আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বরিশালে ভারপ্রাপ্ত সিটি মেয়রের দুর্নীতি ö

বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) ভারপ্রাপ্ত মেয়র আলতাফ মাহমুদ সিকদার গতকাল ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন। নিজের ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ততায় অন্য সময় যেনতেন সময়ে এলেও গতকাল বেলা ১১টায় অফিসে ঢুকে পৌনে ৪টা পর্যন্ত কাজ করেছেন। আজ তার শেষ কার্যদিবস। জানা গেছে, এ সময়ে তিনি তার সময়ে সম্পন্ন হওয়া যাবতীয় ফাইলের ত্রুটি-বিচ্যুতিগুলো পরখ করে শোধরানোর চেষ্টা করেছেন। সূত্র জানায়, বিসিসির ভারপ্রাপ্ত মেয়র আলতাফ মাহমুদ সিকদারের বিরুদ্ধে কমিশন বাণিজ্যের অভিযোগ সবার মুখে মুখে। তার সময়ে আওয়ামী লীগ ঘরানার ঠিকাদারদের কাছ থেকে কাজের শতকরা ২০ ও বিএনপি ঘরানা ও সাধারণ ঠিকাদারদের কাছ থেকে ১৫ ভাগ হারে কমিশন আদায়ের অভিযোগ ওপেন সিক্রেট ঘটনা হিসেবে চাউর ছিল। শুধু তাই নয়, সাবেক মেয়র শওকত হোসেন হিরণের আশীর্বাদে নামে-বেনামে পাওয়া তিনি ও তার সহকর্মী সিটি করপোরেশনের অর্থ কমিটির চেয়ারম্যান জাকির হোসেনের কয়েক কোটি টাকার উন্নয়ন কাজের পুরনো বিলও তুলেছেন। এ ছাড়া আর্থিক সুবিধা নিয়ে সাবেক মেয়রের সময়ে নিয়োগ পাওয়া ৪২ জন অস্থায়ী কর্মচারীকে স্থায়ী করেছেন। নগরীর সাগরদীতে স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে স্টল বরাদ্দ দিয়েও কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী কেএম শহীদুল্লাহ শহিদ বলেন, 'হাইকোর্টের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে ৪২ জনকে কাজে যোগ দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হলেও তাদের দায়িত্ব দেয়নি। পক্ষান্তরে সাবেক মেয়রের সময়ে দৈনিক হাজিরা ভিত্তিতে নিয়োগ পাওয়া ৪২ জন কর্মচারীর কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে তাদের চাকরি স্থায়ী করেছেন ভারপ্রাপ্ত মেয়র আলতাফ মাহমুদ সিকদার। কোনো প্রকার কাজ না করলেও কয়েক কোটি টাকার পুরনো বিল উৎকোচ গ্রহণের মাধ্যমে পরিশোধ করেছেন। ভারপ্রাপ্ত মেয়র আলতাফ মাহমুদ সিকদার তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে তার কর্মকাণ্ড ভালো বলে জানান।

ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন্ন করতে কেউ মিথ্যা অভিযোগ করতে পারেন। ভুলত্রুটি হতে পারে, তবে কোনো অন্যায় করিনি।

কাউন্সিলর মীর জাহিদুল কবির জাহিদ বলেন, 'ভারপ্রাপ্ত মেয়রের বিরুদ্ধে করপোরেশনের উন্নয়ন কাজের বিল থেকে ১৫ ভাগ হারে কমিশন আদায়ের অভিযোগ শুনেছি। তবে সত্য না মিথ্যা বলতে পারছি না।'

করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, দায়িত্ব পালনকালে নতুন-পুরনো মিলে উন্নয়ন কাজের প্রায় ৩৯ কোটি টাকার বিল পরিশোধ করেন আলতাফ মাহমুদ সিকদার।

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.