আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পিয়ালের ধর্মচিন্তা কোনভাবেই ইসলামকে আহত করে না

যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে

প্রায় একবছর আগে অপ বাকের "একভাষাবিদ ইশ্বর এবং বহুভাষাবিদ শহীদুল্লাহ কে বেশি ক্ষমতাবান??" নামক পোস্টটিতে অমি রহমান পিয়ালে ধর্মচিন্তা বিষয়ক অবস্থান পরিষ্কার ধরা পড়ে। পিয়াল সেখানে মন্তব্য করেছিলেন, "অপ বাক আপনি ইশ্বর, নবীরসুল, ধর্ম ইত্যাদিকে ভন্ডামী বলে মানেন। সো বি ইট। তা আপনার মতবাদটা আপনার মধ্যে রাখেন না কেন? আপনার এই বিশেষ জ্ঞান আমাদের মধ্যে প্রচারের দরকার নাই, নাস্তিকদের আলাদা সাইট তো আছেই যেখানে যদ্দূর জানি আপনে লেখেন ও। " "আপনার এই অধর্ম প্রচারের পাদ্রীপনা খুবই অসহ্য লাগে মাঝে মাঝে।

স্টুপিডের মতো কতগুলান কথা কন, যাগো রেফারেনস দেন তারাও দেখি কোনো না কোনো ধর্মে বিশ্বাসী। আপনার লেখনীটা ভালো, অন্য কোনো বিষয়েই ব্যয় করেন, এই উস্কানিতে অপচয় না কইরা। এতে কোনো পক্ষের লাভ নাই। বরং নতুন একটা বিভাজন একটা মেরুকরণ হইতাছে। আপনার ভক্ত আছে প্রচুর মানি।

তাগোরে বরং আপনার লেখাগুলার লিংক দিয়া দেন, তারা পইড়া নিব। আমার কাছে পুরাটাই ফাতরামি মনে হয়" উপরোক্ত মন্তব্যে পিয়ালের অবস্থান একদম স্পষ্ট। সংগত কারণে সে এরপরে এসমস্ত পোস্টে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকে। সেখানে তিনি লেখেন, "আমার যেমন ধর্মান্ধদের অপছন্দ, একইরকম অপছন্দ যারা ধর্ম নিয়া কটাক্ষ করে। একটা বিশ্বাস, একটা রিচুয়াল এইটা কেয়ামত পর্যন্ত একরকমই থাকবে- আপনি যদি ব্রাক্ষ ধর্মের মতো ইসলামেরও আপডেট চান- তাইলে তার প্রতিবাদ তো করমুই।

সেইটা যদি আমার অন্য স্বত্ত্বাটারে বাইর কইরা আনে- তাই সই"। মহুয়া মঞ্জুরীর এক মন্তব্যের প্রেক্ষিতে পিয়াল বলেছে, "আমি মুসলমান, আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয়, হযরত মাহাম্মদ (দঃ) তার রসুল- এইটা আমার বিশ্বাস। " অপবাকের উক্ত পোস্টটিতে ঠিক এই মন্তব্যটাই হিজিবিজি হয়ে আছে। টেকনিক্যাল এরর হতে পারে অথবা কোন মহান প্রোগ্রামের কীর্তিও হতে পারে। তবে অপর বাস্তব যাদের কাছে আছে তারা উপরোক্ত পোস্টটি পড়ে দেখতে পারেন।

মন্তব্যগুলো যথাযথভাবে সংরক্ষিত আছে সেখানে। পিয়াল ইচ্ছে করে হযরত মোহাম্মদ সাঃ এর কার্টুন ব্যবহার করেছিল, এই অভিযোগে যারা দৃঢ় তাদের আসল মতলব যে কার্টুন নয়, সেটা নিশ্চয়ই এখন স্পষ্ট হয়ে গেছে। মোহাম্মদ সাঃ এর কার্টুন চিনতে পারবে এমন লোক বাংলাদেশে হাতে গোনা মুষ্টিমেয়ই পাওয়া যাবে। কাজেই চিনতে না পেরে ভুলে পিয়াল যখন কার্টুনটি তার প্রোফাইলে ব্যবহার করে যা মাত্র ঘন্টাখানেকেরও কম সময় লটকে ছিল, তা নিয়ে ইস্যু তৈরী করা স্রেফ মুক্তিযুদ্ধের একটা কণ্ঠস্বরকে বন্ধ করে দেবার ষড়যন্ত্র। কর্তৃপক্ষকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা জন্য অনুরোধ রইল।

একই সাথে যারা সামহোয়ার বিতর্কিত কার্টুন প্রকাশ করেছে বলে পত্রিকায় রিপোর্ট করার এবং পিয়ালের অফিসে জানিয়ে তাকে চাকুরীচ্যুত করার ও গনধোলাই দেবার হুমকি দিয়েছে তাদের জঘন্য ধ্বংষাত্বক দৃষ্টিভংগির জন্য বহিস্কারের আবেদন জানাচ্ছি। * বাকীবিল্লাহ পুরাতন পোস্ট ঘেটে তথ্য উপস্থাপন করেছে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.