আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অস্ট্রেলিয়ার বুকে কামরুল চৌধুরী বাংলাদেশের এক গর্বিত প্রতিচ্ছবি



অস্ট্রলেয়িার বুকে র্গবতি এক বাংলাদশেি কামরুল চৌধুরী। মাত্র ১০ ডলার নয়িে অস্ট্রলেয়িার মাটতিে পা রখেছেলিনে ১৯৭৭ সাল। ে এখন তনিি কত বলিয়িন ডলাররে মালকি তা নজিওে জাননে না। হসিাবও মলিয়িে দখেনে না। তনিি অস্ট্রলেয়িার সরো রপ্তানকিারক হসিাবে পুরস্কার লাভ করছেনে অস্ট্রলেয়িান সরকাররে তরফ থকে।

ে ব্যবসা করছনে বাংলাদশে, ভারত, হংকং, মালয়শেয়িা, চীন, আফ্রকিা, ইউরোপসহ বশ্বিরে বভিন্নি দশে। ে অস্ট্রলেয়িাতওে তনিি সরো ব্যবসায়ীদরে একজন। প্রন্টিংি ও প্যাকজেংিয়রে বাজারে তনিি এক দখলদার। এই ক্ষত্রেে তনিি বশ্বিরে সরো ব্যবসায়ীদরে একজন। ইউরোপে আছনে দুই জন, আমরেকিায় একজন।

অস্ট্রলেয়িাতে তনিি একজন। র্দীঘ তনি যুগরেও বশেি সময় ধরে সফলভাবে ব্যবসা করে যাচ্ছনে। এই সময়রে মধ্যে ব্যবসা করা ছাড়াও তনিি নতুন নতুন ব্যবসা গড়ে তুলছেনে। অস্ট্রলেয়িার মলের্বোনে তার ছোট সাম্রাজ্যরে একাংশ। তনিি সখোনে নজিস্ব প্রন্টিংি এ্যান্ড প্যাকজেংি মশেনি সাপ্লাই দওেয়া ছাড়াও বল্ডিি কোম্পানি করছেনে।

ড্রইেরি র্ফাম করছেনে। প্রায় তনিশ বঘিা জমরি উপর। এখন নতুন করে গড়ে তুলছনে ফশিারজি র্ফাম। এছাড়াও এখানে বহু স্কুল-কলজেরে তনিি অনুদান দাতা সইে সঙ্গে সামাজকি অনকে কাজ করে থাকনে। অস্ট্রলেয়িাতে ৫৫ বছর বয়সীদরে জন্য গড়ে তুলছনে একটি ওল্ড হোম।

বুড়ো মানুষরো যাতে একটা বয়সে সখোনে আনন্দরে সঙ্গে সময় কাটাতে পারনে সইে জন্য উদ্যোগ নয়িছেনে। সখোনে তার রয়ছেে র্সববৃহৎ প্রন্টিংি প্রসে। চায়নজি একজন সটেি পরচিালনা করছনে। তনিি অস্ট্রলেয়িার মলের্বোন ছাড়াও পুরো অস্ট্রলেয়িাতে ব্যবসা করছনে। বাংলাদশেওে গড়ে তুলছেনে অনকে প্রতষ্ঠিান।

পএিনএস প্রন্টিংি এন্ড প্যাকজেংি, পএিনএস কমউিনকিশেন ছাড়া পএিন এস বল্ডিংি, পএিনএস হোম নামওে কোম্পানি পরচিালনা করছনে। দশেে তার বভিন্নি কোম্পানতিে কাজ করছনে প্রায় ৪০০ জন। অস্ট্রলেয়িাতওে কাজ করনে উল্লখেযোগ্য সংখ্যক র্কমর্কতা র্কমচারী। তনিি অনকেকইে চাকরি দয়িছেনে। তার খুব ইচ্ছে দশে থকেে লোকবল নওেয়ার কন্তিু প্রন্টিংি সক্টেরে অভজ্ঞি লোকজন না থাকার কারণে সটো সম্ভব হয় না।

তার খুব ইচ্ছে দশেে একটি টকেনক্যিাল ইনস্টটিউিট গড়ে তোলা। জায়গার সমস্যা নইে। কন্তিু দশেরে সংশ্লষ্টিদরে তরফ থকেে সহায়তা না পাওয়ার কারণে তা গড়ে তুলতে পারনেন। ি তবে তনিি চষ্টো চালয়িে যাচ্ছনে। তনিি বলনে, অস্ট্রলেয়িায় প্রন্টিংিয়রে জন্য ইঞ্জনিয়িারদরে চাকররি সুযোগ রয়ছে।

ে আর এই সুযোগরে কারণে আমি চাইলওে দক্ষ জনশক্তি পলেে বাংলাদশে থকেে জনবল আনতে পার। ি কন্তিু তা নইে। এই কারণে ভারত থকেে আনতে হয়। কামরুল চৌধুরী অস্ট্রলেয়িার সরকাররে কাছওে সফল ব্যবসায়ী হসিাবে সমাদৃত। তার স্ত্রীও একজন সফর ব্যবসায়ী।

তার তনিি ময়েরে সাফল্য অনকে। তার জামাতারা সফল। কামরুল চৌধুরী এই র্পযন্ত অস্ট্রলেয়িাতে যত টাকা আয় করছেনে তার আয়রে ৬০ ভাগ তার সন্তানদরে জন্য আর ৪০ ভাগ তনিি বভিন্নি সহায়তামূলক কাজরে জন্য করছেনে। বভিন্নি সামাজকি র্কমকাণ্ডরে সঙ্গে জড়তি আছনে। বদিশেে মসজদি, এতমিখানা তরৈি ছাড়াও দশেে মসজদি, এতমিখানা, বাজারসহ বভিন্নি প্রতষ্ঠিান করছেনে।

এখন তার গ্রামরে বাড়তিে গড়ে তুলবনে র্সববৃহৎ পরসিররে একটি হাসাপাতাল। মা ও শশিু হাসপাতাল। কামরুল চৌধুরীকে কবেল মলের্বোনবাসী নয় পুরো অস্ট্রলেয়িাবাসী জান। ে সখোনে তনিি একমাত্র ব্যক্তি যনিি অনকে সফল ব্যবসায়ী। বশ্বিজুড়ে তার নাম।

বাংলাদশেরে বশেরিভাগ সংবাদপত্ররে প্রসে তার সরবরাহ করা। জার্মানি থকেে মশেনি নয়িে এসে তনিি অস্ট্রলেয়িা থকেে বাংলাদশেসহ ৪০টি দশেরে বাজারে সাপ্লাই দনে। এত বত্তি ভবৈব থাকার পরও তার মধ্যে নইে কোনও অহমকি বাংলাদশেদিরে জন্য নবিদেতি প্রাণ। কোনও বাংলাদশেি একবার অস্ট্রলেয়িাতে গয়িে বপিদে পড়লে তার সাহায্য চয়েে পাননি এই ঘটনা বরিল। তনিি তার সাধ্যমতো চষ্টো করনে।

তার সহায়তায় অনকে স্টুডন্টে এখানে লখোপড়া শষে করা ছাড়াও বৃত্তি পাওয়ার সুযোগ পয়েছেনে। তনিি নজিওে জাহাঙ্গীরনগর বশ্বিবদ্যিালয়রে স্টুডন্টেদরে বৃত্তি দনে। তনিি সখোনকার প্রথম ব্যাচরে ভূগোলরে ছাত্র ছলিনে। এরপর মার্স্টাস করে পাড়ি জমান বদিশে। ে পরে সখোনে এমবএি করনে।

দশেে থাকা অবস্থায়ই তনিি কাজ করার সুযোগ পান অস্ট্রলেয়িানদরে সঙ্গ। ে সখোনে তনিি কাজ করছেনে মহলিাদরে জš§নয়িন্ত্রণ সংক্রান্ত বষিয়। ে এছাড়াও অস্ট্রলেয়িা থকেে মোরগরে বাচ্চা নয়িে সইে বাচ্চা দয়িে দশেি মুরগরি সঙ্গে ক্রস বডি করে মুরগি উৎপাদন করনে। প্রথমে তারা ওই জাতরে মুরগি থকেে বছরে ২০০-২২০টা ডমি পতে। পরে তা আস্তে আস্তে ওই ডমিরে সংখ্যা দাঁড়ায় ২৬০টতি।

ে এতে করে ওই সময়ে দশেে অস্ট্রলেয়িান জাতরে মুরগি হতো। পাশাপাশি তনিওি তার বন্ধুই প্রথম অস্ট্রলেয়িান গরুর সঙ্গে ক্রস করে বাংলাদশেরেও নতুন গরুও জš§ দনে। এইভাবইে তার কাজ করা। এরপর তনিি যখন অস্ট্রলেয়িাতে পাড়ি জমা এটা ১৯৭৭ সালরে ঘটনা। ওই সময়ে তার সঙ্গে বাংলাদশেে তার যে অস্ট্রলেয়িান বন্ধু কাজ করতো তনিি ১০ ডলার নয়িে ওই বন্ধুর বাসায় আসনে।

বমিানবন্দর থকেে কোন ট্রনেে বা বাসে যাবনে তা বুঝতে পারনেন। ি তাছাড়া ডলার কম থাকার জন্য একটি পরবিাররে কাছে বন্ধুর ঠকিানা দয়িে সাহায্য করার অনুরোধ করলে তারা তাকে সাহায্য করনে এবং বন্ধুর ঠকিানায় পৗেঁছে দনে। সখোনে গয়িে দখেনে ছুটরি দনি তাই বন্ধুর বাড়তিে নইে। আর বাড়তিে না থাকার কারণে কামরুল চৌধুরীকে ওই বাড়রি দরজার সামনইে বসে থাকতে হলো সারাদনি। রাত ১১টার সময়ে তার বন্ধু ফরিে আসনে।

এর আগে তার ক্ষুধা লাগার কারণে মাত্র ৬০ সন্টে দয়িে একটি রোল খান। পটেে ক্ষুধা থাকলওে খতেে পারনেন। ি কারণ তার ওই দশ ডলার শষে হয়ে গলেতেো তার সব শষে। এই কারণে অল্প খয়েইে অপক্ষো করতে থাকনে বন্ধুর জন্য। বন্ধু রাতে আসার পর তাকে ঘরে নয়িে যান।

দুজনে মলিে কোনও রকমে খাবার খয়েে ঘুমুতে যান। বন্ধুকে বলনে, আমি পড়তে এসছে। ি কন্তিু আমার কাছে দশ ডলার আছ। ে আমাকে একটা চাকরি জোগাড় করে দতিে হবে আগ। ে এরপর ও ফোন করলো একটি পট্রেোল পাম্পে আরও একটি জায়গায়।

দুই জায়াগাতইে চাকরি হয়ে গলে। আমি পররে রি পট্রেোল পাম্পরে দোকানে চাকরতিে যোগ দলিাম। সখোনে দুই সপ্তাহ কাজ করার পর ২০০ ডলার জমা হলো। দুইশ ডলার দয়িে সখোনে একটি গাড়ি কনিে ফলেলাম। এরপর আরও অনকে ঘটনা বলছলিনে কামরুল চৌধুরী।

তনিি বলনে, এরপর ক্লাসরে কারণে ওই চাকরটিাতে সমস্যা হচ্ছলি সময় নয়ি। ে তাই চাকরি পরর্বিতন করলাম। এরপর লখোপড়াও শষে করার চষ্টো করলাম। এক সময়ে সব চাকরি ছড়েে নজিইে ব্যবসা শুরু করলাম। আর ব্যবসা শুরু করার কারণে নজিকেে আরও অনকে ঘুছয়িে নতিে হলো।

আমার বাবারও প্রন্টিংি ব্যবসা ছলি। এই কারণে এই ব্যবসা আসার বুঝতে বা করতে কষ্ট হয়ন। ি আমি নজিইে চষ্টো করছেি কাজ করার জন্য। প্রথমে অল্প পুঁজি দয়িে ব্যবসা শুরু হলওে পরতো অনকে বশিাল হয়ে গছে। ে কখন যে এটা হয়ছেে বুঝতে পারনি।

ি আমি মনে করি এইভাবইে হয়ে যায়। এখনও আমি যখন নতুন কোনও ব্যবসা শুরু করি তখন মনে করি আমাকে এটাই করতে হব। ে লাভ ক্ষতরি বষিয়টি ববিচেনা করি এটা ঠকি। ব্যবসায় আমি লকেসান দতিে রাজি নই। তবে কোনও ব্যবসায় যে লোকসান হয়নি তা নয় দু একটাতে লোকসান হয়ছে।

ে অস্ট্রলেয়িাতে ব্যবসার সুযোগ সর্ম্পকে জানতে চাইলে তনিি বলনে, এখানে ভালো সুযোগ আছ। ে এখানে টাকা থাকলইে কবেল হবে না। এর সঙ্গে প্রয়োজন হচ্ছে সততা। এটা না থাকলে কোনভাবইে হবে না। আর সততা আছে বলইে এই র্পযন্ত আসতে পরেছে।

ি আর এটাই আমার সাফল্যওে মূল চাবি কাঠ। ি কাজ করার ইচ্ছে থাকলে ও কাজ করতে পারলে সফল হওয়া যাব। ে অস্ট্রলেয়িাতে নয়িম হচ্ছে কখনও এই চন্তিা করা যাবে না যে আমি এক টাকার জনিসি দুই টাকা বক্রিি করে দবে। নয়িমরে বাইরে যাওয়া যাবে না। তনিি বলনে, আমি বাংলাদশেরে সঙ্গওে ব্যবসা করছি এটা করতে গয়িে সবচয়েে বড় সমস্যা হচ্ছে এখানকার সরকারি দুএকটি ব্যাংক আছে যাদরে সঙ্গে লনেদনেে সমস্যা রয়ছে।

ে এর মূল কারণ হলো এখানে এমন হয় ব্যাংকরে এলসি খুলছে। ে কাগজও দয়িছে। ে সটো দখেে মাল ডলেভিারওি হয়ে গছে। ে মাল ডলেভিারি হওয়ার পরও টাকা দওেয়া হয়নি এমন ঘটনা ঘটছে। ে এমনকি এই বষিয়ে ব্যাংক চঠিি লখোর পরও বারবার কোনও উত্তর পাওয়া যায়ন।

ি এই ব্যাপারে আমাদরে বাংলাদশেরে গুডউইল অনকেখানি নষ্ট হয়ছে। ে এখন ঠকি করা হয়ছেে সরকারি ব্যাংকরে কোনও এলসি আসলে তা গ্রহণ করা হবে না। বশিষে করে উত্তরা ব্যাংকরে। এই ব্যাপারে তনিি আরও বলনে, আমি ভাবতে পারি না কমেন করে একটি ব্যাংক টাকা ছাড়া এলসি খুল। ে ব্যাংকরে সহযোগতিা না থাকলে তা সম্ভব হতো না যঃঃঢ়://িি.িধসধফবৎড়ৎঃযড়হববঃর.পড়স/পড়হঃবহঃ/২০১৩/১১/১৩/হবংি০৩২৩.যঃস


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.