছাই করতে গেল আলমারির কাছে। কেন যেন চোখের সামনে সবচে আগে পেল সোনালী পাঁড়ের আকাশি শাড়িটা। এই শাড়িটা ওকে সাগর পছন্দ করে দিয়েছিল জয়ীতার স্কলারশিপের টাকা তুলে শপিং করতে গিয়ে।

জয়ীতাকে কেন যেন আজ স্মৃতিরা বারবার ঘিরে ধরছে। মনে পড়ে যাচ্ছে ভার্সিটির ভর্তি পরীক্ষার দিন_ও রুম খুঁজে পাচ্ছিলনা। হঠাতই একটা ছেলে এসে জিজ্ঞেস করল,“দেখি তোমার এডমিট কার্ডটা। ” জয়ীতা তো ভয়েই শেষ পরীক্ষা শুরু হয়ে গেছে ভেবে। কাঁপা-কাঁপা হাতে এডমিট কার্ডটা দিল।

ছেলেটা ধমকের সুরে বলল,“বোকা মেয়ে,এতক্ষন এই রুমের পাশ দিয়েই তো খুঁজাখুঁজি করছ অথচ জানোই না যে এখানে তোমার সিট!এত্ত নার্ভাস হলে চলে?যাও,মাথা ঠাণ্ডা করে এক্সাম দাও। দেখবে,অনেক ভাল হবে তোমার এক্সাম। ’’ জয়ীতা তো প্রায় কেঁদে দেয়-দেয় অবস্থা ধমক খেয়ে। ওর অবস্থা দেখে ছেলেটা হাসতে হাসতে বলল,“আরে,এখনও প্রায় ৭ মিনিটের মত আছে। আর আমার মন বলছে u will get chance here.আর আমার prediction কিন্তু অনেক কাজে দেয়।

হাহাহা ...। ” জয়ীতা জানে না কেন কিন্তু ঐ ছেলেটার কথা ওর মনে ম্যাজিকের মত কাজ করেছিল ঐদিন। ছেলেটার কথা ওকে অনেক confident আর inspire করেছিল। আর ও ঠিকঠিক chance পেয়েছিল। এরপর হঠাৎ ঐ ছেলের সাথে দেখা ভার্সিটির ৩য় দিন বড় ভাইদের কাছে র‍্যাগ খেতে গিয়ে।

ঐদিনও উদ্ধারকর্তা হিসেবে সেই মানুষটির আগমন। পরে জানা গেল যে সে জয়ীতারই ডিপার্টমেন্টের বড় ভাই,সাগর,এক ব্যাচ সিনিয়র। অরিয়েন্টেশনে অনেক মজা করল সাগরের ক্লাসমেটরা সাগর আর জয়ীতাকে নিয়ে। এভাবেই আস্তে-আস্তে প্রেম হয়ে গেল ওদের। যেই-সেই প্রেম না,ওদের পুরো ব্যাচে এমন একটা couple ছিল না যারা ওদের টেক্কা দিতে পারে! কিন্তু সেই প্রবাদ-প্রেমও টিকলনা সাগরের জেদের কাছে।

স্কলারশিপ পেয়ে সাগর চেয়েছিল বাইরে জয়ীতাকে নিয়ে পড়তে যেতে। কিন্তু জয়ীতার পক্ষে সম্ভব ছিলনা যাওয়া। ওর পরিবার ওকে ছাড়তে চায়নি বিদেশে পড়তে। অন্যদিকে সাগর এটা নিয়ে এতটাই crazy ছিল যে ও জয়ীতার সাথে অহেতুক অসম্ভব ঝগড়া করতে থাকল। একটা সময়ে জয়ীতা জানতে পারল যে সাগরের মা ওর এক দুঃসম্পর্কের cousin-এর সাথে ওর বিয়ের কথাবার্তা চালাচ্ছে।

ওর পরিবার চাচ্ছে ও engagement করে বিদেশে পড়তে যাক। আসলে তখন সম্পর্কে বেশ তিক্ততা এসে গিয়েছিল যেটা ওদের সময় দেয়নি ভাবতে কিভাবে বাকি বছরগুলো এত্ত এত্ত স্মৃতি নিয়ে কাটবে। জয়ীতা এটা ওর ফ্রেন্ডদের কাছ থেকে শুনে খুব shocked হয়েছিল। তারপর ও-ই সরে গেছে সাগরের কাছ থেকে। ও এখনো ভাবে,সাগর কেন নিজে এসে বলল না ওর বিয়ের কথাবার্তা চলছে বা কেন সাগর ওর পরিবারকে একটাবারের জন্যেও জয়ীতার কথা বলল না!নাকি ৭ টা বছরও অনেক কম হয়ে গিয়েছিল career-এর কাছে? তারপর জয়ীতাই বন্ধ করে দিয়েছিল সব কন্টাক্ট।

সাগর চেষ্টা করেছিল। কয়েকবার ফোন দিয়েছিল মোবাইলে,বাসায়,দেখা করতে চেয়েছিল ওর সাথে। জয়ীতা response করেনি। এরপর একে একে কেটে গেছে ৮ টা বছর। জানেনা সাগর কেমন আছে,কোথায় কিংবা জয়ীতাকে ওর মনে পড়ে কি-না।

জয়ীতা একটা বেশ নামি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের assistamt head-mistress.নিজের গাড়ি-ফ্লাট সবই আছে শুধু সংসারটাই পাতা হল না আর। তাই তো এত qualified হয়েও শুধু বাচ্চাদের সংস্পর্শে থাকতে বেছে নিল এই পেশাটা। এখনও সবাই খোঁচায় বিয়ের জন্য,বলে, “শুধু হ্যাঁ-টা বলেই দেখ না,জয়ী,কত্ত ছেলের লাইন লাগবে এখনও। তুই কিসে কম রে?” জয়ীতা হাসে। হেসে উত্তর দেয়, “কিচ্ছুতে কম না থাকলেও ভালবাসায় বড্ড ঘাটতি পড়ে যাবে আমার জামাইয়ের।

একজন বেচারার জীবন নষ্ট করে কী লাভ বল!” গাড়ী কখন যে স্কুলের গেটে চলে এসেছে খেয়ালই ছিলনা জয়ীতার। গেট দিয়ে ঢুকতে ঢুকতে অনেকের সাথে দেখা হল। টিচার হওয়ার এই এক সুবিধা,ঢেরঢের সালাম আর সম্মান। আর সকাল সকাল নিষ্পাপ বাচ্চাগুলার মুখ দেখলে মন auto ভাল হয়ে যায়। জয়ীতা এসে ওর কেবিনে বসল।

কিছু ফাইলে সাইন করল। কিছু বিলের পেপার দেখল। আজ ও বেশ আনমনা হয়ে আছে। কোন কাজে মন বসছেনা কেন যেন। হঠাৎ রুমে class-2 এর এক class-teacher ঢুকল।

ঢুকেই সে বলতে থাকল, “ম্যাডাম,আপনি না বলেছিলেন section-C এর জয়ীতার parents কে ডাকবেন?ও তো constantly খারাপ করছে exam-এ। this time she can’t be promoted for class-3.” জয়ীতা একটু ধাক্কার মত খেল। ও এতক্ষন বেশ আনমনে ছিল,হঠাতই মনে পড়ল বিষয়টা। class-2-এ জয়ীতা নামের মেয়েটা বেশ ফুটফুটে। ওর নামে নাম,তাই জয়ীতাও ওকে খুব আদর করে।

কিন্তু বাচ্চাটা অনেক মন খারাপ করে থাকে কারন ও separated family’র। ও ওর ড্যাডির সাথেই থাকে কিন্তু ওর ড্যাডিকে তো দেখাই যায় না কোন parent’s meeting এ। সবসময়ই শুনতে হয় সে নাকি business tour-এ। বাচ্চাটার জন্য জয়ীতার বেশ মায়া হয়। কেমন অসহায় দেখায় ওর মুখটা যখন দেখে সবার বাবা-মা ওদের নিতে বা দিতে আসে,যখন কোন ফাংশন হয় কিংবা ক্লাশ-পার্টিতেও ও অনেক চুপচাপ আর শান্ত হয়ে বসে থাকে।

ক্লাশেও কারোর সাথে তেমন কথা বলে না। কিন্তু মেয়েটা বেশ লক্ষ্মী আর ভদ্র। বুঝাই যায় এটুকু বয়েসেই ও বেশ practical. যাইহোক,এবার ওর ড্যাডিকে আসতেই হবে স্কুলে। লোকটা কত্ত careless!জয়ীতার মেজাজটা এটা ভেবে আরো খারাপ হয়ে যায়। ও ভাবে,sure এমন careless মানুষের সাথে সংসার করতে না পেরেই এর বউ ভেগেছে।

পরক্ষনেই ওর হাসি পায় এমন মনগড়া কাহিনী ভাবছে বলে। -“আচ্ছা,আপনি ওর ড্যাডিকে call করে আসতে বলুন আমার সাথে দেখা করতে immediately.i wanna meet him today,in fact right now.” -“ok,madam,I am calling him.” -“alright,u may go now.” -“thank you.” Class-teacher চলে গেলে জয়ীতা আবার ওর কাজে হারিয়ে যায়। আজ সকালটাই একটু কেমনভাবে যেন শুরু হল। Lunch hour শুরু হল। Lunch-এর পর জয়ীতা কিছুক্ষন স্কুলের বাকি কাজগুলো সারলো।

হঠাতই দরজায় knock ; -“Come in please.” এরপর ও যা দেখল তা বিশ্বাস করতে ওর কষ্ট হচ্ছিল ভীষণ। সাগর ওর সামনে দাঁড়িয়ে!হ্যা,সাগরই তো!নিজের চোখকেও বিশ্বাস করতে ভয় হচ্ছিল খুব। অথচ সাগর খুব স্বাভাবিকভাবেই ওর সামনের চেয়ারটা টেনে বসল। জয়ীতা ঘোর লাগা স্বরে বলল, “ত-তুমি!” তারপর নিজের আবেগকে সামলে নিল বেশ পারদর্শীভাবে- “Hi,how can I help ya?” বলে শুরু করল professionally আর নিজেকে মনে মনে বলল, “calm down,Joyee,its your office & behave practically.” সাগরকে দেখে মনে হল কিছুই হয়নি,সে বেশ রেডীই ছিল সবকিছুর জন্য। একটু কেশে নিয়ে বলল, “I’ve been called to come here urgently.Sorry for ma careless behaviour but I wanna know details about Joyee’s academic performance.” জয়ীতার এবার আরেক দফার ধাক্কা খাওয়ার পালা।

ও ভাবতেই পারেনি জয়ীতা সাগরের মেয়ের নাম হতে পারে!তার মানে সাগর সব জানত বেশ আগের থেকেই! ওর মনের কথা পড়ে ফেলার মতই সাগর বলে উঠল, “জয়ীতা,আমি তোমার সব update এত বছর ঠিকই রেখেছি। আমার মেয়েকেও এই স্কুলে দিয়েছি যাতে ও তোমার সাথে meet করে যার নামে ওর নাম আমি রেখেছি। ও হওয়ার আগেই ভেবেছিলাম মেয়ে হলে ‘জয়ীতা’ নাম রাখব। I know,huge questions & complains জমা হয়ে আছে তোমার আমার against-এ তাই এতদিন আসিনি ভেবেছি একদিন সময় ও সাহস নিয়ে তোমাকে face করতে আসব। তোমাকে কষ্ট দিয়ে আমার বিয়েটা টিকে নি।

আমিই আসলে অনেক জেদ ধরেছিলাম ওই টাইমে। তোমার ওপর অহেতুক আমার decision,আমার stress সব চাপিয়ে দিয়েছিলাম। আমাদের একের পর এক ভয়াবহ ঝগড়া-কথা কাটাকাটি আমাদেরকে ভাবতে দেয়নি কতটা ভালবাসা আর আবেগ ছিল দুজনের ভেতরেই। জেদের বশেই engagement-এর জন্য হ্যাঁ বলে দেই আমি কোন কিচ্ছু না ভেবেই। Post-grad.শেষ করে দেশে ফিরে অনেক চেয়েছি সব ঠিক করতে কিন্তু সেই সৎ-সাহস হয়নি তোমাকে আমার কাছে back করাবার।

এরপর বাধ্য হয়ে মায়ের পছন্দের মেয়েকেই বিয়ে করলাম নিজের ওপর প্রচণ্ড ক্ষোভ থেকে। কিন্তু ছুটাতে পারলাম না এই অবাধ্য মনকে আমাদের এত বছরের ভালবাসার বূহ্য থেকে _ ফলাফল হিসেবে আমার wife 1 year’ও আমার সাথে থাকতে রাজী হল না। তারপর আমাদের ঘর আলো করে এল জয়ীতা – যাকে পেয়ে আমি ভুলে গেলাম তোমাকে না পাওয়ার বেদনা। অবশ্য ওকে আমার custody-তে পেতে আমাকে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। শেষে কেসে জিতে ও আমার কাছে ৩ বছর হল থাকছে।

হ্যা,আমি জেনেশুনেই ওকে এই স্কুলে দিয়েছি। বলতে পারো তোমার কাছাকাছি আমি না থাকতে পারলেও জয়ী আছে _সেই লোভে। And I think I’ve told everything যা এতদিন হাজারবার ট্রাই করেও বলতে পারিনি তোমার সামনে এসে। ” এতক্ষন জয়ীতা একটা ভয়াবহ দুঃস্বপ্ন দেখছিল বলে ভাবছিল। হঠাৎ সাগরের কথার রেশ মিলিয়ে যেতেই ও সম্বিৎ ফিরে পেল।

ওর মনে হচ্ছিল দুনিয়ার সব কথা শেষ হয়ে গেছে ওর জন্য,ওর বলার আজ কিছুই নেই। কীইবা বলবে ও!শুধু ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকল সাগরের দিকে। আজকের দিনে ওর জন্য এত্ত সারপ্রাইজ ওয়েট করছিল ওর এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না যে ও আসলেই জেগে আছে নাকি! তারপর সাগরই বলে উঠল, “আমি এখন থেকে জয়ীর দিকে অনেক careful হব,promise.ভাল lover or husband কোনটাই তো হতে পারিনি but must be ভাল father হওয়ার heart ‘n soul try করব। জয়ীতার কাছে আজকের ঘটে অথবা ঘটতে যাওয়া সবকিছু পরাবাস্তব মনে হচ্ছে। ঘোরের মাঝেই অস্ফুট স্বরে “হুম” বলল।

-Anyway Joyee,I should leave now.আর হ্যা,আরেকটা নিউজ দিতেও এসেছিলাম তোমাকে,আমি এই মাসেই জয়ীতাকে নিয়ে Canada shift করছি and may be forever.that’s why ভাবলাম তোমার সাথে এত বছরের জমানো কথাগুলো শেয়ার করে যাই। Cause,আমি জয়ীকে একটা best life দিতে চাই আমার past থেকে বের হয়ে,ওর ideal Daddy হয়ে বাকিটা life বাপ-মেয়ে নির্জনে কাটিয়ে দিতে চাই। হাহহাহাহা ...। । ” “Thanks.And I believe,this time you will not lose this Joyeeta’s love.She’s indeed a lovely kid.” - জয়ীতা এতক্ষণে কিছু বলতে পারল।

“চা বা কফি কিছু দিতে বলব?” -“নাহ। এখুনি উঠছি। I hope,this is our last meeting.পারলে airport-এ see off করতে এসো টাইম & ডেট জানিয়ে দিবে জয়ী তোমাকে। ” -“OK.I’ll try.” জয়ীতা খুব কষ্টে একটা ম্লান হাসি দিল। সাগর ততক্ষণে চেয়ার ছেড়ে উঠে গেছে প্রায় দরজার কাছে, -“আজকেই দেখা করার reason টা বলতে পারবে?” -“না” -“Happy anniversary,Joyee….তুমি একটুও বদলাও নি।

আর তোমাকে আমার পছন্দের শাড়িটাতে আজকেও অসম্ভব ভাল লাগছে। Please,if possible,forgive me.” ......বলেই সাগর আর দাঁড়ায় নি। জয়ীতা ওর চলে যাওয়া দেখতে দেখতে হঠাৎ খেয়াল করল ওর সামনে রাখা পেপারগুলোর ওপর ক’ফোঁটা জল পড়ছে টপটপ করে। ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।