আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ই-কমার্স

বিশ্বায়নের এ যুগে এবং ইন্টারনেটের কল্যাণে পৃথিবীর সবকিছুতে লেগেছে অনলাইনের ছোঁয়া। এক্ষেত্রে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্যও পিছিয়ে নেই। বর্তমানে ব্যবসা-বাণিজ্য অনেকটাই ইন্টারনেটনির্ভর হয়ে পড়ছে। আধুনিক সমাজব্যবস্থাকে বলা হয়, তথ্যভিত্তিক সমাজ। একটি দেশের জন্য এই তথ্য খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং ব্যয়বহুল একটি ব্যানার।

এ তথ্যকে যে দেশ যত বেশি কাজে লাগাতে পারবে সে দেশই তত উন্নতি লাভ করবে। এ তথ্যভিত্তিক সমাজব্যবস্থায় ব্যবস্থা-বাণিজ্যের পদ্ধতির ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। আমাদের নতুন সমাজ ক্রমশ একটি নতুন ব্যবসা পদ্ধতির দিকে ধাবিত হচ্ছে, যার নাম ই-কমার্স (E-COMMERCE)। ব্যবসা-বাণিজ্য নানা সময়ে নানা পদ্ধতির অবলম্বন করেছে। ঠিক তেমনি ই-কমার্স হলো-ব্যবসা-বাণিজ্যের আরেকটি পরিবর্তন।

এক কথায় বলতে গেলে ইন্টারনেটে যে কোনো ব্যবসা পরিচালনা করাকে ইলেক্টনিঙ্ কমার্স অথবা সংক্ষেপে ই-কমার্স বলে।

উন্নত বিশ্বের প্রায় সব দেশে সনাতন ব্যবসা পদ্ধতির বদলে ই-কমার্স হয়ে উঠেছে ব্যবসার একমাত্র মাধ্যম। এর প্রধান কারণ, ই-কমার্স সবচেয়ে দ্রুতগতির ব্যবসা পরিচালনার একটি মাধ্যম। এ পদ্ধতিতে যে কোনো ব্যবসায়ী তার ব্যবসার পণ্যকে পৃথিবীর সব দেশে পৌঁছে দিতে পারেন। বিশ্ববাজারে নিজ অবস্থান ধরে রাখার জন্য ই-কমার্স ছাড়া আধুনিক ব্যবসা নেই বললে ভুল হবে না।

ই-কমার্স হলো একমাত্র মাধ্যম যার মাধ্যমে আপনার ব্যবসাকে খুব দ্রুত বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে পারেন। ধারণা করা হয়, পৃথিবীর সব ধরনের ব্যবসা-বাণিজ্য এক সময়ই-কমার্সের মাধ্যমেই পরিচালিত হবে। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে এর ব্যবহার। বাংলাদেশে ই-কমার্সের প্রভাব এখনো পুরোপুরি পড়েনি। তবে এগিয়ে চলছে এর অগ্রযাত্রা।

বাংলাদেশের অনেক ব্যবসাই এখন প্রচলিত পদ্ধতির পাশাপাশি ই-কমার্সের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। আমাদের উচিত দ্রুত এ প্রচলিত পদ্ধতির পরিবর্তন ঘটিয়ে সবাইকে ই-কমার্সের আওতায় নিয়ে আসা। অন্যথায় বিশ্ববাজারে আমরা ঠাঁই পাব না, তথা বাজার হারাব। বাংলাদেশের গার্মেন্টসশিল্পসহ বেশকিছু পণ্য এখনো বিশ্ববাজারে খুবই সমাদৃত। এ সেক্টরকে অতি দ্রুত ই-কর্মাসের আওতায় নিয়ে আসা প্রয়োজন, না হলে বিশ্ববাজারে নিজ অবস্থানে টিকে থাকা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়বে।

ই-কমার্সের আওতায় সব ধরনের ব্যবসা-বাণিজ্য চালালে বাইরের দেশের লোকেরা খুব সহজে নিজেদের দেশের পণ্যের সঙ্গে অন্যান্য দেশের তুলনা করতে পারবে। এ ছাড়া স্থানীয় বাজারের জন্য ই-কমার্সের ব্যাপক প্রচলন প্রয়োজন। এতে আমরা খুব সহজে ঘরে বসে বিস্তর বিবেচনা করে সবকিছু কেনাকাটা করতে পারব। সর্বোপরি বাংলাদেশে ই-কমার্সের প্রচলন করার জন্য সরকারি এবং স্থানীয় উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসতে হবে।

 

 

 



সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।