আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পাকিস্তান ভারতের আদলে আচরণবিধি

পাকিস্তান, ভারত, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ার আদলেই দশম সংসদ নির্বাচনের আচরণ বিধিমালা তৈরি করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে পাকিস্তান ও ভারতের আচরণবিধিকেই প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। সে অনুযায়ী সংসদ বহাল রেখে নির্বাচন করার ক্ষেত্রে সংসদ সদস্য পদকে অলাভজনক ধরারও চিন্তা করছে কমিশন। নির্বাচনী প্রচারে সাইবার ক্রাইমের বিষয়টি প্রথমবারের মতো যোগ করা হচ্ছে আচরণবিধিতে। ফেসবুকসহ ইন্টারনেটভিত্তিক বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যম, ক্যাবল অপারেটর ও মোবাইল ফোনে যেন কোনো প্রার্থী হয়রানি বা ক্ষতির সম্মুখীন না হন, সে জন্য বিধিনিষেধ থাকছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) কক্ষে গতকাল এক জরুরি বৈঠকে ওই চার দেশের নির্বাচনী আচরণবিধি পর্যালোচনা করা হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসির এক কর্মকর্তার মতে, ভারতের আচরণবিধি ছাড়া আমাদের গতি নেই। তবে আমরা আরও কঠোর হব, যাতে সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা যায়।

জানা গেছে, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পরই আচরণ বিধি পরিবর্তন নিয়ে তোড়জোড় শুরু করে ইসি। আরপিও সংসদে পাস হলে দু-এক দিনের মধ্যে যেন আচরণবিধি চূড়ান্ত করা যায়, এ জন্য কমিশন এখনই কাজ শুরু করে দিয়েছে।

বৈঠক সূত্র জানায়, ভারতের আচরণ বিধিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে কমিশন। কারণ যেসব দেশে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়, তার মধ্যে ভারতের সঙ্গেই বাংলাদেশের বেশি মিল। তাছাড়া পাশের দেশ হিসেবে ভোটার ও প্রার্থীদের আচরণ, কৃষ্টি, সংস্কৃতি- প্রভৃতির দিক থেকেও ভারতে প্রচলিত পদ্ধতি এ দেশে বেশি কার্যকর বলে মনে করছে কমিশন। ভারতের আচরণ বিধিতে বলা হয়েছে, মন্ত্রীরা তাদের অফিসিয়াল সফরের সঙ্গে নির্বাচনী সফর এক করতে পারবেন না। অফিসিয়াল বা সরকারি যন্ত্রপাতি বা কর্মকর্তা-কর্মচারী নির্বাচনী কাজে ব্যবহার করতে পারবেন না। সরকারি পরিবহন যেমন বিমান, মোটর যান ক্ষমতাসীন দল ব্যবহার করতে পারবে না। পাবলিক স্থান বিশেষ করে ময়দান ও হেলিপ্যাড নির্বাচনী প্রচার বা সভার জন্য ক্ষমতাসীন দল নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না। ক্ষমতাসীনরা যেভাবে এসব জায়গা ব্যবহার করে অন্য দলের প্রার্থীরাও সেভাবে ব্যবহার করতে পারবে। আবার রেস্ট হাউস, ডাকবাংলো অথবা সরকারি আবাসন ক্ষমতাসীন দল নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না। সরকারি প্রচারযন্ত্র, সংবাদপত্র বা গণমাধ্যম ব্যবহার করে প্রচার চালানো যাবে না। ভারতের আচরণ বিধি অনুযায়ী, মন্ত্রীরা বা অন্য কোনো সরকারি কর্তৃপক্ষ নির্বাচনকালীন কোনো প্রকল্প গ্রহণ বা অনুমোদন বা অর্থছাড় করতে পারেন না। তারা কোনো প্রকল্প ঘোষণা, ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন, রাস্তা-ঘাট উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি, খাবার পানির সুবিধা দেওয়া বা এডহক ভিত্তিতে কোনো নিয়োগ দিতে পারেন না। সূত্র জানায়, বাংলাদেশেও একই বিধানের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী অনুযায়ী আগামী ২৭ অক্টোবর থেকে ২৪ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচনের বিধান রয়েছে। তাই ২৭ অক্টোবরের আগেই আচরণ বিধি তৈরি করতে চায় ইসি।

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.