আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সামনে আসছে শুভদিন: বাংলাদেশের উপর শান্তি বর্ষিত হোক!!!

অভিলাসী মন চন্দ্রে না পাক, জোছনায় পাক সামান্য ঠাই

সামনে আসছে শুভদিন। এর অন্যথা হবার কোন অবকাশ নাই। বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক সংকটে অনেক বাংলাদেশী ভাই-বোনের মন খারাপ। মাতৃভূমি'র সুস্থতা এবং শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যত সবাই কামনা করে। তাই মাতৃভূমি নিয়ে এমন অনিশ্চিয়তা দেশপ্রেমিক সবার মনোযোগের কেন্দ্রে।

আমিও দেশপ্রেমিক। ২৫ থেকে ৩১শে অক্টোবরের ভেতর একটা সমাধান চেয়েও না পেয়ে আমি প্রচন্ড ক্ষুদ্ধ এবং ব্যাথিত হয়েছি কারন আমার দেশকে নিয়ে এভাবে ছিনিমিনি খেলার অধিকার কাউকে না দেয়ার পরও ওরা অন্যায়ভাবে ছিনিমিনি খেললো। মনে হলো, ভোর চারটায় সময় ১ ঘন্টা পিছিয়ে রাত'কে দীর্ঘায়িত করা হলো। আমাদের সুদিনের সূর্যোদয় পিছিয়ে গেল। যাইহোক, এই সময় অতিক্রান্ত হবেই।

সুদিন আসবেই। পৃথিবী যদি ফিজিক্যালী ধ্বংস না হয় তবে, সূর্য উঠবেই। সেই সুদিন কিভাবে আসবে সেটা যদি যৌক্তিকভাবে দেখার চেষ্টা করি তাহলে দেখা যাবে, প্রথমত, ২৪ জানুয়ারি'র ভেতর নির্বাচন হতেই হবে। সুতরাং, বর্তমান সংকট সর্বোচ্চ ৮২ দিন চলতে পারে। এরপর দেখি, চলমান সংকটের আউটপুট কি? স্বাভাবিক আউটপুট, ১- আওয়ামী লীগ অগ্রহনযোগ্য নির্বাচন করে সরকারে থেকে যাবে ২- আওয়ামী লীগ সরকার থেকে চলে যাবে অস্বাভাবিক আউটপুট, ১- সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা গ্রহন ২- ভারত বা অন্য কোন রাষ্ট্রের বাংলাদেশ দখল স্বাভাবিক প্রেডিকশন ১ অনুযায়ী, আওয়ামী লীগ যদি পুলিশ-বিজিবি, মিডিয়া ও প্রশাষন ব্যাবহার করে জবরদস্তি নির্বাচন দিয়ে সরকারে থেকে যায় তাহলে বাংলাদেশের ৬০% এর নিচের তরুন প্রজন্মের ব্যাক্তিগত সামাজিক- রাজনৈতিক স্মৃতিতে প্রথমবারের মত আওয়ামী লীগকে স্বৈরাচাররূপে দেখার অভিজ্ঞতা হবে, যা এই প্রজন্ম বেঁচে থাকা পর্যন্ত এফেক্ট ফেলবে, ফলে আগের বারের মত বাকশাল করে যেমন ২১ বছর ক্ষমতার বাইরে ছিল তেমন আবারো আওয়ামী লীগ ২৫-৩০ বছরের জন্য মাঠের বাইরে চলে যাবে ।

তবে জোর করে নির্বাচন দিলেও সরকার গঠন করতে পারবে কি না সেটাও অনিশ্চিত কারন, জনগণ ইতিমধ্যেই আওয়ামী লীগারদের প্রতি যেই নেতিবাচক মানসিকতা ধারন করে ফুঁসছে, নির্বাচন না পেলে এর বিস্ফোরন ঘটার কোন বিকল্প আর থাকবে না। এবং যদি মিশরের মত গণবিপ্লব হয় তবে সেই বিস্ফোরনে আওয়ামী লীগ নামক দলটা বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে চিরতরে মুছে যেতে পারে। কারন বিপ্লব হলে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বিচার হবে এবং দলও নিষিদ্ধ হবার সম্ভাবনা থাকে, যেমনটা হচ্ছে মুসলিম ব্রাদারহুডের সাথে। আর লীগ ক্ষমতায় থাকলে স্বপ্রণোদিত হয়ে পুরো বিপ্লবটা ত্বরান্বিত করবে প্রতিবেশী ভারতের আচরন-বাংলাদেশী পাসপোর্টধারী ভারতের দালাল দল এবং ইসলাম বিদ্বেষী মিডিয়া লীগ। আর ২য় ফলাফল অনুযায়ী যদি আওয়ামী লীগ ক্ষমতা ছাড়ে, তাহলে প্রতিটি জরিপ ও বিগত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ফলাফল মনে রেখে নিশ্চিত বলা যায় যে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠ নির্বাচন হলে লীগ আগামী জাতীয় নির্বাচনে হারবে।

দেশবাসী ২৪ জানুয়ারীর আগেই বর্তমান সংকট থেকে উত্তরন হবার উপলক্ষে হাফ ছেড়ে বাঁচবে। আগামী ৩-৪ বছর অন্তত সবাই তুলনামুলকভাবে স্বাভাবিক জীবন যাপন করবে। মাতৃভূমি ধীরে কিন্তু ধারাবাহিকভাবে যেই উন্নতির পথে চলছে তা অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশের রাজনীতি'র ব্যাপক পরিবর্তন ঘটবে। বার্ধক্যের কারনেও অনেকে রাজনীতি ও পৃথিবী ত্যাগ করবেন।

আমাদের জীবন যাত্রায় ব্যাপক কোন পরিবর্তন না আসলেও আগের মত স্বাচ্ছন্দ অবশ্যই আসবে। মায়ান ক্যালেন্ডারের কেয়ামত থেকে বেঁচে যাবার মত একটা খুশী বাংলাদেশবাসীরা পাবে। সুতরাং, স্বাভাবিক নিয়মে বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উপরের ২টা উপায়ের যে কোন একটাতে উত্তরন ঘটবে। এবং উভয় আউটপুটেই, টানেলের ঐপাড়ের আলো দেখা যাচ্ছে। এর বাইরে যুক্তির খাতিরে অস্বাভাবিক আউটপুটগুলো বিবেচনা করে কি হতে পারে দেখতে গেলে দেখা যায়।

সামরিক বাহিনী আসতে পারে, তবে সেক্ষেত্রে ওরা আরেকটা নির্বাচন করেই চলে যাবে, কারন ২১ বছর গণতন্ত্রে অভ্যস্ত ১৬ কোটি মানুষের একটা দেশে এযুগে এমন কিছু বিশ্ব ও দেশের জনগণ মানবে না, তাছাড়া ২০০৬'র স্মৃতি এখনো ধুসর হয়নি। তাই আর্মি আসলেও হবে নির্বাচন, আর ঐ নির্বাচনের ফলাফল উপরের স্বাভাবিক দুইটা আউটপুটের যে কোন একটা হবে, মানে, হয় আওয়ামী লীগ আসবে না হয় আওয়ামী লীগ যাবে। এবং নির্বাচন পরবর্তী ঘটনাবলী উপরের স্বাভাবিক আউটপুটে দেয়া বর্ননা মোতাবেকই হবে। পরের অস্বাভাবিক আউটপুট যদিও একেবারেই অসম্ভব তবুও যুক্তির খাতিরে দেখা যায় যে, বিশৃঙ্খলার অযুহাতে ভারত বা অন্য কোন বিদেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশ দখল করেই ফেলে তাহলে সেটা নতুন সংকটের জন্ম দিবে বর্তমান সংকট থাকবে না। সেখানেও পজেটিভ দিক থাকবে, দেশবাসী আবারো এ যুগের দেশপ্রেমিক ও রাজাকার তা চিনতে পারবে, এবং এবার আর বিচার ৪২ বছর দেরী হবে না।

দেশটারও একটা রি-সেটআপ হয়ে যাবে। তো, শেষপর্যন্ত দেখা যাচ্ছে, আমার বিশ্লেষন অনুযায়ী, আগামীতে কোনভাবেই খারাপ সময় আসবে না। যাই হোক, ভাল কিছুই হবে। বাংলাদেশের উপর শান্তি বর্ষিত হোক।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.