আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শিলা আমার প্রথম পাঁচ

দিলের দরজা ২৪/৭ খুইলা রাখি মাছি বসে মানুষ বসে না। মানুষ খালি উড়াল পারে! এক দিন আমি ও দিমু উড়াল, নিজের পায়ে নিজে মাইরা কুড়াল...

শিলার হাতে অনেক পাঁচ সকল পোষ্টে পাবেন আঁচ। করতে তর্ক চায়না শিলা কেয়ই যদি খায়গো বিলা! শিলার হাতে অনেক পাঁচ বিলায় যায় ঘ্যাচাং ঘ্যাচ। এই দেশে(ব্লগে) নতুন আমি। ম্যাক ব্যাবহারের কারনে বাংলা ব্লগিং এর দুনিয়া থেকে অনেক দূরে ছিলাম।

অতিসম্প্রতি সালিম সামাদের বিড়াল বিষয়ক একটি লেখার সুত্র ধরে এই ঠিকানায় এসে দেখি গত এক বছর যাবত এখানে অসাধারণ সব লেখালিখি হচ্ছে দেরী না করে সাথে সাথে যুক্ত হয়ে পড়ি। দিনক্ষন গুনলে আমার ব্লগ বয়স হবে হপ্তা তিনেকের। এই অল্পদিনে অনেক কিছ্ই দেখা হলো। নিজের একটা বদ অভ্যেসের কারনে যখন যেটার পেছনে লাগি লেগেই থাকি রাত দিন। যতক্ষন না ওই কর্মটায় ক্লান্ত হই, অ-রুচী ধরে।

এখানকার ইতিহাস তেমন জানি না কিন্তু প্রায়শঃ ইতস্ত বোধ করি যখন অকারন কোন শিশুতোষ অথবা কান্ডজ্ঞ্যানহীন ঝগরাঝাটির 'ক্রস ফায়ারে' পড়ে যাই। আজ এক ব্লগ পড়শী'র একটি কমেন্ট পড়ে ও'র নামটায় ক্লিক করতেই সেরকম একটা পরিস্থিরি মধ্যে পড়ে যাই। একবার বেরিয়েও চলে গিয়ে ছিলাম, কি কারনে যেনো স্বস্থি পাচ্ছিলাম না তাই আবার ফিরে যাই শিলা'র লেখা নতুন পোষ্ট বাবার বিয়ে দেখানো এ। রেকর্ড সংখ্যক পাঁচ শতাধিক হিট, জ্বালাময়ী সব কথামালার পাল্টা পাল্টি ছোড়াছুরির 'এক সেঞ্চুরি' মন্তব্য। যুদ্ধের ডামাডোলে যৌক্তিক-অযৌক্তি কাদা ছোড়াছুরিতে কখন যে সুস্থ আলোচনা সমালোচনা পথ হারিয়ে ফেলেছে বোধকরি সে জ্ঞ্যান ও অনেকের ততক্ষনে লুপ্ত হয়ে গিয়ে ছিল।

শিলাকে দেখলাম প্রায় একাকি একটা যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। আমার কেমন যেন কষ্ট লেগে ওঠে। বলে রাখি, ইতমধ্যে শিলা'র ক'টি লেখা এবং লেখার শিরোনাম গুলো আমার কাছে ভালোলাগতে শুরু করেছিল। শিলা'র এক এক লেখার এক একটা পোষ্ট মানেই ও'র ব্লগে পাঠকের হুমরি খেয়ে পড়া। বেশীর ভাগ পাঠক মন্তব্যেই প্রশংসা সূচক দু-দশ শব্দের।

কিছু কিছু নিটোল দুষ্টুমি ও যে ওকে সইতে হচ্ছিল বুঝতে পারছিলাম। এই খাট্টা-মিঠা মন্তব্য লেখকের লিখন শৈলীতে বরং ব্যঞ্জনই যুক্ত করে বলেই আমি ধরে নেই। এর মাঝে শিলার খাতায় মন্তব্য লিখতে যেয়ে একটি মজার গদ্য কার্টুন লিখবার উপাদান পেয়ে যাই। সাথে সাথে লিখেও ফেলে ছিলাম যা এখন পর্য্যন্ত এ ব্লগে আমার লেখার মধ্যে সর্বাধিক পঠিত এবং আলোচিত একটি লেখা হবার ভাগ্য লাভ করেছে "ধুর এমন করলে আর খেলুম না, যামুগা"। এই লেখার সুত্র ধরে শিলা'র এক মন্তব্য'র উওরে শিলাকে উদ্দেশ্য করে উপরে উদৃত প্যারডি খানা লিখে দেই।

নিষ্কলুষ বিনোদনের উদ্দেশ্যে রচিত প্যরডিটিতে শিলা সম্ভবত কষ্টই পেয়ে ছিল ক্ষানিক। যার আঁচ আমার ব্লগে করা ওর পরবর্তী মন্তব্যে লেগে ছিল। আজ শিলা'র ব্লগে ঢুকেই যখন হৈ হট্টগোলে হোচট খেতে হলো তখন তাতক্ষনিক ভাবে একটি নাতিদীর্ঘ্য রচনা লিখে ও'র মন্তব্য খাতায় রেখে আসি। আমার এই অল্প ব্লগ জীবনে, শিলাকে সব সময় দেখেছি বেশ হন্যে হয়ে এ ব্লগ ও ব্লগ ছোটাছুটি করে। বেশী কিছু না সবার ব্লগে ঢুমেরেই বলে চল্লাম।

যাবার আগে আদর করে রেখে যায় একটা বাংলা '৫'। আমি ব্যাক্তিগত ভাবে এই পাঁচ-ফাচের ধার ধারি না। আমার কাছে লেখকের লেখাকে ৪,৫ দিয়ে বিচার করার কিছু নাই। লেখা আর ইনফর্মেশন দেয়া-নেয়াকে আমি এক করে দেখছিনা, দু'টো দুই ব্যাপার। যেহেতু লেখালিখিতে আমার আগ্রহ সে কারনে লেখালিখির ব্যাপারেই বলি।

শিলা প্রসঙ্গে বলতে যেয়ে বলছিলাম লেখালিখির রেটিং এর কথা। বললাম যে আমি এই রেটিং এর ধার ধারি না। কিন্তু স্বীকার করতে লজ্জা নেই কেউ যখন আমার কোন লেখা পড়ে বলে লেখা ভালো হয়েছে, আপনাকে ৫ দিলাম। তখন সত্যি সত্যি মনের ভেতর একটা শিশুসুলভ ভালো লাগা এসে ঝিলিক দেয়। একে আমার সতর্ক মন রুখতে পারে না কোন মতেই।

শিলাকে দেখি এক ব্লগ থেকে ছুটে অন্য ব্লগে যেয়ে এই ভালো লাগাটি মানুষকে বিলায় অকাতরে। এই ৫ প্রদান কর্মসূচীতে নিশ্চই শিলার মুখটা সবসময় হাসি হাসি থাকে; এই স্বার্থে ভরা দুনিয়ায় মানুষ হয়ে মানুষের জন্য এটুকু করতে পারাকে আমি অনেক বড়ো মনে করি। শিলার সাথে কার কি ইতিহাস, ওর কি ভাবনাচিন্তা ও কেমন লিখে সর্বপরি কে আদম আর কে ইভ সে হয়তো ব্লগে যদি আগ্রহ ধরে রাখতে পারি এক দিন সব জানা যাবে। তবে আমার ব্লগ বাড়ীতে যেচে এসে পরিচয় করে শিলাই আমাকে প্রথম বাংলায় এক খান ৫ দিয়ে বলে ছিল, 'আমি ই প্রথম'। আমি সেটা মনে রেখেছি।

আজ ঘুমুতে যাবার আগে আমি অনেক ভেবেছি, ভেবেচিন্তে আমার এই একান্ত কিছু ভাবনা এখানে পোষ্ট করে গেলাম। যানি না কেন করলাম! লগ অফ করার আগে সবাইকে শুধু বলে যেতে চাই, শিলা আমার প্রথম ছিল প্রথমই রবে; যেমন আছে অনেকের। শিলার এই গুনটিকে আমি এপ্রিশিয়েট করি, শ্রদ্ধ্যা করি। ধন্যবাদ সবাই। ধন্যবাদ শিলা আপনাকে।

সকল ব্লগারের স্বাস্থ্য ও চিন্তার সুস্থতা এবং এই ব্লগটির রোগ মুক্ত দীর্ঘায়ু কামনা করছি। * ছবি পরিচিতি: বাংলাদেশী গ্রাফিক আর্টিষ্ট বন্ধু রবি খান এর ডিজিটাল পেইন্টং In search of feedom


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।