আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভুলতে পারি না সেই ২৮ অক্টোবরের কথা!

নতুন পৃথিবীতে সবাইকে স্বাগমতম!

২৮ অক্টোবর যাদের (বাংলাদেশী) বার্থ ডে, তারা মন খারাপ করতেই পারেন! যখন তাদের এই দিনে বার্থ ডে উইশে বলা হবে- হ্যাপি বার্থ ডে টু ইউ, তখন তারা হয়তো হ্যাপি হতে পারবে না; তারা হবে স্যাড। তাদের মনে পড়ে যাবে, ২০০৬ সালের এই দিনে কী হয়েছিলো! বাংলা টু বাংলা ডিকশনারিতে যারা নতুন শব্দ যোগ করা বা শব্দের অর্থ এডিট করার দায়িত্বে আছেন তারা লগি ও বৈঠা শব্দ দুটি নিয়ে হয়তো চিন্তায় পড়ে গেছেন! এই শব্দ দুটির সম্ভাব্য নতুন অর্থ হতে পারে- মানুষ হত্যার উপকরণ, অথবা আন্দোলনের প্রতীক! নৌকাতে যাদের প্রতিদিন চলাফেরা করতে হয়, তারা নৌকায় পা রাখার আগে ভালো করে নিশ্চিত হতে চাইবেন যে বৈঠা হাতে মাঝি কতটুকু নিরাপদ! অনেকের ধারণা যে মানুষ নাকি আস্তে আস্তে আবার আদিম যুগে ফিরে যাবে বা যাওয়া শুরু করেছে। যেমন ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পোষাক পড়া, পরস্পরকে যথেচ্ছ ভাষায় গালাগালি করা, নিতান্তই তুচ্ছ বিষয়ে খুনাখুনি করা ইত্যাদি। তাদের জন্য ২৮ অক্টোবর একটি বড় দৃষ্টান্ত হতে পারে। বিজ্ঞানীরা হয়তো আদিম কিংবা মধ্যযুগের মানুষের ডিএনএ’র সন্ধানে বাংলাদেশে আসতে পারেন! যদি সত্যি সত্যিই আসেন, তাহলে এর চেয়ে বড় লজ্জার বিষয় আর হবে না ।

কারন গত ২৮ অক্টোবর ঘটে গিয়েছে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ ও নৃশংস অবিশ্বাস্য হত্যাকান্ডটি। দুই জন নির্দোষ স্টুডেন্ট মুজাহিদ ও মাসুমকে স্রেফ পিটিয়ে মারা হয়েছে। ঘটনাটি এতটাই হৃদয়বিদারক ও মর্মস্পর্শী যে, যারা দেখেছে, তাদের কারো পক্ষে এ দৃশ্য কোনমতেই ভুলে যাওয়া সম্ভব নয়। এখানে একটি প্রশ্ন রয়েছে; যারা সেই দিন ঘটনাস্থলে ছিলো, তাদের কারো মধ্যে কি এতটুকু মনুষ্যত্ব বা সাহস ছিলো না হত্যাকারীদের বাধা দেওয়ার?! মানুষের সহ্যের সীমা কতটুকু? কাল হয়তো আপনি বা আমিই এই মুজাহিদ ও মাসুমের উত্তরসূরী হতে পারি। আমাদের বাচাঁনোর জন্য কি কেউ থাকবে না? (পুনশ্চ: লেখাটি সংগৃহীত ও সময়ের প্রয়োজনে সামান্য পরিবর্তিত।

ধন্যবাদ। )

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।