আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রামপাল থেকে সাউথ-সাউথ



সুন্দরবন তথা বাংলাদেশকে রক্ষার তাগিদে সচেতন জনগণের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করব ভেবে "রামপাল" লিখে সার্চ দিলাম। প্রথমেই আসল কয়েকটা "অর্জুন রামপালের" ফ্যানপেজ! এই অর্জুন রামপাল যেই দেশের নাগরিক, সে দেশ কিন্তু পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে বেশ "শো-অফ" ভূমিকা পালন করে আসছে। বছরে একবার অন্তত দেখাই যায় যে, কোন মিডিয়া সেলিব্রেটি বন্য জীববৈচিত্র্য নষ্ট করার দায়ে জেল-জরিমানা হচ্ছে। সেই দেশটাই কেন "পরিবেশবান্ধব বিদ্যুতপ্রকল্প"-কে এড়িয়ে গিয়ে অন্যসব বিষয়ের মত এই ক্ষেত্রেও পার্শ্ববর্তী দেশটার মাথায় "কাঁঠাল" ভেঙ্গে খেতে চাইছে, তা ফুটপাতের পথশিশুরাও হয়তো বুঝবে। সবাই লংমার্চ ও আন্দোলনকারীদের কর্মসূচী/কর্মকাণ্ডকে "বামদলগুলোর" বলে পক্ষপাতদুষ্ট/প্রশ্নবিদ্ধ করতে চাইছে।

হতে পারে তাদের অধিকাংশই বামপন্থী কর্মী/সমর্থক, কিন্তু সর্বোপরি তারা মানুষ, তারা বাংলাদেশের মানুষ। শুধুমাত্র স্বার্থপর-মুনাফাখোর-সুবিধাবাদীরাই সুন্দরবনের এই কয়লাভিত্তিক পাওয়ার-প্ল্যান্টের সমর্থন করবে। গত কয়দিন যেভাবে চরম-গরম পরছে, তাতে জীবনযাপন তো দুর্বিষহ হয়েই উঠছে, তার উপরে দিনে ১৬/১৭ ঘন্টা লোডশেডিং মানুষকে এটাই বুঝিয়ে দিচ্ছে "এই টার্মের সরকার-ও আমাদের মূলা দেখিয়ে চলে যাচ্ছে!" গাধাও আজকাল নিজেদের "মানুষ" বলে ভাবতে লজ্জা করে! একের পর এক রিয়েল-এস্টেট প্রজেক্ট, বিশাল শপিং মল, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক করে কোন লাভ নেই। গ্যাস-বিদ্যুত-জ্বালানী ছাড়া মানবসভ্যতার সবকিছুই "মাকাল ফলে" পরিণত হবে। এই সরকারের আমলে বেশ কিছু পাওয়ার-প্ল্যান্ট তৈরী হয়েছে বটে, কিন্তু বিদ্যুত উতপাদনের কাঁচামাল বা জ্বালানী (গ্যাসের) অভাবে সেগুলোর অধিকাংশই "শো-পিস" হিসেবে পরে রয়েছে।

সঠিক পরিকল্পনার অভাব সবক্ষেত্রে। দেশের মানুষকে প্রাকৃতিক সম্পদের যথাযথ ব্যবহার ও সংরক্ষণে বাধ্য করতে না পারলে ঢাকা-র মত পুরো বাংলাদেশ-ও শীঘ্রই "বসবাসের অযোগ্য" হিসেবে পরিণত হবে। ঢাকার পানি-বাতাস-মাটির মত সামাজিক বন্ধন ও পারিবারিক পরিবেশ অশোধনযোগ্য পর্যায়ে চলে গিয়েছে। সর্বস্তরের মানুষ "সোনার হরিণ -শান্তির" খুঁজে অধিক অর্থ উপার্জনের লক্ষ্যে যার যার পেশা থেকে দুর্নীতি করে যাচ্ছে; এবং এভাবেই ঘরে আসছে অতিরিক্ত গ্যাস সিলিন্ডারের পয়সা, আইপিএস কেনার টাকা, সন্তানের প্রাইভেট টিউশনের খরচ, সিএনজি ড্রাইভারের ডাবল-ভাড়া প্রদানের সক্ষমতা, বেআইনী-অযৌক্তিক বাড়ীভাড়া দেয়ার সামর্থ্য !! আর এই অবস্থাকে পাশ্চাত্যের "কে বা কাহারা" দারিদ্র্য-বিমোচন নাম দিয়ে "হার এক্সেলেন্সিকে" দিচ্ছেন সাউথ-সাউথ এওয়ার্ড! অভিভূত!


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।