আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চারদিকে বোমার শব্দ!

দৃশ্য:
দ্রিম দ্রিম দ্রিম...বোমার শব্দ! এফডিসির প্রধান ফটক পেরিয়ে ভেতরে ৩ নম্বর ফ্লোরের মুখে পৌঁছাতেই ভড়কে গেলাম। আরও কয়েকবার—দ্রিম দ্রিম!। কী রে, বাবা! কোন দিক থেকে কী হচ্ছে? কিন্তু আশপাশে মানুষের মধ্যে কোনো প্রতিক্রিয়া নেই!

এর মধ্যে দেখি, এফডিসির কড়ইতলার দিক থেকে মাস্তান গোছের তিন থেকে চারজন মানুষ দৌড়ে আসছে! আবারও দ্রিম দ্রিম...কড়ইতলার দিকটায়। ভাবী, এবার আর নিস্তার নেই। ‘কাট কাট! আপনারা আরেকবার আসেন।

’ হঠাৎ কড়ইতলার দিক থেকে কে যেন মাইক্রোফোনে কথাগুলো বলে উঠলেন। যাক বাবা, বাঁচা গেল! লম্বা একটা দম নিয়ে সোজা সেদিকে হাঁটা ধরলাম। পথেই পাওয়া গেল সহকারী পরিচালক প্রদীপকে। তিনি জানান, বাংলার ফাটা কেষ্ট ছবির একটা দৃশ্যের শুটিং চলছে। দুই দল মাস্তানের মধ্যে মারামারি।

একদল আরেক দলকে বোমা ছুড়ে ধাওয়া করে। দৃশ্যটা এমনই। কড়ইতলা থেকে বেরিয়ে মূল রাস্তা ধরলাম। রাস্তা ফাঁকা। ১ নম্বর ফ্লোরের মুখে মানুষজনের বেশ জটলা।



১ নম্বর ফ্লোরের দরজা দিয়ে ভেতরে ঢুকছেন তারিক আনাম খান। আগ্রহ বাড়ে। আমরাও সোজা ঢুকে পড়লাম ওই ফ্লোরের মধ্যে। ঢুকেই চোখ কপালে! পুরো ফ্লোর একটা আস্ত বার। দামি দামি পানীয় সাজানো।

একপাশে ক্যামেরা। ক্যামেরার চোখে লোকেশন ঠিকঠাক করে নিতে ব্যস্ত ইউনিটের কর্মীরা। পাশেই বসা পরিচালক সাহাদত হোসেন লিটন। দৃশ্য নিয়ে এক সহকারীর সঙ্গে আলাপ করছেন। এক ফাঁকে শুটিং নিয়ে কথা বলি তাঁর সঙ্গে।

বললেন, ‘মন বোঝে না ছবির শুটিং করছি। ’ ছবির কাজ একেবারেই শেষের দিকে। আজ তারিক আনাম খান আর শুভর দৃশ্য নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু সেটে শুভকে পাওয়া গেল না। ওখান থেকে বেরিয়ে গ্রিনরুমে উঁকি দিতেই দেখি, তারিক আনাম দুপুরের খাবার খাচ্ছেন।

দৃশ্য:

১ নম্বর ফ্লোরের পেছনে বাগানে শুভকে পাওয়া গেল। একটা দৈনিকের ফটোসাংবাদিক তাঁর ছবি তুলছেন। ছবি তোলা শেষ হলে শুভ কথা বললেন। খুবই উত্তেজিত তিনি। আগামী ঈদে তাঁর অভিনীত প্রথম ছবি মুক্তির মিছিলে।

তা-ও একসঙ্গে দুটি। পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী আর অগ্নি। দুটি ছবি নিয়েই তিনি আশাবাদী। বললেন, ‘শুধু চলচ্চিত্রে কাজ করব বলেই গত দুই বছর কোনো নাটকে কাজ করিনি। আশা করি, আর করবও না।

এখন পাঁচটি ছবির কাজ চলছে। শুটিং করতে গিয়ে হাতে ব্যথা পাওয়ায় একটু সমস্যা হচ্ছে। ’ শুভ জানান, অগ্নি ছবিতে মারামারির দৃশ্য করতে গিয়ে হাতে ব্যথা পান তিনি। সার্জারি করতে এ সপ্তাহে কলকাতা যাচ্ছেন। থাকবেন প্রায় ২৫ দিন।

এদিকে লোকেশন থেকে ডাক আসে শুভর। পরের দৃশ্য ধারণ হবে।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।