আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তারেক আজকের লম্পট নবাব সিরাজ, খালেদা আলীবর্দী, হাসিনা ঘষেটি বেগম, মঈন আহমেদ মীর জাফর আর ইন্ডিয়া আজকের ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী ?



এখনকার অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে এটাই বাস্তবতা । আজকের বাংলাদেশে যে গনতন্ত্র ব্যর্থ হয়েছে তার গভীরে গেলে এটাই প্রতিয়মান হবে । আমার এই এনালজিতে অনেক আওয়ামী লীগ সমর্থক একটু ধাক্কা খাবেন তবে আসল ব্যাপার হচ্ছে এখানে আসলে সর্বশেষ ক্ষমতাসীন হিসেবেই খালেদা/ তারেক এই রোল প্লে করছে অন্যথায় হাসিনা-জয় এর ভূমিকা হত আলীবর্দী/সিরাজের । নবাব সিরাজ একাধারে বাংলার হিরো এবং ভিলেন । আর এখানে আমি তারেককে শুধুমাত্র ভিলেন নবাবের ভূমিকায়ই দেখছি ।

এখন বর্তমান প্রেক্ষিতে হয়ত আমরা সবাই খুশি আপাতঃ নিরাপত্তা ও আরো বেশি জানমাল এর ক্ষয়ক্ষতি না হওয়াতে, কিন্ত্ত আমার আশংকা এটা থেকে আবার গনতন্ত্রে ফিরে আসতে হয়ত আরেকটা ১০ নভেম্বর লাগবে । অথবা আমাদের স্বাধিকার আপাতঃ ভাবে হরণ করা হয়েছে কিন্ত্ত আমরা ঠিক উপলব্ধি করতে পারছি না । কারণ একটাই আমরা আসলেই নিষ্পেষিত হচ্ছিলাম দুই বাজনৈতিক গুন্ডাবাহিনীর কাছে । এতটাই যে আমরা আমাদের এই স্বাধিকার হরণকারীদেরকে আমাদের রক্ষাকর্তা ভাবছি । আজকের এই বাংলাদেশ এর পেছনে বিদেশিদের কূটচাল কেউ অস্বীকার করতে পারেন না ।

ইন্ডিয়া এবং আমেরিকা যেমন গোপনে শেখ হাসিনার বিজয় চেয়েছে তেমনি পাকিস্তান আর আরব গ্রুপ চেয়েছিল খালেদার বিজয় । কিন্ত্ত আশংকার কথা হচ্ছে মঈন আহমেদ এখন আরো বেশি করে ক্ষমতার সাথে সম্পৃক্ত হয়ে পড়ছেন আর হয়ত টেম্পরারী ভাবে ক্ষমতা অনেক বেশি সময় ধরে রাখবেন । আধুনিক উপনিবেশিকতা এখন আর আগের মত সরাসরি নিজের শাসন প্রতিষ্ঠা করে না, এরা আরো ধুরন্ধর এবং এরা একটি রাষ্ট্রের উপর পরোক্ষ শাসন জারি করেই নিজেদের বানিজ্যিক উদ্দেশ্য হাসিল করে । আফগানিস্তান, ইরাকে দেখুন তাই সরাসরি নিজেদের ব্যাকিং এ তথাকথিত স্বাধিন সরকার, পাকিস্তান-এও একই ভাবে মুশাররফ এর পুতুল শাসন এবং আলজেরিয়ায় মিলিটারী কর্তৃক গনতন্ত্র হরণ তাই সব একই সুত্রে গাঁথা । একই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের কব্জায় ।

আজকের বাংলাদেশ এই অবস্থায় পতিত হত না যদি গত সরকার নির্বিকার ভাবে দুর্নীতি না করত । আর এই দুর্নীতি সরাসরিভাবে তারেক জিয়ার আশীর্বাদেই হয়েছে । এই তারেকের সাথে লম্পট সিরাজকে মিলিয়ে দেখুন । সিরাজ যদি কিছুমাত্রায় উদ্ধত না হত তাহলে হয়তো মীর জাফর তার বিপক্ষে অবস্থান নিতে আরেকটু ইতস্তত করত । একই ভাবে তারেক যদি একজন সৎ মানুষ হত তাহলে এখন রাজনীতিতে যে নৈরাজ্য ও শুন্যতা এসেছে তা আসতে পারত না ।

সম্মিলিত ভাবে সবাই না হলেও আমাদের রাজনৈতিক পটের চালক শক্তির সকলেই ব্যর্থ হয়েছে । রাজনৈতিক ভাবে যাই হোক না কেন আমার আশংকার মূল কারণ বর্তমান সরকারের অতি বিদেশ প্রীতি । আর এই বিদেশিরাই চায়না বাংলাদেশে ডঃ ইউনুস এর মত যোগ্য লোক আসুক তাই তাকে শুরুতেই বিদায় নিতে হয়েছে । কিছু ভাল সিদ্ধান্তের পাশাপাশি অনেক খারাপ সিদ্ধান্তও এই সরকার নিয়েছে । এবারের বাজেটে যা দেওয়া হয়েছে IMF বা World bank নিজেরা করলেও এতখানি সুবিধা নিতে ইতস্তত করত ।

এখন অপেক্ষায় আছি আশা করি মঈন আহমেদ এর পরিণতি মীর জাফর হবে না সবশেষে ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.