আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

উদ্বোধনের অপেক্ষায় ঐতিহ্যবাহী মারাকানা স্টেডিয়াম

২০১৪ ফুটবল বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিয়ে বেশ কয়েকবারই দ্বন্দ্বে জড়িয়েছিল ব্রাজিল ও ফিফা। স্টেডিয়াম নির্মাণ, অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজের ধীরগতি ইত্যাদি নিয়ে ফিফার কঠোর সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল আয়োজকদের। তবে কিছুটা দেরি হলেও শেষ পর্যন্ত পরবর্তী বিশ্বকাপের অন্যতম প্রধান ভেন্যু মারাকানা স্টেডিয়ামের পুনর্নির্মাণের কাজ সম্পন্ন করতে পেরেছে ব্রাজিল। আর আয়োজকদের প্রস্তুতিতে সন্তুষ্টিও প্রকাশ করেছে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফা। আগামী ২ জুন ব্রাজিল-ইংল্যান্ডের ম্যাচ দিয়ে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে নতুন সাজে সজ্জিত মারাকানা স্টেডিয়ামের।

২০১৪ বিশ্বকাপের ফাইনালসহ মোট সাতটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা এই স্টেডিয়ামে।
রিও ডি জেনিরোর মারাকানা স্টেডিয়ামকে বিবেচনা করা হয় ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের অন্যতম কেন্দ্রস্থল হিসেবে। এই স্টেডিয়ামেই ১০০০তম গোল করে ইতিহাস গড়েছিলেন ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি পেলে। গারিঞ্চা, জিকো, রোমারিওর মতো কিংবদন্তি ফুটবলারদের চারণভূমি ছিল এই মারাকানা স্টেডিয়াম। এখানেই ১৯৫০ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে উরুগুয়ের মুখোমুখি হয়েছিল ব্রাজিল।

১৯৯২ সালে ঐতিহ্যবাহী এই স্টেডিয়ামের কিছু অংশ ধসে পড়ে। এতে তিনজন নিহত ও অর্ধশতাধিক দর্শক আহত হন। এর পর থেকেই দফায় দফায় সংস্কারকাজ চলে মারাকানা স্টেডিয়ামে।
২০১০ সালে নতুনভাবে শুরু হয় মারাকানা স্টেডিয়ামের নির্মাণকাজ। নবরূপে সজ্জিত এই স্টেডিয়ামের উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিল গত ডিসেম্বরে।

কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে পারেনি ব্রাজিল সরকার। অবশেষে গত ২৭ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় মারাকানা স্টেডিয়াম। দেরি হলেও শেষ পর্যন্ত কাজ শেষ হওয়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন ব্রাজিলের বিশ্বকাপ আয়োজক কমিটির সদস্য ও সাবেক তারকা ফুটবলার বেবেতো। তিনি বলেছেন, ‘মারাকানাকে এখন খুবই চমত্কার দেখাচ্ছে আর এখানে ফিরতে পেরে সত্যিই খুব ভালো লাগছে। এই স্টেডিয়ামটিকে আমার বাড়ি মনে হয়।

’ মারাকানা স্টেডিয়ামের নির্মাণকাজ শেষ হওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন ফিফার সেক্রেটারি জেনারেল জেরোমে ভালকে। গত সপ্তাহে পরিদর্শন শেষে তিনি বলেছেন, ‘স্টেডিয়ামটিকে দুর্দান্ত রকমের সুন্দর লাগছে। মারাকানা স্টেডিয়ামকে ছাড়া ফিফা কনফেডারেশনস কাপ বা বিশ্বকাপ কল্পনাই করা যায় না। ’
নতুনভাবে নির্মিত এই মারাকানা স্টেডিয়ামের দর্শক ধারণক্ষমতা হবে প্রায় ৭৯ হাজার। — রয়টার্স।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.