আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কিভাবে শুরু করবেন ব্লগিং

সবাইকে স্বাগতম জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্টটি। আজকে আমরা জানবো যে, কিভাবে ব্লগিং শুরু করতে হয়। অনেকেই অনেকটা শখের বশে ব্লগিং শুরু করেন। আবার কিছুদিন পরে অধৈর্য হয়ে ব্লগিং থেকে বিদায় নেন। আসলে ব্লগিং এমন একটি বিষয়, যা সুপরিকল্পিত ভাবে শুরু করতে হয়।

আর আপনাদের পরিকল্পনা মাফিক ব্লগিং করতে সাহায্য করার জন্যই টুডে ব্লগিং । আশা করি টুডে ব্লগিং এর সাথেই থাকবেন আর দোয়া করবেন যেন আপনাদের ভালভাবে সাহায্য করতে পারি। ব্লগিং শুরু করার আগে যে বিষয়গুলি ভাববেনঃ ব্লগিং এর বিষয়ঃ হুট করে কোন বিশয় বেছে নিবেন না, এতে আপনার ভবিষ্যৎ অন্ধকার। যেমন আপনি আপনি একটি নতুন বিষয় জানলেন, তক্ষুনি সেই বিষয় নিয়ে ব্লগিং শুরু করলেন। এতে কি হবে? কিছুদিন পরে আপনি সেই বিষয়ে আর কোন কথা খুজে পাবেন না দেয়ার পোস্ট করার মত।

তাই আপনাকে এমন একটি বিশয় বেছে নিতে হবে, যা আপনি খুব ভাল করে জানেন। মনে করুন আপনি পৃথিবীর বিভিন্ন দর্শনীয় বিশয় সম্পর্কে জানেন, সেক্ষেত্রে আপনি ভ্রমন বিষয়ক ব্লগিং শুরু করাই আপনার সবচেয়ে ভাল হবে। তাই আপনাকে এমন একটি বিষয় বেছে নিতে হবে যাতে আপনি থেমে না যান। পেইড না ফ্রি? আপনাকে ভাবতে হবে আপনি কি প্রথমেই ইনভেস্ট করতে রাজি আছেন কিনা। যদি রাজি থাকেন, তাহলে একটি ডোমেইন এবং অল্প পরিমান হোস্টিং নিয়ে শুরু করুন।

প্রথমেই প্রচুর ব্যান্ডউইথ এর প্রয়োজন নেই। তবে আপনাকে একটি টপ লেভেল ডোমেইন নিতেই হবে। আর আপনি যদি ইনভেস্ট করতে না চান, তাহলে ব্লগার.কম ই বেস্ট। ব্লগার.কম থেকে আপনি সবচেয়ে বেশি সুবিধা পাবেন। ব্লগার.কম সার্চ ইঞ্জিন জায়ান্ট গুগল এর, গুগল চেস্টা করে ব্লগারদেরকে সর্বচ্চ সুবিধা দিতে।

আপনি অবাক হবেন যে, সার্চ ইঞ্জিন রাঙ্কিংয়ে একটি ব্লগস্পট ব্লগ একটি টপ লেবেল ডোমেইনওয়ালা ব্লগের সাথে প্রতিদন্ধিতা করতে পারে। কোন প্লাটফর্ম? আমি একজন ব্লগার হিসেবে আপনাকে ওয়ার্ডপ্রেসই সাজেস্ট করব। কারন, বর্তমানে ওয়ার্ডপ্রেস হল King of Blogging. ব্লগিং এর সর্বচ্চ সুবিধা আপনি ওয়ার্ডপ্রেসেই পাবেন। ওয়ার্ডপ্রেস একটি ওপেনসোর্স স্ক্রিপ্ট, তাই আপনি এটাকে আপনার ইচ্ছামত কাস্টমাইজ করতে পারবেন। সবচেয়ে বড় কথা হল, ওয়ার্ডপ্রেসে অন-পেজ অপ্টিমাইজেশন মোটামুটি করাই থাকে।

ওয়ার্ডপ্রেসে আপনি পাবেন ডিজাইনের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা। যাই হোক ওয়ার্ডপ্রেসের গুন বলে শেষ করার মত নয়। আপনি যদি ডোমেইন হস্টিং কিনে ব্লগিং শুরু করতে চান, তাহলে ওয়ার্ডপ্রেসই বেস্ট। ব্লগিং এ সময় দেয়াঃ শুধু ব্লগ তৈরি করে বসে থাকলে হবে না। আপনাকে নিয়মিত পোস্ট করতে হবে।

তাই আপনাকে ভাবতে হবে যে, আপনি ব্লগে সময় দিতে পারবেন কিনা। আপনার যদি অনেক কাজ থাকে, আপনি যদি ব্লগিং এ সময় দিতে অপরাগ, তাহলে আমি আপনাকে বলব আপনাকে দিয়ে ব্লগিং হবে না। আমার এক বিদেশি ফ্রেন্দ আমাকে বলেছিল যে, “ব্লগিং হল অলস মস্তিস্কের কাজ”। যদিও কথাটা এতোটা সত্যি নয়, তারপরেও মোটা-মুটি সত্যি। আপনাকে ব্লগের পিছনে খাটতে হবে তাহলে আপনি সাফল্যের মুখ দেখতে পাবেন।

আপনাকে নিয়মিত পোস্ট করার মনমানুষিকতা নিয়ে ব্লগিং শুরু করতে হবে। ব্লগ থেকে আয় নিয়ে মাথা ব্যথাঃ অনেক ব্লগার আছে যারা ব্লগ শুরু করেই আয়ের জন্য হন্যে হয়ে ছুটেন। আপনাদের একটা উদাহরন দেইঃ কোন ব্যক্তি জখন নতুন কোন ব্যবসা শুরু করে, তখন কি সে প্রথমেই লাভের কথা চিন্তা করে? তাই আপনাদের বলছি, আপনাকে তাকার পিছনে ছুটতে হবে না টাকাই আপনার পিছনে ছুটবে। ভাল করে একটা ব্লগ খুলুন, ভিজিটর বাড়ান। আশানুরুপ ভিজিটর পেলেই তবে আয়ের কথা চিন্তা করুন।

যাই হোক আজকে এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আগামীতে নিশ্চয়ই নতুন কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে পারব ইনশাহআল্লাহ। বাংলায় ব্লগিং শেখার স্কুল Today Blogging আপনাদের আমন্ত্রন। ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.