আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শেয়াল -মুরগীর গল্প এবং কিছু কথা....

আমি আপনার তালে নেচে যাই,আমি মুক্ত জীবনানন্দ ফেসবুকে একটা পেজ এ পোস্ট দেখলাম, “মেয়েরা সাবধান,ফেসবুকে প্রোফাইল পিক দেয়ার কনো দরকার নেই,বন্ধুরা এমনেই খুঁজে পায়,প্রোফাইল পিক বারবার চেঞ্জ করে নিজের চেহারা প্রর্দশনের ও কোনো প্রয়োজন নেই,ফেক আই ডি তৈরি করে ছেলেরা সেগুলো দিয়ে,প্রোফাইল পিক দিয়ে করা হয় আজে-বাজে ফোটো…………………” খুব ই ভাল কথা বলেছেন,তবে বেশি ভাল কথা আমার মাঝে মাঝেই মনঃপুত হয় না। উনি এত কিছু না বলে সরাসরি বলতেই পারতেন মেয়েদের ফেসবুক ইউজ করার কি দরকার,যাই হোক তিনি তা বলেন নি……। এবার আসা যাক আমার নিজস্ব মতামতে,শুধু এই পোস্ট টাই না,ফেসবুকে ছ্যেড়ির ওড়না নিয়ে এবং মেয়েদের সচেতন !!!!!!!! করার উদ্দেশ্যে ছেলেরা অনেক পেজ ই প্রতিষ্ঠা করেছেন,কিন্তু আমার কথা হচ্ছে তারা নিজেদের স্বজাতি পুরুষ জাতি কে সচেতন করতে কি করেছেন?ওই ছ্যাড়া চোখের পর্দা কর,নিজেকে সংযত কর ……এই ধরনের পেজ ও কিন্তু তারা করতে পারতেন যেহেতু তারা খুবই সচেতন। পত্রিকা খুললেই আমরা ধর্ষন-লাঞ্ছনার যে ঘটনা গুলো জানতে পাই,অথবা যে ঘটনা গুলোই ঘটছে সমাজে প্রতিনিয়ত,একটু খেয়াল করলেই আমরা দেখতে পাব ঘটনা গুলোর ভিকটিম কোন মেয়েরা হচ্ছেন,৩ বছরের শিশু থেকে ৩৫ বছরের মহিলা,যে শিশু টা পৃথিবীর কিছুই বোঝে না,তার তো ওড়না পরার ই বয়স হয় নি,চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ুয়া বাচ্চা, গ্রাম-মফস্বলের সহজ সরল সম্ভ্রান্ত পরিবারে মেয়ে,গার্মেণ্টস স্কুল কলেজে গন্তব্যরত মেয়ে……যাদের শতকরা ৯২ জনই ফেসবুক কি তা ও জানেন না,জানে না হাল ফ্যাশনের খবর,যাদের পোশাকে অশালীনতার চিহ্ন ও থাকে না তারা, এসব ঘৃণ্য পশুর থাবা থেকে রক্ষা পাই নি ডাক্তার সাজিয়ার মত র্পদানশীল সর্বদা হেজাব পরিহিতা নারী,রেহাই পায় নি শাজনীন এর মত নিজের ঘরের মত সুরক্ষীত জায়গায় থেকেও…অনেকেই আত্মহুতি দিয়েছেন ৯বছরের ছোট্ট শিশু তৃষার মত,রুমি আর অনেকের মত ,কয়টা খবরই আমরা জানি…যে কয়টাই জানি সেগুলোর সব গুলোই এই একই ধরনেরই। তো আমার কথা,হচ্ছে মেয়েদের সচেতন না করে সচেতন তো সেই পশুদের করা উচিত,দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি তো তাদের দেয়া উচিত,ভয় তো তাদের দেখানো উচিত, মানসিকতার পরির্বতন তো তাদের দরকার, শেয়াল মুরগী খাবে তাই মুরগীকে লোহার খোয়াড়ে রাখার পরার্মশ যুক্তি যুক্ত কিন্তু,শেয়ালের অবাধ বিচরন কি বন্ধ করা উচিত নয়????????এই অবাধ বিচরনের কারনেই শেয়াল এখন লোহার খোয়াড়ে ও হাত বাড়িয়েছে,বাড়াচ্ছে………খোয়াড় ই তাদের শিকারের প্রিয় জায়গা । সমাজের পশু শ্রেণীর পুরুষের জন্য নারীদের মুরগীর জীবন কাম্য নয়,এটাই কি সভ্যতা? এটাই কি মানবতা? এটাই উন্নতী? এ কেমন সভ্যতা যেখানে আধেক জাতি সভ্য হতেই শিখে নি? শ্রদ্ধা-সম্মানের চোখে দেখতে শিখেনি নিজের মায়ের জাতি কে? সামাজিক মূল্যবোধ এধরনের শব্দগুলো কি শুধুই বইয়ের ভাষা?

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.