আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মুখোশধারী ইসলামবিরোধী অন-লাইন যোদ্ধারা - ২

বুদ্ধি-বিবেক বর্জিত সব ধরণের সন্ত্রাসী ঘটনার নিন্দা জানাই। আসুন মানুষের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করার সংগ্রামে নিয়োজিত হই।

"ইছামতির পাড়ে" এর অনুরোধে তাঁর ব্লগের লেখাটা এখানে হোস্ট করছি। মূল এখানে এদের মধ্যে সম্ভবত সবচে’ এগিয়ে রয়েছেন কানাডার টরোন্টোতে বসবাসরত ‘ফতেমোল্লা’। আসল নাম হাসান মাহমুদ।

বাংলারইসলাম ডট কম নামে একটি ওয়েবসাইট চালান তিনি। ইচ্ছেমত ইসলামের বিরুদ্ধে মনগড়া ব্যাখ্যা দিয়ে লিখে চলেছেন অবিরত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বায়োকেমিস্ট্রিতে লেখাপড়া করলেও এখন তিনি মুসলিম নামধারীদের নিয়ে মুসলমানদের উস্কে দেয়া সংগঠন মুসলিম কানাডিয়ান কংগ্রেস বা এমসিসি’র শারীয়া অ্যান্ড ইসলামিক ল’ বিভাগের ডিরেক্টর। সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা পাকিস্থানের তারেক ফাতাহ্‌। উল্লেখ্য, মুসলিম সার্কেল অফ কানাডা বা এমসিসি নামে আরেকটি বাংলাদেশী মুসলমানদের সংগঠনের অস্তিত্ব রয়েছে যারা কিনা নিজ দেশের মানুষদের সমস্যা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।

যাহোক, মুসলিম নাম ব্যবহার করে পশুত্বেরও বিরোধী সমকামী আন্দোলনকেও ইসলামের সহমত মানবাধিকার আখ্যা দিয়ে তারেক ফাতাহ্ ও ফতেমোল্লার দল কিভাবে মুসলমানদের সর্বনাশ করে চলেছে তা কৌতুহলী পাঠকেরা তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট মুসলিমকানাডিয়ানকংগ্রেস ডট অর্গ ব্রাউজ করলেই বুঝতে পারবেন। ২০০৫ সালে কানাডার অন্টারিও প্রদেশে পারিবারিক সমস্যা সমাধানের জন্য আর্বিট্রেশন এ্যাক্টকে বিভিন্ন ধর্মীয় কোর্টে স্থানান্তরের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে নিয়মতান্ত্রিক ও যুক্তিভিত্তিক আন্দোলন না চালায়ে শারীয়া আইন নিয়ে ঘৃণ্য ও কুৎসিত অপপ্রচারে মেতে ওঠে এই এমসিসি। ড: তাজ হাশমীকে সাথে করে ফতেমোল্লা তার নিজের ভাষায় '৭১-র মত গর্জে উঠে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন! নিয়তের পরিহাসে এবার তিনি সহযোদ্ধা হিসেবে বাংগালীর বদলে পেয়েছেন পাকিস্তানী তারেক ফাতাহসহ পারভেজী, ইয়াজিদী, পারসিক, বাহাঈ, কালদিয়ান সম্প্রদায়ের মুসলিম নামধারী অন্য ধর্মের কিছু অনুসারী, যাদের সম্মন্ধে আমেরিকা ও কানাডার মুসলিম স্কলাররা নাম বিভ্রাটে পড়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সর্বদা সতর্ক করেন। পাঠকরা হয়তো জেনে থাকবেন, মধ্যপ্রাচ্যের সব দেশে ইসলাম ছাড়া অন্য সব ধর্মের অনুসারীরাও আরবি ভাষাভাষী হওয়ায় মুসলিম ধরণের নাম (যেমন, রইস, মাহমুদ, আব্বাস, নাফিস, আব্দুল্লাহ ইত্যাদি) ও ইসলামী পরিভাষা (যেমন আল্লাহ, সালাম, জাযাকাল্লাহ ইত্যাদি) ব্যবহারসহ সুন্দর করে কুরআন তেলয়াত ও লম্বা সাদা মাথা ঢাকা কোর্তা পরিধান করেন। অথচ বিশ্বাসে ইসলামের সাথে আকাশ পাতাল ফারাক।

যেমন, ইরাকে যীশু খ্রীষ্টের জন্মেরো আগে থেকে আজ পর্যন্ত ক্ষুদ্র ইয়াজিদী সম্প্রদায়ের অস্তিত্ব রয়েছে যারা ঘোষণা দিয়ে শয়তানের ঊপাসনা করে, পারসিকরা এখনো আগুন জালিয়ে চারদিকে জড়ো হয়ে আগুনের নিকট ভাল-মন্দ প্রার্থণা করে, পারভেজীরা তো মুহম্মদকে পুরোপুরি অস্বীকার করে ইত্যাদি । উক্ত এমসিসি’র ক্ষুদ্র এ দল কানাডা সরকারের উদার ও মুক্তনীতির আনুকূল্যে বিভিন্ন টক শো’তে অংশ নিয়ে পলিটিকেল ইসলাম থেকে সরে মুহম্মদ (সাঃ) এর জন্মের ছয়শো বছর পরে বিস্তৃত সুফী ইসলাম এর দিকে আসতে মুসলমানদেরকে নসিহত করেন যদিও নিজেরা কোনটিতেই আস্থা রাখেন বলে প্রতীয়মান হয় না। এরা কানাডায় বসে শারীয়া আইনকে ইসলাম বিরোধী আখ্যায়িত করে একে শুদ্ধ পথে নিয়ে আসার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন (দৈনিক নিউএজ, ১৮ই এপ্রিল, ২০০৫)। যেটি তারা নিজ নিজ দেশে ফেরত গিয়ে করলেই বেশী মানাত। অনলাইন সাপ্তাহিকী ‘সাপ্তাহিক ২০০০’ এর জন্য অটোয়ায় থাকা ছড়াকার লুৎফর রহমান রিটনের সাথে সাক্ষাৎকারে হঠাৎ গজিয়ে উঠা এই মোল্লা বলেছেন, ‘পয়গম্বর’ মানে হলো পয়গাম অর্থাৎ বার্তাবাহক, রাজনীতিক নয়।

কোরআন শেষ নবীকে শুধু পয়গাম পৌছে দিতে বলেছে এবং বলেছে -‘ তুমি তাদের শাসক নও। ‘ সংগীত সম্মন্ধে বলেছেন, সমস্ত সৃষ্টিটাই তো একটা সংগীত, কোরআন নিজেই এক মহাসংগীত। হজরত দাউদ (আঃ) নিজেই সংগীতজ্ঞ ছিলেন (Click This Link)। ফতেমোল্লাকে সম্বোধণ করে ডঃ তাজ হাশমী লিখেছেন, আমি বিশ্বাস করি শুধুমাত্র কুর’আনের শিক্ষাদানের মাধ্যমে ইসলামকে পরিশুদ্ধ করার এখনোই উপযুক্ত সময়, ইমাম বুখারী-গাজ্জালী-আবু হানিফা যা করতে বলেছেন তার মাধ্যমে নয় (দৈনিক নিউএজ, ১৮ই এপ্রিল, ২০০৫)। উল্লেখ্য, ডঃ তাজ হাশমী কানাডার ভ্যানকোভারে সিমন ফ্রেজার বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামের ইতিহাস পড়ান, ‘নো টু পলিটিকেল ইসলাম’ এর কনভেনর এবং ‘উইমেন এন্ড ইসলাম ইন বাংলাদেশ’ গ্রন্থের লেখক।

নিউইয়র্ক ও নিউ অরলিয়েন্স থেকে ডঃ জাফর উল্লাহ নামে আরেকজন অধ্যাপক নেটে ইসলামের বিরুদ্ধে ক্লান্তিহীনভাবে যাচ্ছে তাই লিখে মুসলিমদেরকে উস্কে দেয়ার কাজে লিপ্ত রয়েছেন। তরুন ইসলামী চিন্তাবিদ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি শিক্ষার্থী মুঃ সাইদুল ইসলামের এক ক্ষুরধার লেখার জবাব এনএফবি (News From Bangladesh)-তে এভাবে দিয়েছেন, বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত ইন্টারনেট ফ্রি থিংকাররা মুহম্মদের বাণী (মুসলিমরা যাকে কুর’আন বলে)-কে সম্পুর্ণ প্রত্যাখান করেছেন (Click This Link 31&hidType=OPT&hidRecord=0000000000000000004863)। পশ্চিম বাংলার তসলিমার ঘনিষ্ঠ অনুসারী মুহম্মদ আসগর বা ইঞ্জিনিয়ার আসগরকে সাথে করে ডঃ জাফর জায়নবাদীদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ওয়েব সাইটসমূহে ইসলামকে বিশ্বের সমস্ত অশান্তির মুল কারণ এবং বাংলাদেশের সমস্ত সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের পেছনে ইসলামের গন্ধ খুঁজে বের করার নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আরেক নরাধম নাইন ইলেভেনের পরে নিজ ধর্ম ইসলাম ত্যাগ করেছেন বলে আত্মপ্রচার করে এর বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ানোর কাজে সর্বশক্তি নিয়োজিত করেছেন মুহম্মদ (সাঃ) এর ডাক নাম ‘আবুল কাসেম’ নাম ধারণ করে (Click This Link)। কেনইবা মুসলিম হয়েছিলেন আবার কেনইবা তা ছেড়েছেন সেদিকে না যেয়ে পবিত্র কুরআনের বিভিন্ন শব্দের বিকৃত ব্যাখ্যা দিয়ে ইহুদী ও খ্রীষ্টানদেরকে মুসলমানদের বিরুদ্ধে উত্তেজনা সৃষ্টির কাজ নির্লজ্জের মত চালিয়ে যাচ্ছেন।

যেমন, ‘মুশরিক’ শব্দের অনুবাদ ‘মুর্তিপূজারী’ না করে এই নরাধম জেনে বা না জেনে ইহুদী-খ্রীষ্টান ও অবিশ্বাসীদেরকে এক কাতারে নিয়ে এসে নিজের মত করে ব্যাখ্যা দাঁড় করায়ে ইসলামের শ্ত্রুদের পোষা ক্রীড়নক হিসেবে ব্যবহ্নত হচ্ছেন। অথচ তার উদ্দেশ্য ভাল হলে বিভিন্ন ধর্মের মধ্যকার মিলসমুহ বের করে শান্তির অমিল বাণী প্রচার করতে পারতেন। অধিকন্ত, তিনি পবিত্র কুর’আন যে ঐশী গ্রন্থ না তা প্রমাণ করার অপচেষ্টায় কবি ইমরুল কায়েস, যায়েদ বিন আ’মর বিন নওফেল, কবি লাবিদ, ওরাকা, হাসান বিন সাবিতসহ ১৫ জনের তালিকা তৈরি করে এই বলে প্রোপাগান্ডা চালিয়ে যাচ্ছে যে তাদের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ প্রভাবেই মুহম্মদ এই গ্রন্থটি রচনা করেছেন! ইন্টারনেটের আরেকজন মুখোশধারী লেখক ওয়াশিংটন থেকে নিয়মিত লেখেন তিনি হলেন সাইদ কামরান মির্জা। আসল নাম ডঃ খোরশেদ আলম চৌধুরী। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হয়ে রাশিয়া থেকে পিএইচডি ডিগ্রী নিয়ে আমেরিকার ফেডারেল কৃষি বিভাগে চাকরি করেন।

কোরআন পড়াশোনা করে তিনি যা পেয়েছেন তা হলো “..............চাকরানীর সাথে যৌন সম্পর্ক দিব্বি করা যাবে, অন্য ধর্মের মানুষ হত্যা করলে ছওয়াব হবে, অমুসলিম মরলে তার জন্য বদদোয়া করতে হবে, ইসলাম ছাড়া অন্যসব ধর্মকে মেরে তাবা করতে হবে, স্ত্রীদেরকে দিব্বি পেটানো যাবে, মেয়ে মানুষকে (চেহারা ঢেকে) বোরখা পড়াতে হবে এবং গৃহে বন্দী রাখতে হবে...... । ইসলাম বর্তমান বিশ্বের সভ্যতার প্রতি একটা বিরাট হুমকি হয়ে দাড়িয়েছে। তাই ইসলামের বিষদাঁত ভেংগে শান্তির ধর্ম বানানো সবার আজ দায়িত্ব। .........এটা হবে তখন শান্তির ইসলাম, যেমনটি আমরা দেখতে পাচ্ছি শান্তির খ্রীস্টান, শান্তির জুইশ, শান্তির হিন্দু এবং শান্তির বৌদ্ধ বহাল তবিয়তে আছে............. (http://www.shodalap.com/_MUKHOS_1.htm)। ‘ সহযোগী হিসেবে সাথে রেখেছেন একই পথের পথিক বন্ধু জামাল হাসানকে।

এদের যোগসুত্র বের করতে গিয়ে অনলাইন জার্নাল সদালাপের তৎকালীন সম্পাদক জিয়াউদ্দীন জামাল হাসানের ই-মেইলের বরাত দিয়ে লিখেছেন, ‘After we moved to this region and as I started to work with Dept. of Justice,……..I contacted my friend Dr. Khurshed Chowdhury……..(Date: Fri13,2001,5:30PM)। ‘ দিগন্ত, নন্দিনী হোসেন, ঢাকাইয়া, নিত্যানন্দ, পরশপাথর, আবীসিনা, আমিল ইমানী, আয়েশা আহমেদ, দারিউস সিরাজী, ইমরান হোসেন, মোহাঃ সগীর, শেরখান, সাব্বির আহমেদ, সাইয়্যেদ এম. ইসলাম, সাইয়্যেদ ইব্রাহীমসহ অন্য যে কোন নামেই ছাপা হোক না কেন, এটা যে রসুনের এক একটি কোয়া আর রসুনটি যে টলারেন্সের ঠিকাদার সেটি যে ফেইথফ্রিডম ডট অর্গ (http://www.faithfreedom.org/Authors.htm)তা আর কাউকে বলে কয়ে বুঝাতে হবে না। সেই সাথে ঢাকার দেখভাল করার জন্য শাহরিয়ার কবীরের উপর যে কি দায়িত্ব দেয়া রয়েছে তা উক্ত ওয়েব সাইট ব্রাউজ করলেই বোধ করি পরিষ্কার হবে। ফেইথফ্রিডমের মিশন সম্মন্ধে বলা হয়েছে, প্রাক্তন মুসলিম হিসেবে একনিষ্ঠতার সাথে পুর্ব ধর্ম ইসলামের কদর্যরুপ মানুষের নিকট উন্মোচন করা ইত্যাদি। এর সাথে ইন্ধন যোগাচ্ছে প্রতিবেশী দেশ থেকে পরিচালিত বাংলাদেশকে উগ্র ধর্মীয় ও অকার্যকর রাষ্ট্র প্রমাণ করার নিরন্তর প্রয়াসে লিপ্ত সাউথ এশিয়ান এনালাইসিস গ্রুপ বা সায়াগ ডট অর্গ (http://www.saag.org)।

ছদ্মনাম ছাড়াও প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে লেখার আরেকটি নতুন সংযোজন হলো ই-মেইল জালিয়াতি বা ভূয়া ই-মেইল সৃষ্টি করে অত্যন্ত সুচতুরতার সাথে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার বা কমপক্ষে বিভ্রান্তি করার অপচেষ্টা। অন্যদিকে অন্যদেরকে বোকা ভেবে একাজটি করলেও প্রকৃতির অমোঘ বিধানে পাপীর পাপ ধরার পড়ার কোন না কোন নিয়মও সৃষ্টি হয়ে যাচ্ছে। নিজের কম্পিউটারের অরিজিনাল আইপি এড্রেস ঠেকাতে রাউটার ব্যবহারের মাধ্যমে অসংখ্য ভূয়া আইপি এড্রেসের জন্ম দিয়ে অসৎ ঊদ্দেশ্য চরিতার্থ করার প্রয়াস ব্যর্থ করে দিচ্ছে এটিকেও ‘ডিটেক্ট’ করার নতুন কৌশল আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে। সম্প্রতি একটি রাজনৈতিক দলকে বিভ্রান্ত করতে ওই দলের নিজস্ব নামে একাউন্ট ওপেন করে ইমেইল করতে গিয়ে ধরা পড়ে যান প্রধাণ একটি দলের আমেরিকা শাখার সাবেক এক নেতা। তার পার্সোনাল কম্পিউটারের আইপি এড্রেস ও বাসার ফোন নাম্বার ট্র্যাক করে দেখা যায় মেইলটি মূলত আসছে মেরীল্যান্ডের ওয়াশিংটন থেকে।

অন্য আরেকটি ঘটনার ঊদাহরণ হিসেবে আমরা ‘দৈনিক আমার দেশ’-র এ বছরের জুন মাসের ১, ৬ ও ৮ তারিখের অনলাইন সংস্করণের লীড নিউজের নীচে ‘আপনার মন্তব্য দিন’ এর ঘরে গেলে দেখতে পাব কিভাবে অন্য আরেকটি ইয়াহু গ্রুপ ডাহুক থেকে অন্যজনদের লেখা চুরি করে প্রতিপক্ষ একটি দলের প্রধাণ নেতার নামে চালিয়ে দেয়া হয়েছে (Click This Link এবং Click This Link) । নিয়মিত ইন্টারনেটসেবীরা নিশ্চয়ই অবগত আছেন কোন্‌ চৌধুরী ও ভূঁইয়া নানা রং বেরঙের আঁকা বাকা লেখায় নিজ মতের বাইরের ব্যক্তিদের চরিত্র হননে সদা তৎপর। আন্তর্জাতিক হিউম্যান রাইট্‌স এ্যাক্টে কোন ধর্ম, বর্ণ, গোত্রের বিরুদ্ধে হিংসা, ঘৃণা ও বিদ্বেষ ছড়ানো অত্যন্ত গর্হিত ও দন্ডনীয় অপরাধ। যেহেতু এসব ষড়যন্ত্রের মূল হোতারা বেশীরভাগই কানাডায় বসবাসরত, আমরা সেদেশের ক্রিমিনাল কোডের দিকে নজর দিলে সেকশন ৩১৯ (১) এ দেখতে পাব (আমেরিকার আইনও মোটামুটি এরুপই ); 319(1) Public incitement of hatred Everyone who, by communicating statements in any public place, incites hatred against any identifiable group where such incitement is likely to lead to breach of the peace is guilty of (a) an indictable offence and is liable to imprisonment for a term not exceeding two years; or (b) an offence punishable on summary conviction. শাস্তির এরকম সুস্পষ্ট বিধান থাকা সত্বেও দিনের পর দিন নিজেদের আড়ালে রেখে সরকারী অফিস-আদালত, বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাব, পাবলিক লাইব্রেরী ইত্যাদি ব্যবহার করে শুধু এক দল মানুষের মর্মমূলে খুঁজে খুঁজে স্পর্শকাতর বিষয়সমূহ বের করে আঘাত চালানোর উদ্দেশ্য যে সাম্রাজ্যবাদী ও আধিপাত্যবাদীদের পাতানো ফাঁদে পা দিয়ে সারাক্ষন পৃথিবীটাকে অশান্ত রেখে হীন স্বার্থ চরিতার্থ করা তা আমাদের বোঝা উচিত। সত্যিকারের মুসলিমসহ সব ধর্মের অনুসারীদের নব্য ও পুরোনো সব ষড়যন্ত্রের নাড়ি নক্ষত্র সম্পর্কে সম্পূর্ণ সচেতন থেকে মাথা ঠান্ডা রেখে বুদ্ধিবৃত্তিক উপায়ে তা মোকাবেলার প্রস্ততি গ্রহন করলে অশান্ত পৃথিবীটাতে কিছুটা হলেও শান্তির সুবাতাস বইবে।

*লেখক সংবাদ কর্মী, ইমেইলঃ

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১১ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.