আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বেহায়া নির্বাচন কমিশনার

প্রতিদিন অন্যদিন, আজ তবু প্রতিদিন

স্বেচ্ছায় (তবুও বলতে হচ্ছে, বাধ্য হয়ে) ছুটিপ্রাপ্ত (বিগত নয়, অদ্ভুত, তাই নয় কি?) নির্বাচন কমিশনার এম এ আজিজ এত কিছুর পরও কেন পদত্যাগ করলেন না। দৈনিক আমাদের সময় লিখেছে, জাতিকে তার কাছ থেকে এটুকু সিদ্ধান্ত পেতে বিসর্জন দিতে হয়েছে 67টি জীবন, আর দেশের ক্ষতি হয়েছে সাড়ে 17 হাজার কোটি টাকা। নিশ্চিত, এ জীবনগুলো তার পরিবারের কেউ নয়, আর সাড়ে 17 হাজার কোটি টাকাও তার গাটের পয়সাও নয়। তাই হুকেয়ার্স। আমরা জানি, আমাদের দেশের রাজনীতিবিদরা বেহায়া ধরণের; যতই দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হউন-না কেন, যতই দুনর্ীতি করুন-না কেন, কখনোই তার দায়ভাগ নিবেন না।

কিন্তু এমএ আজিজ কি রাজনীতিবিদ? আমি জানি না। তবে এটুকু বুঝি, কোনো রাজনৈতিক শক্তি তার পিছনে কাজ না করলে তিনি এমন করতে পারতেন না। এই রাজনৈতিক শক্তির কাছে তিনি নিশ্চয়ই হীরো। জাতির চেয়ে দলীয় রাজনীতি তার কাছে অনেক বড়; তাই জাতির কাছে বেহায়া হতে তার আপত্তি নাই! পদত্যাগের বদলে প্রহসনমূলক ছুটি নিয়ে তিনি নিরাপত্তা চেয়েছেন সরকারের কাছে; কিসের এত ভয় তার? ছুটি নিয়ে জাতির জন্য যদি ভালো কিছু তিনি করেই থাকেন, তাহলে জাতি তার কাছে কৃতজ্ঞ থাকার কথা। সে কৃতজ্ঞ ায় এত ভীতি কেন তার? কেন তা সবাই জানেন।

আমাদের রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে এক মহা প্রহসন। আর সে প্রহসনে অংশগ্রহন করছেন প্রধান উপদেষ্টাসহ অন্যান্য উপদেষ্টারা, বুদ্ধিজীবিরা। জোড়া-তালি দিয়ে একটি নির্বাচন করাই সবার আগ্রহ। কেউই ভাবছেন না, এর ভবিষ্যত পরিনাম নিয়ে। সবাই বুঝতে পারছেন, সব আয়োজনই এক ধরণের প্রহসন; তবু সবাই কেমন যেন নিজর্ীব।

(ছবি সৌজন্য: প্রথম আলো)


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।