আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাবাজি ছারপোকা!

নিপুণ লেখনীর শানিত গর্জন / লিখব আজ নিপুণ কথন

হল লাইফ আর ছারপোকার কামড় সমার্থক । এই দুইয়ের মাঝে রয়েছে এক গিট্টু মারা সম্পর্ক, যে গিট্টু খোলা কষ্টকর । মনে পড়ে সেই অনার্স ফার্স্ট ইয়ারের দিনগুলোর কথা । নতুন নতুন হলে এসেছি তখন । এলাকার কোন বড় ভাই ম্যানেজ করে সীট পাওয়া গেলো না, কাজেই অগত্যা সীট পলিটিক্স করতে হল ।

মাথা গোজার আর চোখ বুজার একটি জায়গা পাওয়া গেলো । এক রুমে আটজন । চার বেডের প্রতিটিতে দুজন । প্রথম দিন, সারাদিন ক্লাস শেষে ক্লান্ত শরীর আর ভেজা মন নিয়ে গা এলিয়ে দিলাম বিছানায় । বাতি নিভাতেই, গায়ে চুলকানি অনুভব হল, যেন কিছুতে কামড়াচ্ছে! বিছানায় এদিক সেদিক নড়াচড়া করতে করতে রাতটা কাটল ।

ভোরের দিকে একটু ঘুম হয়েছিল কিনা মনে নেই । সেই শুরু । এভাবেই প্রতি রাতে চলতো অনিচ্ছায় রক্তদান কার্যক্রম আর দেরী করে ঘুমানো, ফলে দেরীতে ক্লাসে যাওয়া, মাঝে মাঝে অনিচ্ছাকৃত ক্লাস মিস দেয়া । ক্যান্টিনে খেয়ে যা একটু রক্ত শরীরে জমত, রাতের আঁধারে তার প্রায় সবটাই ডাকাতি করে নিয়ে যেত বাবাজি ছারপোকা! আমিও ভাই দিল দরিয়া মানুষ! কোনদিন না করিনি ওদের! (আসলে না করলেও লাভ হতো না । ) দুদিন হল মাস্টার্স এর ক্লাস শুরু হয়েছে ।

অনেকদিন পর আবার সুবোধ বালকের মত ক্লাসে যাচ্ছি । উপস্থিতিতে ১০ মার্ক, না গিয়েও উপায় নেই । আর ভালোলাগা স্যারদের ক্লাস তো মিস দেয়া চলেই না! এবার তাই কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি- ক্লাস এবার মিস দেয়া যাবে না, মোটেই না । কিন্তু, সেই ফার্স্ট ইয়ারের মত সেই যে বাবাজি ছারপোকা... সে আবার আমাকে আদর করা শুরু করেছে! মাঝরাতে আবার ঘুম ভেঙ্গে যাচ্ছে, আর আমি আবার জেগে বসে আছি! আচ্ছা, ছারপোকা বশে আনা যায়না? অন্তত একটা শান্তি চুক্তিতে যাওয়া যেতে পারে, ব্যাপারটা এমন হলে কেমন হয় যে- একটা অলিখিত চুক্তি হবে ওদের সাথে যে ওরা রাতে রক্ত চুষতে পারবে না । প্রতিদিন রুটিন করে দিনের বেলা একটি নির্দিষ্ট সময় ওদেরকে স্বেচ্ছায় রক্তদান করা হবে ।

নে বাবাজিরা, এবার তোরা মুখে স্ট্র লাগিয়ে খা! Click This Link

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।