ত্রিপুরা তার ভাগের থেকে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত্ বাংলাদেশে বিক্রি করার প্রস্তাব পাঠিয়েছে কেন্দ্রের কাছে। কিন্তু কেন্দ্র এ ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার।
আজ আসামের বাংলা পত্রিকা দৈনিক যুগশঙ্খ এ সংবাদ দিয়েছে।
গত শুক্রবার রুখিয়ায় ২১ মেগাওয়াট উত্পাদনক্ষম তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি নতুন ইউনিটের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ত্রিপুরা এখন বিদ্যুতে ঘাটতি রাজ্য হলেও আর কিছু দিনের মধ্যেই উদ্বৃত্ত রাজ্য হবে। ত্রিপুরায় এখন নিজস্ব বিদ্যুৎ উত্পাদন হচ্ছে ১১০ থেকে ১১৫ মেগাওয়াট।
রাজ্যের সর্বোচ্চ চাহিদা ২৪০ মেগাওয়াট। কাজেই বাকি বিদ্যুৎ বাইরে থেকে আনতে হচ্ছে।
রাজ্যের নিজস্ব বিদ্যুৎ কেন্দ্র রুখিয়ার নতুন ইউনিটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মানিক সরকার বলেন, মনারচকে নিপকোর ১০৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উত্পাদন প্রকল্প আগামী ডিসেম্বর বা জানুয়ারিতে চালু হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। মনারচকের ১০৪ মেগাওয়াট বিদ্যুতের পুরোটাই রাজ্য পাবে। পালাটানা থেকে ত্রিপুরা পাবে ১৯৬ মেগাওয়াট।
এতে রাজ্যের নিজস্ব চাহিদা মিটিয়েও ত্রিপুরার ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উদ্বৃত্ত হবে। উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ বাইরে বিক্রি করবে রাজ্য।
পালাটানার জন্য বাংলাদেশের ওপর দিয়ে ভারি ভারি যন্ত্রপাতি আনার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশের কাছে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত্ বিক্রি করতে চাই। এতে দু’দেশের সম্পর্ক নিবিড় হবে। কিন্তু কেন্দ্র কেন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়নি তা বুঝে উঠতে পারছি না।
মুখ্যমন্ত্র জানান, আগামী নভেম্বর-ডিসেম্বর পালাটানার প্রথম ইউনিটটির উদ্বোধন পুরো বাণিজ্যিক উত্পাদন শুরু বলেই দ্বিতীয় ইউনিটের উদ্বোধন হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।