আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স-১

দুঃখটাকে দিলাম ছুটি, আসবে না ফিরে

খুব বেশিদিন আগের কথা নয়, একসময় মনে করা হত যার আই কিউ যত ভাল সে মানুষ হিসাবে তত বেশি এগিয়ে। এখন বোধহয় সে ধারণা বদলেছে, এক্ষেত্রে যেটি আই কিউ এর জায়গা দখল করেছে, সেটি হল ই কিউ (Emotional Intelligence Quotient) ডেনিয়েল গোলম্যান এই টার্মটাকে জনপ্রিয় করেছেন তার লেখা বই 'ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স' এর মাধ্যমে ১৯৯৫ সালে। বইটি প্রায় দেড় বছর আন্তর্জাতিক বেস্ট সেলার বই হিসাবে New York Times-এ স্থান পেয়েছিল। আই কিউ, Intelligence Quotient, যা পরীক্ষার মাধ্যমে ব্যক্তির বুদ্ধমত্তাকে পরিমাপ করে থাকে। মূলত মানুষের বোধশক্তিকেই (Cognitive Ability) আই কিউ বলা হয়ে থাকে।

কগনিশন হচ্ছে জ্ঞান এবং বুঝশক্তি যা চিন্তা-ভাবনা, অভিজ্ঞতা এবং সেন্স দ্বারা অর্জিত হয়ে থাকে। বাস্তবে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরিক্ষা করে দেখা গেছে, এর বাইরেও আরও কিছু বিষয় আছে যেগুলি মানুষের উন্নতির জন্য বড় ভূমিকা রাখে। এটাকেই বলা হচ্ছে ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স, যাকে অল্প কথায় বলা যেতে পারে ব্যক্তির যোগ্যতা এবং চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের সমন্বয়। আর একটা কথা বলা উচিত, আই কিউকে মাপা যায় কিন্তু ই কিউকে মাপা যায় না। যদিও শেষেরটির ব্যাপারে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে মতভেদ লক্ষ করা যায়।

ডেনিয়েল গোলম্যান তার মডেলে চার ধরনের ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স স্কিলের কথা বলেছেন: ১. সেল্ফ অ্যাওয়ারনেস ২. সেল্ফ ম্যানেজমেন্ট ৩. সোশ্যাল অ্যাওয়ারনেস ৪. রিলেশনশীপ ম্যানেজমেন্ট আই কিউ এর উপর ভিত্তি করে সমারভিল, ম্যাসাচুসেটস-এ ৪৫০ জন বালকের উপর এক পরীক্ষা চালানো হয়। দুই-তৃতীয়াংশকে নেয়া হয় ওয়েলফেয়ার ফ্যামিলি থেকে এবং বাকীদের নেয়া হয় যাদের আই কিউ ৯০ এর কম। ৪০ বছর পর দেখা গেছে, তাদের বাকী জীবন কত ভালভাবে কেটেছে তা তাদের আই কিউয়ের সাথে কমই সংগতিশীল ছিল। আজ এ পর্যন্তই, আগামী পর্বে ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স এর বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা যাবে।


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ২২ বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।