আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বেনাপোল থেকে ওয়াগা-03

মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

01 02 ..........Lets explore KOLKATA!!! কিন্তু পেটে যে ছুঁচো দৌঁড়াচ্ছে, আগে একপেট খেয়ে নিতে হবে। পাশেই নিউমার্কেট, বাস কাউন্টার-ওয়ালা বলল একটা টাঙ্গা নিয়ে চলে যেতে। টাঙ্গা দেখতে আমাদের রিকশার মতই কিন্তু এতে কোন প্যাডেল নাই,ঠেলা গাড়ির মত মানুষ টেনে চালায়। কিন্তু চরম ভয়ংকর; মনে হয় এই বুঝি পড়ে গেলাম,এই বুঝি টক্কর লাগলো গাড়ির সাথে। টাঙ্গা থেকে নামার পর আমি প্রতিজ্ঞা করেছি আর জীবনেও উঠবোনা এতে।

নিউমার্কেট ঘুরছি। ভর-দুপুরেও লোকে-লোকারণ্য নিউমার্কেট, চলছে পূজোর শপিং। কিন্তু ওদিকে খেয়াল না করে আমরা একটা ভাল খাবার রেস্টুরেন্ট খুঁজছি। পেয়ে গেলাম একটা রেস্টুরেন্ট। আমদের দেশি খাবার অর্ডার করলাম,পেট ভরে খেলাম।

এবার নিউমার্কেটটা ঘুরে দেখা যাক। কলকাতার মেয়েদের দেখছি আর অবাক হচ্ছি; অধিকাংশ তরুণীরাই পশ্চিমা পোশাক পরা; চালচলনে কোন বাঙালীপণা খুঁজে পেলাম না। দেশে লোকজন বলে কলকাতায় কাপড়-চোপড় অনেক সস্তা, কিন্তু একথা সত্যতা আমি খুঁজে পেলাম না কোন দোকানেই। হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হয়ে গেলো, আমরা তাড়াতাড়ি একটা প্লাজায় ঢুকে পড়লাম। বসে বসে দেশি বেনসন টানছি, আর বৃষ্টি থামার কোন লক্ষন দেখছি না।

অভাগা বৃষ্টি আসার আর সময় পেলনা। এরই মাঝে ৩.০০টা বেজে গেলো-আমাদের টিকেট নিতে হবে বাস কাউন্টার থেকে। ট্যাক্সি নিয়ে রওনা করলাম মারকুইস স্ট্রীট-বাস কাউন্টার। ট্রেনের টিকেট হাতে পেয়ে গেলাম। এখান থেকে হাওড়া স্টেশন প্রায় ঘন্টাখানেকের পথ।

এখন করার আর কিছুই নেই ,আমাদের হাতে মাত্র ২ঘন্টা সময় আছে। তৌহিদ,বলল চল ফ্রী স্কুল স্ট্রীটে যাই, বই কিনব আর ওখান থেকেই চলে যাব স্টেশন; আমি বললাম ঠিক আছে। ট্যাক্সি নিলাম আমরা। রাস্তার পাশের সাইনবোর্ড থেকে জায়গার নামগুলো পড়ছি-ফ্রী স্কুল স্ট্রীট, ধর্মতলা ইত্যাদি। সব জায়গা যেনো অতিপরিচিত, যেন কতকালের চেনা! আসলে সমরেশ-সুনীলের বই পড়ে সব মুখস্ত হয়ে গেছে।

ফ্রী স্কুল স্ট্রীট আমাদের নীলক্ষেতের মত- গল্পের বই থেকে শুরু করে সব ধরনের বইই পাওয়া যায়। সমরেশ আর সুনীলের ২-৩টা বই কিনলাম। এখন আমাদের পৌঁছাতে হবে হাওড়া স্টেশন। ট্যাক্সিতে উঠলাম আমরা। অফিস থেকে সবাই বাসায় ফিরছে তাই রাস্তায় প্রচন্ড জ্যাম।

আর হর্নের শব্দ আর কালো ধোঁয়া ু ঢাকার চেয়েও বাজে অবস্থা এখানকার। ট্রেন মিস হবার সমূহ সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে!! ৬.৩০টা প্রায় বেজে গেছে। ট্যাক্সি ওয়ালা বলল এই সিগন্যাল পার হলে আর ৫ মিনিট লাগবে স্টেশনে পৌঁছতে(একটু ভরসা পেলাম)। আমরা রবীন্দ্র সেতুতে আটকে আছি আর সামনেই দেখা যাচ্ছে রং-বেরংয়ে আলোকিত হাওড়া স্টেশন। বিশাল রেল স্টেশন আমাদের কমলাপুরের কয়েকগুন হবে।

ভাগ্যিস আমাদের ট্যাক্সি ড্রাইভার আমাদেরকে ট্রেনে উঠিয়ে দিয়ে গেছে, অন্যথায় চক্কর খেতে খেতে জীবন যেত। অমৃতসার মেইল, ভারতীয় সময় সন্ধ্যা ৭.১০ এ হাওড়া থেকে ছেড়ে যাবে অমৃতসারের উদ্দেশ্যে...............

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.