আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তারেক রহমান সম্পর্কে কূটুক্তি: নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে অপ্রীতিকর ঘটনা

সম্পর্ককে খুব গুরুত্ব দিই।
সালাহউদ্দিন আহমেদ, নিউইয়র্ক: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান সম্পর্কে কূটুক্তি করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সিটির জ্যাকসন হাইটসে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার সময় জনৈক এক ব্যক্তির সাথে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির কতিপয় নেতার বাক-বিতন্ডা ও কথা কাটাকাটি হয়েছে। জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি ঘোষিত ‘যেখানে হাসিনা, সেখানেই প্রতিবাদ’ কর্মসূচীর অংশ হিসেবে এবং জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণ প্রদানের সময় জাতিসংঘ ভবনের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচী পালনের পোস্টার লাগানোর সময় গত ২৫ সেপ্টেম্বর বুধবার রাত ১১টার দিকে জ্যাকসন হাইটসের ৭৩ স্ট্রীটস্থ খামার বাড়ী স্টোরের সামনে উপরোক্ত অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও ৩৪ অঙ্গ সংগঠনের প্রধান সমন্বয়কারী বেলাল মাহমুদ তার এক সহযোগী তৌফিককে সাথে নিয়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া এবং দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান, জিয়া পুত্র তারেক রহমানের ছবি সম্বলিত পোস্টার খামার বাড়ী স্টোরের দেয়ালে সাঁটানোর সময় জনৈক এক প্রবাসী তারেক রহমানকে ‘মহাচোর’ আখ্যায়িত করে নানা কূটুক্তি করলে বেলাল মাহমুদ ও তার সহযোগী এই কথার তীব্র প্রতিবাদ জানান।

এক পর্যায়ে তাদের সাথে ঐ ব্যক্তি বাকবিতন্ডে জড়িয়ে পড়েন। ঘটনাচক্রে বিএনপি নেতা গিয়াস আহমেদ, আনোয়ারুল ইসলাম, জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া প্রমুখ নেতা সেখানে উপস্থিত হলে জনৈক ব্যক্তিটি বিএনপি নেতাদের তোপের মুখে পড়েন। এসময় জনৈক ব্যক্তিকে উদ্দেশ্য করে বেলাল মাহমুদ বলেন, ‘তারেক রহমান সম্পর্কে কেউ কূটুক্তি করলে তার জিহ্বা কেটে ফেলা হবে’ এবং তিনি পুলিশ কল করতে চাইলে জনৈক ব্যক্তি ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। জ্যাকসন হাইটসের অপ্রীতিকর ঘটনার ব্যাপারে বেলাল মাহমুদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তারেক রহমান সম্পর্কে কোন অপপ্রচার সহ্য করা হবে না। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার নিউইয়র্ক আগমনকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির নেতা-কর্মীরা বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে লাগাতার সরকার বিরোধী প্রতিবাদ সভা-সমাবেশ করে আসছে।

দলের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে ‘যেখানে হাসিনা, সেখানেই প্রতিবাদ’ কর্মসূচী। কখনো ঐক্যবদ্ধভাবে আবার কখনো বিভক্ত হয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীরা এই সভা-সমাবেশের কর্মসূচী পালন করে আসছেন। অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগও প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে তাঁকে নিউইয়র্কে স্বাগত জানানো এবং সম্বর্ধিত করার ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। ফলে নানা বাধা-বিপত্তির মধ্যেও আওয়ামী লীগও বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রস্তুতি সভা-সমাবেশ করে। সব মিলিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি ও আওয়ামী লীগৈর মধ্যকার অভ্যন্তরীণ দলীয় কোন্দলের মধ্যেও উভয় দলের নেতা-কর্মীরা উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে সময় অতিবাহিত করছেন।


 

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.