আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চকোলেট ওভারলোড

মন'রে কৃষি কাজ জানো না, এমন মানব জমিন রইলো পতিত, আবাদ করলে ফলতো সোনা

বেশ অনেকদিন ভুলভুলাইয়াতে ঘুরবার পর গত দুদিন আগে আলোর মুখ দেখেছি। গবেষণা বিষয়টা সর্বত্র এরকম কি না জানিনা, তবে আমার দশা এরকমই হয়েছিল। মাঝখানে মনে হয়েছিল সব ছেড়েছুড়ে অ্যাপালাচিয়ানে চলে যাই। ট্রাউট ধরে পুড়িয়ে খাবো, আর ঘুমাবো। নিশ্চিন্ত জীবন।

এই বাঁধা ধরা জীবনে বিতৃষ্ণা এসে গিয়েছিল। প্রতিদিন কাজ শেষে এসে মনে হতো , না আমার দ্বারা হবে না। ঘুমানোর আগে আবার নতুন চিন্তা, নতুন ডিজাইন । প্রতি রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে মনে হয় সাফল্য ঘুম থেকে উঠলেই ধরা দেবে। তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে যাই , সকালের অধৈর্য অপেক্ষাকে ফাঁকি দেবার জন্য।

দিন গড়িয়ে সন্ধ্যা হয় , দিন যায়, সপ্তাহ যায়, আবার ফেরত আসি টেবিল রক মাউন্টেনে চলে যাবার দৃঢ় প্রত্যয়ে। একবার এই চক্কর থেকে বেরোই সিধে চলে যাব কামরুপ কামাখ্যায়, এক ঠ্যাং সাধুদের দলে নাম লিখাবো। দুদিন ধরে আলোর রেখা দেখছি, এবং নিশ্চিত ভাবেই এই আলো প্রদীপের নয়, এই আলো সূর্যের এবং এই আলো মুক্তির, এবং আমার আন্দিজ পাড়ি দেবার লাইসেন্স। এই খুশিতে আজ নিজেকে একটু ট্রিট করলাম। কারণ জন্মদিন কবে আসবে এবং হয়তোবা এসে চলেও যাবে কোন বেল্লিকের বার্থডে উইশের অভাবে।

তাই ভাবলাম নিজের কানাগলি উত্তরণের আনন্দ নিজেই পালন করি, নিজের গুহায় নিজের মত করে। পাবলিক্স থেকে ৭ আউন্সের একটা চকোলেট ওভারলোড কেক এনেছি। পুচকা কেক , কিন্তু কি তার তেজ। এত বেশী চকোলেট যে পুরোটা শেষ করা গেল না। কিন্তু বেশ সুস্বাদু।

আমার পর্বতারোহনের শখ দীর্ঘজীবি হোক।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।