আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমার পরবর্তী স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র 'কর্কট' (পরিবর্তিত পাণ্ডুলিপি)। কেমন হবে এবার ?

জীবন বুনে স্বপ্ন বানাই মানবজমিনে অনেক চাষ চাই আপনাদের মূল্যবান পরামর্শগুলো কাজে লাগালাম। প্রায় সম্পূর্ণ স্ক্রিপ্টটা বদলে নতুন করে লিখতে হল। এবার নিশ্চয়ই আগের সমস্যাগুলো থাকবে না। সিনেমা পিপলস-এর পরিবেশনায় ম্যাজিক ইমেজ-এর প্রযোজনায় স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র - কর্কট। আগামী ২রা ফেব্রুয়ারি নারায়ণগঞ্জে শুটিং হবে।

আপনাদের মূল্যবান মতামত জানানোর জন্য অশেষ ধন্যবাদ। ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে অনলাইনে রিলিজ হবে। যথাসময়ে সবাইকে জানাব। আশা করি,আপনাদের ভালো লাগবে। নিচে পরিবর্তিত নতুন স্ক্রিপ্ট আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করলাম।

কোন সমস্যা থাকার কথা না, তারপরও কারো চোখে পড়লে জানাতে ভুলবেন না। আগাম ধন্যবাদ। কর্কট শাহজাহান শামীম গল্প সংক্ষেপ : একটা বালক শিশু খেলতে খেলতে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছে। তার হাতে একটা খাবারের পোটলা। এক সময় সে খাবারের পোটলা নিয়ে একটা দোকানে ঢোকে।

দোকানটি ফলের। বিশেষত সস্তা ফল কলার ছড়াছড়ি। লোকটি সে সময়ে কলা পাকানোর জন্য কার্বাইড ছিটাচ্ছিল। লোকটি তার বাবা। সে তার বাবার কাছাকাছি গিয়ে জানায়, তার মা পিঠা পাঠিয়েছে।

লোকটি পিঠা দূরে রাখতে বলে এবং ছেলেটিকেও দূরে সরে বসতে বলে। ছেলেটি খাবারের পোটলাটা রেখে দোকান থেকে বেরিয়ে যায়। খেলতে খেলতে বাড়ি ফিরতে থাকে। অন্য দিকে, দোকানে কলার ক্রেতা আসে। সে তার পাতিতে করে দুই কাদি কলা নিয়ে বাজারের দিকে যায়।

ছেলেটির সঙ্গে রাস্তায় তার মামার সঙ্গে দেখা হয়। মামা তাকে নিয়ে বাজারে আসে। বাজার থেকে কলা কেনে। কলা কিনে ভাগিনা বাড়ি ফেরে। শিশুটির মা তাকে কলা খেতে দেয়।

কলা খেয়ে ছেলেটির ডায়রিয়া হয়ে যায়। ছেলের অসুস্থতার কথা শুনে বাড়ি ফেরে লোকটা। তার স্ত্রী তার সঙ্গে কলা নিয়ে ঝগড়া করে এবং অপমান করে। তারা ছেলেকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়। রাতে ঘুমাতে গিয়ে লোকটি দুঃস্বপ্ন দেখে।

তার শিশুটি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে পচে গেছে। তার শিশুটির শরীর থেকে মাংস খুলে খুলে পড়ছে। সে সেই পচা মাংস খাচ্ছে। ভয় পেয়ে সে ঘুম থেকে জেগে ওঠে। পর দিন সকালে সে কার্বাইড ফেলে দেয়।

তার মন আনন্দে ভরে ওঠে। চরিত্রসূচি : নং নাম বয়স পরিচয় চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ০১ মোসলেম মিয়া ৪০ কলার আড়ৎদার ০২ আরমান ১০ আড়ৎদারের ছেলে ০৩ মোমেনা ৩০ আড়ৎদারের স্ত্রী ০৪ আবুল ২৫ কলা বিক্রেতা ০৫ নজরুল ২০ আড়ৎদারের শালা ০৬ কাসেম ২০ আড়তের কর্মচারী ০৭ নাহার ২০ নজরুলের প্রেমিকা দৃশ্য-০১ স্থান : একটি রাস্তা সময় : বিকাল চরিত্র : বালক আরমান আরমান রাস্তা দিয়ে নাচতে নাচতে আসছে। তার হাতে একটা পোটলা। বোঝা যায়, একটা বাটি কাপড় দিয়ে বাঁধা। টাইটেল আসতে থাকে।

দৃশ্য-০২ স্থান : কলার আড়ৎ। ভেতরের ঘর। সময় : বিকাল চরিত্র : আড়ৎদার মহাজন মোসলেম মিয়া, কর্মচারী কাসেম এবং মোসলেম মিয়ার বালক ছেলে আরমান কলার আড়তে একটা ড্রামে কার্বাইড মেশানো পানি। তাতে কলা চোবাচ্ছে আড়ৎদারের কর্মচারী কাসেম। মোসলেম মিয়া : কাম কদ্দুর ? কাসেম : (কাজ করতে করতে ) হুনলাম, মোবিল কোর্ট নাকি আবার আইতাছে।

মোসলেম মিয়া : কস কী ! কবে ? কাসেম : হেইডা জানলে তো সবার আগে ফুইট্যা যাইতাম। কে আর বারবার পাছায় বাড়ি খাইতে চায় ? মোসলেম মিয়া : মোবিল কোটের জ্বালায় তো ব্যবসা করন যাইত না। কয় দিন পর পর ম্যাজিস্ট্রেট বেটি আয়া কয়, আপনি কলায় কেমিক্যাল মিশিয়েছেন কেন ? জানেন, এটা জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ? আরে মাতারি, কার ক্ষতি, কার লাভ - এইডা আমার জাইন্যা কী লাভ ? আমি ব্যবসাহিত মানুষ। আমি আমার লাভ দেখমু। কেমিক্যাল না দিলে কলা পাকব কেমনে ? কিলাইয়া ? (কর্মচারীকে) বেশি কইরা চুবা।

কাসেম : বেশি দিলে তো গইল্যা মাডা হ্ইয়া যাইব। মোসলেম মিয়া : ক্যাচাল করস ক্যান ? যেমনে কইতাছি হেমনে কর। কাসেম : হুনলাম, এই ক্যামিক্যাল নাকি হেবি তুক্ষার। হাত নাকি খায়া ফালায়। মোসলেম মিয়া : কেডায় এই সব ভুয়া কথা কয় ? কলা পাকানির লিগা কেমিক্যাল মিলায় না কোন হালায় ? কার হাত খুইল্যা পড়ছে ? আর লাখ লাখ আদম সন্তান যে কলা খায়, তাগো কি ভুড়ি ক্ষয়া পড়ছে ? (ভেজা কলাটা মহাজন মোসলেম মিয়ার হাতে লেগে যায়।

মহাজন লুঙ্গি দিয়ে তার হাত মুছতে মুছতে থাকে। ) আরমান : (অফ স্ক্রিন ভয়েজ) বাবা মোসলেম মিয়া : (বাবা চমকে যায়) ভিতরে আহিস না, আমি আইতাছি। কাট। দৃশ্য-০৩ স্থান : কলার আড়ৎ। বাইরের দোকান।

সময় : বিকাল চরিত্র : আড়ৎদার মহাজন মোসলেম মিয়া, তার ছেলে আরমান এবং খুচরা কলা বিক্রেতা আবুল মোসলেম মিয়া ভেতরের ঘর থেকে দোকানে আসে। আরমান তার হাতে থাকা বাটি নামিয়ে রাখে। ছেলে : বাবা, পিঠা পাঠাইছে মা। (ছেলে তার পিঠার বাটি কলার কাদির সামনে রাখে। ) বাবা : ওইখানে রাখিস না, দূরে রাখ।

(বাবা নিজে বাটি দূরে সরিয়ে রাখে। বাবা টিফিন ক্যারিয়ার খুলতে যায়। এমন সময় কলা বিক্রেতা আসে। বিরক্ত হয়ে টিফিন ক্যারিয়ার সরিয়ে রাখে। ) বিক্রেতা আবুল : সালাম মহাজন।

(সালাম দিয়েই সে কলার কাছে চলে যায়। মহাজন হিসাবের খাতা বের করে। ) বিক্রেতা আবুল : (কলা দেখতে দেখতে) কলাডি তো ভালই। মোসলেম মিয়া : হাত দিবি না, এদিক আয়। (কলা বিক্রেতা আবুল ফিরে আসে) মোসলেম মিয়া : ট্যাকা দে।

আবুল : টেহা তো দিমুই। (কলা বিক্রেতা আবুল তার লুঙ্গির কোচড় থেকে টাকার পোটলা বের করে দেয়। মোসলেম টাকা গুনতে থাকে। অন্য দিকে কলা বিক্রেতা কলার কাদির কাছে ফিরে গিয়ে কলা গুনতে থাকে। ) মোসলেম মিয়া : (টাকা গোনা শেষে) পঞ্চাশ ট্যাকা কম দিলি ক্যান ? আবুল : (কলার কাদি পাতিতে রাখতে রাখতে) খাওনের ট্যাহা নাই।

পঞ্চাশটা ট্যাহা রাখছি। কালকা দিমু নে। মোসলেম মিয়া : অত কতার কাম নাই। ট্যাকা দে। আবুল : (লুঙ্গির কোচড় থেকে টাকা বের করতে করতে) তাইলে আর কী, না খায়াই থাকমু নে।

(বিক্রেতা আবুল পাতি তুলতে যায়। মোসলেম মিয়া বাধা দেয়। ) মোসলেম মিয়া : খাড়া, দেহি। (মোসলেম মিয়া পাতির কলাগুলো গুনে দেখে। ) মোসলেম মিয়া : আরেক পন লয়া যা।

আবুল : ব্যবসা খারাপ, এইডাই তো বেচতে পারি না। কলা বিক্রেতা আবুল পাতি তুলে চলে যায়। মহাজন মোসলেম মিয়া বাটি বা টিফিন ক্যারিয়ার খোলে। পকেট থেকে ৫টাকা বের করে ছেলেকে দেয়। ) মহাজন : (ছেলেকে) যা, রিক্সা দিয়া বাড়ি যা গা।

(ছেলে টাকা নিয়ে পকেটে রাখে। চলে যেতে গিয়ে ফিরে আসে। ) ছেলে : বাবা, দুইটা কলা দিবা। মহাজন : চোপ, বাড়ি যা। (ছেলে ভয় পেয়ে চলে যায়।

) কাট। দৃশ্য -০৪ স্থান : রাস্তা সময় : বিকাল চরিত্র : আরমান, তার মামা নজরুল এবং তার প্রেমিকা নাহার আরমান নাচতে নাচতে বাড়ি ফিরছে। হঠাৎ খেয়াল করে তার মামা নজরুল ও তার প্রেমিকা নাহার একটা গাছের নিচে বসে আছে। আরমান : মামা। (মামা চমকে যায়।

ঘাড় ঘুরিয়ে ভাগনেকে দেখে। ) আরমান : আামি যাই, মারে গিয়া কমু নে। (মামা নজরুল উঠে চলে আসে। প্রায় দৌড়ে গিয়ে ভাগনেকে ধরে। ) নজরুল : মামা, খাড়াও, কিছু খাইবা ? আরমান : খাওয়াইবা ? নজরুল : কী খাইবা ? আরমান : তাইলে কলা খাওয়াও।

নজরুল : চল, তোমারে কলা কিন্যা দেই। (নজরুল তার প্রেমিকা নাহারকে ইশারায় বসতে বলে ভাগিনার সঙ্গে চলে যায়। ) কাট। দৃশ্য -০৫ স্থান : বাজার সময় : বিকাল চরিত্র : নজরুল, তার ভাগিনা আরমান ও কলা বিক্রেতা আবুল কলা বিক্রেতা বাজারে কলার পাতি সাজিয়ে বসেছে। মামা ও ভাগিনা আসে।

নজরুল : (ভাগিনাকে) কোনটা নিবা, মামা। (ভাগিনা আরমান কলা দেখিয়ে দেয়) নজরুল : এই কলার হালি কত ? আবুল : দাম জিগান লাগত না। আমাগো মহাজনের পোলার লগে কি ব্যবসা করমু ? আরমান : আপনে না আব্বার আড়ৎ থিকা মাল নিয়া আইলেন ? আবুল : হ। নজরুল : তিন হালি দেন। কলা বিক্রেতা আবুল ৩ হালি কলা দেয়।

নজরুল : কত দিমু ? আবুল : মহাজনের পোলায় কলা খাইব, কী আর নিমু। ৫০ ট্যাহা দেন। (তারা ৫০ টাকা দিয়ে কলা নিয়ে বাড়ির দিকে রওয়ানা হয়। ) কাট। দৃশ্য-০৬ স্থান : আড়ৎদারের বাড়ি/ ঘরের ভেতর সময় : বিকাল চরিত্র : আরমান এবং তার মা মোমেনা মা বাসায় কাজ করছে।

ছেলে আসে। আরমান : মা, মামায় কলা কিন্যা দিছে। মোমেনা : তর মামায় কই ? আরমান : মামায় তো ...... কই জানি গেল। মা, একটা কলা খাই। মোমেনা : খা।

আরমান একটা কলা ছিড়ে মুখে দেয়। পরক্ষণে ওয়াক থু বলে ফেলে দেয়। মোমেনা : কী হইল, আরমান ? আরমান : কস্টি। এই কলা তো পাকে নাই। আর কেমন জানি গন্ধ।

মোমেনা : রাইখ্যা দে। রাইতে খাইস। মা পাশের ঘরে চলে যায়। আরমান একের পর এক কলা খেতে থাকে। তারপর কলার ছড়াটা নিয়ে বাইরে চলে যায়।

কাট। দৃশ্য-০৭ স্থান : একটি খেলার মাঠ সময় : বিকেল চরিত্র : আরমান এবং তার বন্ধুরা তারা ফুটবল খেলছে। হঠাৎ করে আরমান বসে পড়ে। জনৈক : কী হইছে ? আরমান : আমার পেট ব্যথা করতাছে। আমি বাড়ি যাই।

(আরমান চলে আসে। ওরা আবারও খেলতে থাকে। ) কাট। দৃশ্য-০৮ স্থান : আড়ৎদারের বাড়ি/বারান্দা সময় : রাত চরিত্র : মোসলেম মিয়া, মোমেনা এবং আরমান আরমান বমি করছে। তার পাশে বসে আছে তার মা।

আরমান বমি থামিয়ে হাপাচ্ছে। মোমেনা : ব্যথা কমছে ? আরমান : না, বমি পাইতাছে। মোমেনা : তর বাবায় আজকা আউক। আড়তের পচা কলা ক্যান বেচে হেইডা আগে জিগামু। কতক্ষণ আগে ফোন দিছি, অহনও খবর নাই।

আরমান : কলা পচা না মা, কষ্টি। (হন্তদন্ত হয়ে মোসলেম মিয়া আসে। ) মোসলেম মিয়া : কী হইছে আরমানের ? মোমেনা : তোমার আড়তের পচা কলা খায়া ডায়রিয়া। বমি, পায়খানা। মোসলেম মিয়া : আমি তো অরে কলা খাওয়াই নাই।

আরমান : মামায় বাজার থিকা কিন্যা দিছে। তোমার আড়তের কলাই। মোসলেম মিয়া : তর মামায় কার না কার কলা কিন্যা দিছে । আরমান : না, বাবা, তোমার আড়ৎ থিকা যেই ব্যাডা কলা আনে, হের থিকাই আমরা কিনছি। মোসলেম মিয়া : তর মামায় কিন্যা দিল আর নিয়া নিলি ? (মোমেনাকে) আর তোমার ভাইয়ে আমার পোলার পিছনে লাগছে ক্যান ? মোমেনা : ও অহন আমার ভাইয়ের দোষ হয়ে গেল।

তুমি যে পচা কলা বেচ, হেইডার কোন দোষ নাই। মোসলেম মিয়া : না, নাই। আমার আড়তে আমি কী বেচমু হেইডা আমার ব্যাপার। মোমেনা : হের লাইগাই তো শুনি কয় দিন পর পর পুলিশে ধইরা নিতে আহে। কেমিক্যাল মিলানোর লিগা জরিমানাও তো দিছ কয়েকবার ।

ভেজাল জিনিস বেচ, শরম লাগে না ? মোসলেম মিয়া : তুই এত বড় বড় কথা কবি না। মোমেনা : আমার পোলার কিছু হইলে তোমারে আমি ছাড়মু না। একদম মামলা কইরা জেলের ভাত খাওয়ামু। আরমান : বাবা, মা, আমার খুব খারাপ লাগতাছে। মোসলেম মিয়া : চল তরে ডাক্তারের কাছে নিয়া যাই।

(তারা ছেলেকে নিয়ে বেরিয়ে যায়। ) কাট। দৃশ্য-০৯ রাতে আড়ৎদার মোসলেম মিয়া দুঃস্বপ্ন দেখে। স্বপ্নদৃশ্য : সিরিজ অব শটস : ০১) ছেলের সামনে একটা বড় গামলা । তাতে প্রচুর কলা।

০২) ছেলে কলা খাচ্ছে। ০৩) বাবা তাকে কলা খেতে নিষেধ করছে। কিন্তু ছেলে শুনতে পাচ্ছে না। ০৪) ছেলের মুখের মাংস কলার মতো করে কালো হয়ে পচে যাচ্ছে। ০৫) বাবা চিৎকার করছে।

০৬) বাবার সামনে ছেলে গামলা তুলে ধরে । বাবা দেখে তাতে পচা মাংস। ০৭) ছেলে তার মুখ থেকে পচা মাংস খুলে গামলায় রাখে । বাবাকে খেতে বলে। ০৮) বাবা ভয় পেয়ে চিৎকার করতে থাকে।

কিন্তু তার মুখ থেকে গোঙ্গানি ছাড়া কোন শব্দ বের হয় না। ০৯) বাবাকে জোর করে পচা মাংস খাওয়ায় ছেলে। আতঙ্কে গো গো করতে করতে বাবা মোসলেম মিয়া জেগে ওঠে। দেখে তার তার পাশে পরম নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছে তার ছেলে আরমান এবং স্ত্রী মোমেনা। তাদের দেখে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে বাবা।

কাট। দৃশ্য-১০ স্থান : একটি ময়লা ফেলার স্থান সময় : সকাল চরিত্র : মোসলেম মিয়া ও তার কর্মচারী কাসেম। বিরক্ত মনে কাধে করে ড্রাম নিয়ে আসে কাসেম। মোসলেম মিয়া ও কাসেম মিলে সেই ড্রাম নামায় ময়লার ঢিবির সামনে। তারপর ড্রামে থাকা সকল তরল ময়লার ঢিবিতে ফেলে দেয় মোসলেম মিয়া।

তার মন খুশিতে ভরে ওঠে। ফেড আউট। এন্ড টাইটেল। মূল পোস্ট বা পূর্বের পোস্ট : সিনেমা পিপলস-এর পরিবেশনায় ম্যাজিক ইমেজ-এর প্রযোজনায় আমার পরবর্তী স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র - কর্কট। আগামী ২রা ফেব্রুয়ারি নারায়ণগঞ্জে শুটিং হবে।

৬ থেকে ৮ মিনিটের এই চলচ্চিত্রের পাণ্ডুলিপি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করলাম। কেমন হবে এই চলচ্চিত্রটি ? আপনাদের মূল্যবান মতামত জানান। কর্কট শাহজাহান শামীম গল্প সংক্ষেপ : একটা বালক শিশু খেলতে খেলতে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছে। তার হাতে একটা খাবারের পোটলা। এক সময় সে খাবারের পোটলা নিয়ে একটা দোকানে ঢোকে।

দোকানটি ফলের। বিশেষত সস্তা ফল কলার ছড়াছড়ি। লোকটি সে সময়ে কলা পাকানোর জন্য কার্বাইড ছিটাচ্ছিল। লোকটি তার বাবা। সে তার বাবার কাছাকাছি গিয়ে জানায়, তার মা পিঠা পাঠিয়েছে।

লোকটি পিঠা দূরে রাখতে বলে এবং ছেলেটিকেও দূরে সরে বসতে বলে। ছেলেটি খাবারের পোটলাটা রেখে দোকান থেকে বেরিয়ে যায়। খেলতে খেলতে বাড়ি ফিরতে থাকে। অন্য দিকে, দোকানে কলার ক্রেতা আসে। সে তার পাতিতে করে দুই কাদি কলা নিয়ে বাজারের দিকে যায়।

ছেলেটির সঙ্গে রাস্তায় তার মামার সঙ্গে দেখা হয়। মামা তাকে নিয়ে বাজারে আসে। বাজার থেকে কলা কেনে। কলা কিনে ভাগিনা বাড়ি ফেরে। শিশুটির মা তাকে কলা খেতে দেয়।

কিন্তু কলা কাচা বলে সে খেতে পারে না। রাতে লোকটি বাড়ি ফেরে। তার স্ত্রী খাবার পর কলা দেয়। লোকটি কলা খায় না। বরং ঝগড়া করে কলাটি বাইরে ফেলে দেয় ।

রাতে ঘুমাতে গিয়ে লোকটি দুঃস্বপ্ন দেখে। তার শিশুটি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে পচে গেছে। তার শিশুটির শরীর থেকে মাংস খুলে খুলে পড়ছে। সে সেই পচা মাংস খাচ্ছে। ভয় পেয়ে সে ঘুম থেকে জেগে ওঠে।

পর দিন সকালে সে তার দোকান থেকে সব কলা নিয়ে ফেলে দেয়। কার্বাইড ফেলে দেয়। তার মন আনন্দে ভরে ওঠে। চরিত্রসূচি : নং নাম বয়স পরিচয় চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ০১ মোসলেম মিয়া ৪০ কলার আড়ৎদার ০২ আরমান ১০ আড়ৎদারের ছেলে ০৩ মোমেনা ৩০ আড়ৎদারের স্ত্রী ০৪ আবুল ২৫ কলা বিক্রেতা ০৫ নজরুল ২০ আড়ৎদারের শালা ০৬ কাসেম ২০ আড়তের কর্মচারী ০৭ নাহার ২০ নজরুলের প্রেমিকা দৃশ্য-০১ স্থান : একটি রাস্তা সময় : বিকাল চরিত্র : বালক আরমান আরমান রাস্তা দিয়ে নাচতে নাচতে আসছে। তার হাতে একটা পোটলা।

বোঝা যায়, একটা বাটি কাপড় দিয়ে বাঁধা। টাইটেল আসতে থাকে। দৃশ্য-০২ স্থান : কলার আড়ৎ। ভেতরের ঘর। সময় : বিকাল চরিত্র : আড়ৎদার মহাজন মোসলেম মিয়া, কর্মচারী কাসেম এবং মোসলেম মিয়ার বালক ছেলে আরমান কলার আড়তে একটা ড্রামে কার্বাইড মেশানো পানি।

তাতে কলা চোবাচ্ছে আড়ৎদারের কর্মচারী কাসেম। মোসলেম মিয়া : কাম কদ্দুর ? কাসেম : (কাজ করতে করতে ) হুনলাম, মোবিল কোর্ট নাকি আবার আইতাছে। মোসলেম মিয়া : কস কী ! কবে ? কাসেম : হেইডা জানলে তো সবার আগে ফুইট্যা যাইতাম। কে আর বারবার পাছায় বাড়ি খাইতে চায় ? মোসলেম মিয়া : মোবিল কোটের জ্বালায় তো ব্যবসা করন যাইত না। কয় দিন পর পর ম্যাজিস্ট্রেট বেটি আয়া কয়, আপনি কলায় কেমিক্যাল মিশিয়েছেন কেন ? জানেন, এটা জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ? আরে মাতারি, কার ক্ষতি, কার লাভ - এইডা আমার জাইন্যা কী লাভ ? আমি ব্যবসাহিত মানুষ।

আমি আমার লাভ দেখমু। কেমিক্যাল না দিলে কলা পাকব কেমনে ? কিলাইয়া ? (কর্মচারীকে) বেশি কইরা চুবা। কাসেম : পুলাপানের নুনুর লাগান কলা। বেশি দিলে তো গইল্যা মাডা হ্ইয়া যাইব। মোসলেম মিয়া : ক্যাচাল করস ক্যান ? যেমনে কইতাছি হেমনে কর।

কাসেম : হুনলাম, এই ক্যামিক্যাল নাকি হেবি তুক্ষার। হাত নাকি খায়া ফালায়। মোসলেম মিয়া : কেডায় এই সব ভুয়া কথা কয় ? কলা পাকানির লিগা কেমিক্যাল মিলায় না কোন হালায় ? কার হাত খুইল্যা পড়ছে ? আর লাখ লাখ আদম সন্তান যে কলা খায়, তাগো কি ভুড়ি ক্ষয়া পড়ছে ? (ভেজা কলাটা মহাজন মোসলেম মিয়ার হাতে লেগে যায়। মহাজন লুঙ্গি দিয়ে তার হাত মুছতে মুছতে থাকে। ) আরমান : (অফ স্ক্রিন ভয়েজ) বাবা মোসলেম মিয়া : (বাবা চমকে যায়) ভিতরে আহিস না, আমি আইতাছি।

ইন্টার কাট। দৃশ্য-০৩ স্থান : কলার আড়ৎ। বাইরের দোকান। সময় : বিকাল চরিত্র : আড়ৎদার মহাজন মোসলেম মিয়া, তার ছেলে আরমান এবং খুচরা কলা বিক্রেতা আবুল মোসলেম মিয়া ভেতরের ঘর থেকে দোকানে আসে। আরমান তার হাতে থাকা বাটি নামিয়ে রাখে।

ছেলে : বাবা, পিঠা পাঠাইছে মা। (ছেলে তার পিঠার বাটি কলার কাদির সামনে রাখে। ) বাবা : ওইখানে রাখিস না, দূরে রাখ। (বাবা নিজে বাটি দূরে সরিয়ে রাখে। পকেট থেকে ৫টাকা বের করে ছেলেকে দেয়।

) মহাজন : যা, রিক্সা দিয়া বাড়ি যা গা। (ছেলে টাকা নিয়ে পকেটে রাখে। চলে যেতে গিয়ে ফিরে আসে। ) ছেলে : বাবা, দুইটা কলা দিবা। মহাজন : চোপ, বাড়ি যা।

(ছেলে ভয় পেয়ে চলে যায়। বাবা টিফিন ক্যারিয়ার খুলতে যায়। এমন সময় কলা বিক্রেতা আসে। বিরক্ত হয়ে টিফিন ক্যারিয়ার সরিয়ে রাখে। ) বিক্রেতা আবুল : সালাম মহাজন।

(সালাম দিয়েই সে কলার কাছে চলে যায়। মহাজন হিসাবের খাতা বের করে। ) বিক্রেতা আবুল : (কলা দেখতে দেখতে) কলাডি তো ভালই। মোসলেম মিয়া : হাত দিবি না, এদিক আয়। (কলা বিক্রেতা আবুল ফিরে আসে) মোসলেম মিয়া : ট্যাকা দে।

আবুল : টেহা তো দিমুই। (কলা বিক্রেতা আবুল তার লুঙ্গির কোচড় থেকে টাকার পোটলা বের করে দেয়। মোসলেম টাকা গুনতে থাকে। অন্য দিকে কলা বিক্রেতা কলার কাদির কাছে ফিরে গিয়ে কলা গুনতে থাকে। ) মোসলেম মিয়া : (টাকা গোনা শেষে) পঞ্চাশ ট্যাকা কম দিলি ক্যান ? আবুল : (কলার কাদি পাতিতে রাখতে রাখতে) খাওনের ট্যাহা নাই।

পঞ্চাশটা ট্যাহা রাখছি। কালকা দিমু নে। মোসলেম মিয়া : অত কতার কাম নাই। ট্যাকা দে। আবুল : (লুঙ্গির কোচড় থেকে টাকা বের করতে করতে) তাইলে আর কী, না খায়াই থাকমু নে।

(বিক্রেতা আবুল পাতি তুলতে যায়। মোসলেম মিয়া বাধা দেয়। ) মোসলেম মিয়া : খাড়া, দেহি। (মোসলেম মিয়া পাতির কলাগুলো গুনে দেখে। ) মোসলেম মিয়া : আরেক পন লয়া যা।

আবুল : ব্যবসা খারাপ, এইডাই তো বেচতে পারি না। কলা বিক্রেতা আবুল পাতি তুলে চলে যায়। মহাজন মোসলেম মিয়া বাটি বা টিফিন ক্যারিয়ার খোলে। কাট। দৃশ্য -০৪ স্থান : রাস্তা সময় : বিকাল চরিত্র : আরমান, তার মামা নজরুল এবং তার প্রেমিকা নাহার আরমান নাচতে নাচতে বাড়ি ফিরছে।

হঠাৎ খেয়াল করে তার মামা নজরুল ও তার প্রেমিকা নাহার একটা গাছের নিচে বসে আছে। আরমান : মামা। (মামা চমকে যায়। ঘাড় ঘুরিয়ে ভাগনেকে দেখে। ) আরমান : আামি যাই, মারে গিয়া কমু নে।

(মামা নজরুল উঠে চলে আসে। প্রায় দৌড়ে গিয়ে ভাগনেকে ধরে। ) নজরুল : মামা, খাড়াও, কিছু খাইবা ? আরমান : খাওয়াইবা ? নজরুল : কী খাইবা ? আরমান : তাইলে কলা খাওয়াও। নজরুল : চল, তোমারে কলা কিন্যা দেই। (নজরুল তার প্রেমিকা নাহারকে ইশারায় বসতে বলে ভাগিনার সঙ্গে চলে যায়।

) কাট। দৃশ্য -০৫ স্থান : বাজার সময় : বিকাল চরিত্র : নজরুল, তার ভাগিনা আরমান ও কলা বিক্রেতা আবুল কলা বিক্রেতা বাজারে কলার পাতি সাজিয়ে বসেছে। মামা ও ভাগিনা আসে। নজরুল : (ভাগিনাকে) কোনটা নিবা, মামা। (ভাগিনা আরমান কলা দেখিয়ে দেয়) নজরুল : এই কলার হালি কত ? আবুল : ২০ টাকা হালি নজরুল : তিন হালি দেন।

৫০ টাকা পাইবেন। আবুল : আর ৫টা টাকা দিয়েন। ঠক হয়ে যায়। নজরুল : আপনে গো তো খালি ঠকই হয়ে যায়। দিবেন নাকি কন ? আবুল : কী আর করা।

নেন। বিক্রেতা আবুল তিন হালি কলা দেয়। তারা ৫০ টাকা দিয়ে কলা নিয়ে বাড়ির দিকে রওয়ানা হয়। কাট। দৃশ্য-০৬ স্থান : আড়ৎদারের বাড়ি/ ঘরের ভেতর সময় : বিকাল চরিত্র : আরমান এবং তার মা মোমেনা মা বাসায় কাজ করছে।

ছেলে আসে। আরমান : মা, মামায় কলা কিন্যা দিছে। মোমেনা : তর মামায় কই ? আরমান : মামায় তো ...... কই জানি গেল। মা, একটা কলা খাই। মোমেনা : খা।

আরমান একটা কলা ছিড়ে মুখে দেয়। পরক্ষণে ওয়াক থু বলে ফেলে দেয়। মোমেনা : কী হইল, আরমান ? আরমান : কস্টি। এই কলা তো পাকে নাই। মোমেনা : রাইখ্যা দে।

রাইতে খাইস। আরমান উঠে বাইরে চলে যায়। মা কাজ করতে থাকে। কাট। দৃশ্য-০৭ স্থান : একটি খেলার মাঠ সময় : বিকেল চরিত্র : আরমান এবং তার বন্ধুরা তারা ফুটবল খেলছে।

দৃশ্য-০৮ স্থান : আড়ৎদারের বাড়ি/ঘরের ভেতর সময় : রাত চরিত্র : মোসলেম মিয়া, মোমেনা এবং আরমান রাতের খাবারের পর আড়ৎদার মোসলেম মিয়াকে কলা দেয় তার স্ত্রী মোমেনা । কলা নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া লাগে। সে কলা না খেয়ে জানালা দিয়ে ফেলে দেয়। আড়ৎদার মোসলেম মিয়া খাওয়া শেষ করে। মোমেনা একটা বাটিতে দুধ ও কলা নিয়ে আসে।

সে মোসলেম মিয়ার হাতে গামছা দিয়ে তার সামনে বাটি নামিয়ে রাখে। মোসলেম মিয়া : জানো না, আমি কলা খাই না। আনল কেডা ? মোমেনা : আমার ভাইয়ে আনছে । খাও। মোসলেম মিয়া : না, খামু না।

মোমেনা : ক্যান, খাইবা না ক্যান ? নিজের কত বড় কলার আড়ৎ। নিজে তো হাতে কইরা কলা আনো না, মাইনসে আনলে বিরক্ত হও। পোলাডার লিগাও তো আনতে পার। খাইতেও পারে না, খাওয়াতেও পারে না। কিপ্টার গুষ্টি, কিপটা।

এই গুষ্টির লগে বিয়া হয়ে জীবনটা শেষ হয়ে গেল। (মোমেনা গজ গজ করতে করতে থালা বাটি তুলতে থাকে। এমন সময় আরমান এসে তার বাবার রেখে দেয়া কলাটা মুখে দেয়। তার বাবা তাকে চড় মারে। ) মোসলেম মিয়া : এই তুই কলা খাইলি ক্যান ? আরমান : মা, আমারে মারে।

মোমেনা : পোলাডারে মারলা ক্যান ? মোসলেম মিয়া : এই বাড়িতে কলা ঢুকব না। এই বাড়িতে কোন দিনও কলা ঢুকব না। পাশে বেড়ার সঙ্গে ঝোলানো কলা নিয়ে বাইরে ফেলে দেয়। হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে থাকে মোমেনা। কাট।

দৃশ্য-০৯ রাতে আড়ৎদার মোসলেম মিয়া দুঃস্বপ্ন দেখে। স্বপ্নদৃশ্য : সিরিজ অব শটস : ০১) ছেলের সামনে একটা বড় গামলা । তাতে প্রচুর কলা। ০২) ছেলে কলা খাচ্ছে। ০৩) বাবা তাকে কলা খেতে নিষেধ করছে।

কিন্তু ছেলে শুনতে পাচ্ছে না। ০৪) ছেলের মুখের মাংস কলার মতো করে কালো হয়ে পচে যাচ্ছে। ০৫) বাবা চিৎকার করছে। ০৬) বাবার সামনে ছেলে গামলা তুলে ধরে । বাবা দেখে তাতে পচা মাংস।

০৭) ছেলে তার মুখ থেকে পচা মাংস খুলে গামলায় রাখে । বাবাকে খেতে বলে। ০৮) বাবা ভয় পেয়ে চিৎকার করতে থাকে। কিন্তু তার মুখ থেকে গোঙ্গানি ছাড়া কোন শব্দ বের হয় না। ০৯) বাবাকে জোর করে পচা মাংস খাওয়ায় ছেলে।

আতঙ্কে গো গো করতে করতে বাবা মোসলেম মিয়া জেগে ওঠে। দেখে তার তার পাশে পরম নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছে তার ছেলে আরমান এবং স্ত্রী মোমেনা। তাদের দেখে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে বাবা। কাট। দৃশ্য-১০ স্থান : নদীর তীর সময় : সকাল চরিত্র : মোসলেম মিয়া ও তার কর্মচারী কাসেম।

বিরক্ত মনে কাধে করে ড্রাম নিয়ে আসে কাসেম। মোসলেম মিয়া ও কাসেম মিলে সেই ড্রাম নামায় নদীর তীরে। তারপর ড্রামে থাকা সকল তরল নদীতে ফেলে দেয় মোসলেম মিয়া। তার মন খুশিতে ভরে ওঠে। ফেড আউট।

এন্ড টাইটেল। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।