আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কালো রাত (হ্যালোইন স্পেশাল চার পর্বের ভুতুড়ে গল্প) (পর্ব ২)

গেন্দু মিয়ার চরিত্র – ফুলের মতন পবিত্র!

কালো রাত ---------- (পর্ব - ২/৪) আগের পর্ব গুলো পড়তে কালো রাত (হ্যালোইন স্পেশাল চার পর্বের ভুতুড়ে গল্প) (পর্ব ১) ------ সন্ধ্যা মিলিয়ে রাত নামলো। ছোট রাস্তাটার দু’পাশে দাঁড়িয়ে থাকা বাড়িগুলোর সামনে আলো জ্বলে উঠছে এই দিনের গৃহসজ্জার উপকরণ গুলোতে। তারা তিনজন দাঁড়িয়ে আছে বুড়ি মার্গারেটের বাড়ীর সামনে। ডেভিড পড়েছে জোকারের কস্টিউম, মুসা আর কাদের দুই ভাইয়ের একজন ব্যাটম্যান, আর আরেকজন রবিন – কোনটা কে বলা মুশকিল। সাড়ে তিন ফুট উচ্চতার এই দুইজন দাড়ি-গোফ চেঁছে এসেছে, হঠাৎ করে দেখলে বয়স আন্দাজ করার উপায় নেই।

সিগারেটে শেষ টান দিয়ে অবশিষ্টটা ছুঁড়ে ফেলে দিতে গিয়ে ভ্রুঁ কুঁচকে তাকালো সেটার দিকে। হ্যাঁ ব্র্যান্ডটা তো ঠিকই আছে। কিন্তু কেমন যেন গলায় একটু খুশখুশে লাগছে। ডোর বেলটা বেজে উঠতেই ভেতর থেকে বুড়ি দরজা খুলে দিলো। “হ্যালো ম্যাম! ট্রিক অর ট্রিট?” মুচকি হেসে বুড়ি বলে উঠলো “ট্রিট।

এসো ভেতরে এসো। “ তিন জন ঢুকে পড়লো ভেতরে। কিচেনে নিয়ে গিয়ে ওদের বসতে বললো বুড়ি। এমনিতে দরজা থেকে হাতে চকলেট ধরিয়ে বিদেয় করে দেবার কথা থাকলেও ডেভিডকে দেখে রান্নাঘর পর্যন্ত আসতে বলে বুড়ি। আসলে একা একা থাকে তো, পরিচিত কেউ আসলে খুব খুশি হয়।

“মার্গারেট তোমার ছেলে এবার কার্ড পাঠিয়েছে?” এক দীর্ঘশ্বাস ফেলে বুড়ি বলে, “নাহ্‌ কবেই ভুলে গেছে আমাকে। আমি বেঁচে আছি কিনা তাই ই হয়তো জানে না। “ “মেয়ে?” আবারো দীর্ঘস্বাস। বুড়িকে ফাঁদে ফেলার এহেন সুযোগ পেয়ে হাতছাড়া করলো না ডেভিড। “মার্গারেট, তোমার জন্য আমার এই ছোট্ট বন্ধুরা কিছু চকলেট এনেছে।

খেয়ে দেখবে?” একটা মিষ্টি হাসি ফুটলো বুড়ির ঠোঁটে। হাত বাড়িয়ে তুলে নিলো একটা চকলেট। মুখে দিয়ে কিছুক্ষন চিবোতেই হঠাৎ করে মাথা ঘুরে উঠলো তার। তাল সামলাতে হাত দিয়ে খাবার টেবিলটা ধরে ফেললো সে। “কোন সমস্যা?” “না না ঠিক আছি।

ব্লাড প্রেশারটা মনে হয় একটু ঊঠা নামা করছে। আচ্ছা, এতো মজার চকলেট তো অনেকদিন খাইনি। “ সিন্‌থিয়া যে ফার্মেসিটাতে কাজ করে ওখান থেকে কড়া একটা ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দিয়েছিলো এই চকলেট গুলোতে। সেই মিষ্টি সিরাপে হয়তো এজন্য আরো বেশি কড়া মিষ্টি লাগছে। আরো একটা তুলে নিলো বুড়ি, তারপর আরো একটা।

একটু চিন্তিত হয়ে পড়লো ডেভিড। আবার বেশি হয়ে যাচ্ছে না তো। সিন্‌থিয়া অবশ্য ভরসা দিয়েছিলো যে চার পাঁচটা তে কিছু হবে না। তারপরও দুশ্চিন্তা পিছু ছাড়ে না। বোঝা যাচ্ছে ওষুধে কাজ হচ্ছে।

বুড়ি আস্তে আস্তে হাঁটু গেঁড়ে বসে পড়লো। তারপর কেমন যেন হাঁসফাঁস করতে করতে চিৎ হয়ে শুয়ে পড়লো। সব নড়াচড়া বন্ধ দেখে ভয়ে ভয়ে বুড়ির নাকের কাছে আঙ্গুল রেখে হতভম্ব হয়ে ডেভিড দেখলো নিঃশ্বাস বন্ধ। বুড়ির দেহে প্রাণ নেই! ------- পাদটীকাঃ একটা সাস্‌পেন্স তৈরী করার চেষ্টা করেছি। পরের পর্বেই টুইস্ট আসতে পারে।

কেমন লাগলো জানাবেন।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১২ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.