আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শ্রাবন ধারায়(প্রথম পর্ব)

[অন্যর দোষ না খুঁজে আগে যদি সবাই নজের দোষটা খুঁজত তাহলে বোধহয় সব সমস্যার সমাধান হয়ে যেত]............... [পথের শেষ নেই, আমার শেষ আছে, তাইত দ্বন্দ্ব] http://mamunma.blogspot.com/

[রং=#ঈঈ9966][আন্ডার]মামুন ম. আজিজ/2006[/আন্ডার][/রং] [রং=#663300]কিছু একটা লিখতে হবে। কি লিখতে হবে জানিনা। প্রবল চাপ অনুভুত হচ্ছে। যে কোন রকম চাপের পেছনেই অনকেগুলো কারন থাকে। যেমন নিম্ন চাপ(পায়ু পথের দিকে), বায়ুচাপ , বৃত্তের চাপ, উধর্্বচাপ, চাপাচাপি --এ সব চাপের পেছনে কারন কি আছে আমরা জানি হয়তো, না জানলে আর জানবোনা এখন।

তো কিছু একটা লেখার চাপ এর পেছনে মনের অস্থিরতা কাজ করেছে। অস্থিরতার পেছনে আবার কিছু কষ্ট, কিছু দুঃখবোধ এবং কিছু অনাহুুত আনন্দ। কিছু কষ্ট, কিছু দুঃখবোধ এবং কিছু অনাহুুত আনন্দের পেছনে আবার ..........থাক ..। কেমিষ্ট্রি ও ফিজিক্সের চাপের সূত্রে আছে দেহের অভ্যন্তরের বায়ুর চাপ বাইরের চাপের বেশী বা কম, আনব্যলেন্সড হলে আমাদের এই এত গর্বের দেহ চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে যেত। চেতনায়, মনে মননে সেই চাপের তারতম্য , লেখার ইচ্ছে আর তার বাহ্যিক প্রকাশের চাপে তারতম্য।

ভার্চুয়াল চাপ তাই ভার্চুয়ালী চূর্ণ বির্চুর্ণ হচ্ছি, দেখছে না কেউ। কি সব আবল তাবল বলে জায়গা ভরাচ্ছি!!! এক সেকন্ড, ভাবি.......... ভাবনার কিছু নেই , ওই তো চোখের সামনে দিয়ে হেটে যাচ্ছে যে মেয়েটা মনের পথে ওকে টেনে নিয়ে আসি...[/রং] মেয়েটার নাম শ্রাবনী না হলেও এখন শ্রাবন মাস , তাই শ্রাবনী বলে ডাকব। কার্জন হল থেকে হেঁটে হেঁটে বের হচ্ছে । কাঞ্চন ফুলের শুভ্র পরশ ওর ওড়না ছুয়ে গেল। আকাশে উড়ে উড়ে আসছে কালে কালো মেঘ।

এই রিকশা যাবে কলাবাগান, পরপর দুটো রিকশাওয়ালাকে বলল, দুজনেই না সূচক মাথা নাড়াল । মেঘ বুষ্টির দুএক ফোঁটা আদর ছুড়ে মারতে শুরু করেছে। ফোঁটা ফোঁটা আদর খুব একটা সমস্যা হচ্ছেনা শ্রাবনীর । ভালই লাগছে। ঝমঝম করে বৃষ্টি পড়া শুরু হলে সমস্যা হয়ে যাবে।

অত আগ্রাসী আদর এই মুহূর্তে ভাল লাগবেনা। তার আগেই একটা রিকশা পাওয়া দরকার। মেঘ মনে হয় মনের কথা বৃঝতে পারল আর তাই ভীষন জোড়ে হেসে উঠল আর সে বজ্রধ্বনীর সাথে সাথে নেমে এল ঝমঝম বৃষ্টি । দৌড়ে গেটের ভিতরে চলে এল শ্রাবনী। আশ্রয় নিল পাশের বিল্ডিংটার সেডের নিচে।

বৃষ্টি বাড়ছে। শ্রাবেনের এ ভরদুপুরে বৃষ্টির বড়বড় ফোঁটা গুলো ছুটে ছুটে আসছে শ্রাবন্তীর দিকে। সিড়িতে পড়ে ভিজিয়ে দিচ্ছে শ্রাবন্তীর সেলোয়ারের যতটুকু আয়ত্বে পাওয়া যায়। ওর পেছনে বসে আছে ভাবান্তর হীন এক প্রেমিক যুগল। আর দুটো ছেলে আর একটা মেয়ে ওর মত আশ্রয় নিয়েছে , নিজেকে বাচাচ্ছে বৃষ্টির অনাহুত আদরের পরশ হতে।

পরিচিত কাউকে দেখা গেলনা। বিরক্তিকর অপেক্ষা কখন বুষ্টি থামবে। কোন রিকশা আর গেটে দেখা যাচ্ছেনা। ঠিক একই সময় টিএসসিতে আড্ডা দিচ্ছে তিনটি ছেলে আর একটি মেয়ে । তারমধ্যে দুটি ছেলে শ্রাবনীর সাথে পড়ে কেমিষ্ট্রিতে।

নয়ন আর আবীর। মেয়েটাও ভার্সিটিতেই পড়ে। জুনিয়র । সম্ভবত বোটানীতে পড়ে। সম্ভবত বলছি এই কারণে মেয়েটির সম্পর্কে না জানলেও চলবে।

মেয়েটা আবীরের ফিয়ান্সী। মিতুল। অন্য যে ছেলেটা ওদের সাথে সে ভার্সিটিতে পড়েনা। পড়ে বুয়েটে। মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারীং, শেষ বর্ষ।

আবীর আর নয়নের বন্ধু। ছেলেটির নাম দিলাম প্রতীক। নয়ন এর মোবাইলটি এই মুহুর্তে আবীরের হাতে। নয়নের দামী মোবাইল সেটটা গুতোগুতি করতে করতে শ্রাবনীর নম্বরটায় চোখ আটকে গেল। ঃকেরে নয়ন এই শ্রাবণী।

বেশ সুন্দর নাম তো। ঃপ্রতীক না তোর এই বদ অভ্যাস গেলোনা। অন্যেও মোবাইলে ঢু মারিস কেন। এই জন্য মোবাইল কারও হাতে দেয়া উচিৎ না। বলেই নয়ন মোবাইল ছিনিয়ে নিল।

ঃ ও তার মানে ডাল মে কুস কালা কালা। আবীর আর মিতুল শুনছিল। বলল আরে নারে নয়নকে পাত্তা দেবার মত মেয়েনা। আমাদের ক্লাশমেট। পুরো ক্লাশের মধ্যে সবচেয়ে ব্রিলিয়ান্ট।

মিতুল বলল,প্রতীক ভাইয়া করবেন নাকি প্রেম । দেখতে কিন্তু ফাটাফাটি। নয়ন ভাই দিয়ে দেন নম্বরটা । ঃ আরে না। তুমি জাননা, প্রতীকের মেয়েদেও সাথে ফ্লট........ ঃ চুপ।

দেখ মিতুল তোমার বিশ্বাস হয় । আমি এমন ছেলে। ঃ আর ও মেয়ে ছেলেদের কে খুব একটা পাত্তা টাত্তা দেয়না। পড়াশোনা ওর কাছে মুখ্য। মিতুল বলল, কেন প্রতীক ভাইয়া কি কম ব্রিলিয়ান্ট।

আবীর বলল, ওকে তাহলে দেখা যাক প্রতীক পারে কিনা কিনা পটাতে। ঃকি শুরু করলি তোরা বলত , মিতুল এই সুন্দর বুষ্টিতে একটা গান গাওতো বলে নয়ন কথা অন্য দিকে নিতে চেষ্টা করল। প্রতীক কিন্তু মনে মনে চাচ্ছে শ্রাবণীর সাথে সখ্যতা। বলেই ফেলল, ওকে আবীর আমি চ্যালেঞ্জ নিলাম। দে নস্বর দে।

নয়ন দেবেই না। শেষ মেষ আবীর মোবাইল বের করে দিল। ঃআবীর দিস না । শ্রাবনী জানলে কি ভাববে। প্রতীক বলে উঠল , ভয় নেই বন্ধু , এই যে মিতুল ভাবীকে স্বাক্ষী রেখে বলছি জীবনেও জানবেনা।

ওকে। আমি কিন্তু কিছু জানিনা। বলেই নয়ন হন হন করে সিগারেট আনতে চলে গেল । প্রেমিক যুগল বসল বুষ্টির ধারায় প্রেম ধারা দেখতে। প্রতীক একটু দূরে সরেই মোবাইলে শ্রাবণীর নম্বরটা সেভ করেই মিস কল দিল।

[রং=ৎবফ].................পরবর্তী পর্বে শেষ হবে[/রং]

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।