আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভক্তের জন্য রোনালদোর আবেগময় চিঠি

স্বপ্নের মানুষ ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে শুধু চোখের দেখাই না, জড়িয়েও ধরতে পেরেছিলেন এক কানাডিয়ান তরুণ। রোনালদো কথাও বলেছিলেন তাঁর সঙ্গে। সে সময় জীবনে কোনো অপ্রাপ্তিই ছিল না ১৯ বছর বয়সী রোনাল্ড জোকার। কিন্তু বেরসিক স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষ এই আবেগের দাম দেয়নি। অবৈধভাবে মাঠে ঢোকার অপরাধে জেলে যেতে হয়েছে জোকারকে।

তবে সেটাও শেষ পর্যন্ত সুখের মুহূর্তেই পরিণত হচ্ছে রোনালদোর এই ভক্তর জন্য। কারণ তাঁর এই বিপদে চুপ করে বসে থাকেননি রোনালদোও। কর্তৃপক্ষের কাছে আবেগময় এক চিঠি লিখে ভক্তের মুক্তির অনুরোধ জানিয়েছেন এ সময়ের অন্যতম সেরা এই ফুটবলার।

ঘটনাটা গত আগস্টের। মায়ামির সানলাইফ স্টেডিয়ামে ইন্টারন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নস কাপে মুখোমুখি হয়েছিল চেলসি আর রিয়াল মাদ্রিদ।

সে সময় দর্শক গ্যালারি থেকে মাঠে এসে রোনালদোর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন জোকা। তাঁর গায়েও ছিল রিয়ালের ৭ নম্বর জার্সিটা। রোনালদো বেশ সহজভাবেই নিয়েছিলেন ভক্তের এই পাগলামি। জোকাকে নিজেই জড়িয়ে ধরেছিলেন। কথাও বলেছিলেন প্রায় এক মিনিটের মতো।

কিন্তু এভাবে মাঠে ঢুকে পড়াটা বেআইনি। খেলোয়াড়দের নিরাপত্তাও এতে ঝুঁকির মধ্যে পড়ে। স্বাভাবিকভাবেই শাস্তির মুখোমুখি জোকা।

তবে এই ক্ষেত্রে নিয়মের লঙ্ঘন হলেও জোকা যে কোনো ক্ষতি করেননি সেটা রোনালদো মনে করিয়ে দিচ্ছেন। তার চেয়েও বেশি করে তিনি গুরুত্ব দিচ্ছেন তাঁর প্রতি ভক্তের এই ভালোবাসা, রোনালদোকে এভাবে জড়িয়ে ধরলে শাস্তি হবে জেনেও যিনি ঝুঁকিটা নিয়েছিলেন।

আর তাই ফ্লোরিডার কর্তৃপক্ষের কাছে নিজের স্বাক্ষর করা একটা চিঠি পাঠিয়েছেন রোনালদো।

সেই চিঠিতে রোনালদো বলেছেন, ‘আমরা একে অন্যকে জড়িয়ে ধরেছি। কিছুক্ষণ কথা বলেছি, তারপর নিরাপত্তাকর্মীরা তাকে মাঠের বাইরে নিয়ে গেছে। সে কোনোভাবেই আক্রমণাত্মক বা হিংস্র আচরণ করেনি। আমি আপনাদের অবস্থান ও আইনকানুন প্রয়োগের গুরুত্বটাও অনুধাবন করছি।

তার পরও আমি শ্রদ্ধার সঙ্গেই আপনাদেরকে অনুরোধ করছি, এই তরুণের ওপর থেকে দুটি অভিযোগই তুলে নেওয়ার জন্য। ’

তবে এই চিঠিতে কাজ হবে কি না, সেটা নিশ্চিত নয়। হয়তো শেষ পর্যন্ত শাস্তিই পাবেন ওই ১৯ বছর বয়সী ছাত্রটি। অভিবাসন আইনের আওতাতেও কড়া শাস্তি ভোগ করতে হতে পারে তাঁকে। সেই ঘটনার পর এক রাত এবং পরবর্তী দিনের প্রায় পুরোটাই জেলে কাটানো জোকা অবশ্য এর আগে এক সাক্ষাত্কারে বলেছিলেন, জীবনে আর কিছুই চাওয়ার নেই তাঁর, ‘তিনি আমার দিনটা স্মরণীয় করে দিলেন।

আমি পিতৃহীন এক কিশোর হিসেবে বেড়ে উঠেছি। সারা জীবন তাঁকে অনুসরণ করেছি। যখন দৌড়াচ্ছিলাম, আমার শিরায়-উপশিরায় রোমাঞ্চ খেলে যাচ্ছিল। আমি শুধু নিজেকে বলেছি, যাও, করে ফেলো, যা হবার হবে। আমি তাঁর সামনে দাঁড়ালাম।

তিনি আমাকে অভিবাদন জানালেন। আমি ওকে বললাম, “রোনালদো, আমার জীবনটাকে পূর্ণ করে দেওয়ায় তোমাকে ধন্যবাদ”। ’

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.