mojnu@noakhaliweb.com.bd
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের চরপার্বতী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক কাজী ওমর ফারুক জুলহাসকে (২৫) রবিবার রাতে পূর্ব শত্র“তার জের ধরে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে হত্যা করেছে। এ ব্যাপারে কোম্পানীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যদর্শীরা জানান, রবিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে ছাত্রদল নেতা জুলহাস বাড়ি থেকে চৌধুরীহাট যাওয়ার পথে ক্বারী বাড়ির দরজায় আগে থেকে ওত পেতে থাকা অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা তাকে এলোপাথাড়ী কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। স্থানীয় লোকজন মূমুর্ষ অবস্থায় তাকে প্রথমে কোম্পানীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে নোয়াখালী জেনারেল হসপিটালে নেয়ার পর রাত সাড়ে ১০টায় তার মৃত্যু হয়। সে চরপার্বতী ইউনিয়নের ৬ নাম্বার ওয়ার্ডের পেয়ার আহম্মদের ছেলে।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা পেয়ার আহম্মদ বাদি হয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। কোম্পানীগঞ্জ থানার ডিউটি অফিসার এসআই সোহেল আহম্মদ জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই ইয়াহিয়া খান ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছেন। তবে মামলায় কয়জন বা কাদেরকে আসামি করা হয়েছে পুলিশ তা জানায়নি।
স্থানীয় গ্রামবাসিরা জানান, জুলহাস নিজ বাড়ির দরজায় নতুন মসজিদের নির্মাণ কাজ শুরু করলে পুরাতন মসজিদ কমিটির সাথে গত কয়েক দিন উত্তেজনা বিরাজ করে। এ ঘটনাকে পুজি করে পূর্বের রাজনৈতিক প্রতিপ আওয়ামীলীগ দলীয় সশস্ত্র ক্যাড়াররা তাকে কুপিয়ে হত্যা করতে পারে বলে এলাকাবাসি ধারনা করছে।
এদিকে সোমবার বিকালে ময়না তদন্ত শেষে জুলহাসের লাশ তার চরপার্বতী গ্রামের বাড়িতে নেয়া হলে সেখানে এক হৃদয় বিদরক দৃশ্যের অবতারনা হয়। পরে পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুরো গ্রামে শোকের ছায়া ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। অন্যদিকে পুলিশি গ্রেফতার এড়াতে ওই এলাকা পুরুষ শুন্য হয়ে পড়েছে।
-ইকবাল হোসেন মজনু
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।