আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আশুরার মুল কথা

আমি নিজের মৃত্যুকে বরণ করে নেয়া অজেয় একিলিস নই । আমি নিজের প্রেমে আত্মহারা নার্কিসাস নই । আমি অসম্ভবকে সম্ভব করা মহাবীর ... হেরাক্লেস নই। আমি পৃথিবীর ভার ধরে থাকা এটলাস নই । দুর্গম পথ পারি দিয়ে আসা ইথাকার রাজা ওডিসিউস নই ।

আমি সৌন্দর্যের প্রতিরূপ আদোনিস ন

আজ পবিত্র আশুরা আশুরা হলো মুহররম মাসের দশম দিবস। আরবীতে "আশারা" মানে ১০ আর সে কারণে দিনটিকে "আশুরা" বলে অভিহিত করা হয়। মুহররমের ৯ তারিখের দিবাগত রাত থেকে আশুরা উদযাপন শুরু হয়। ইসলামের ইতিহাসে এই দিনটি বিশেষ তাৎপর্যমণ্ডিত কারণ বহু ঐতিহাসিক ঘটনা এই তারিখে সংঘটিত হয়েছিল। শিয়া সম্প্রদায়ের কাছে এ দিনটি বিশেষ মর্যাদাময় কেননা এই দিনে মুহাম্মদ (সা -এর দৌহিত্র ইমাম হুসাইন (রা ইসলামের তৎকালীন শাসনকর্তা এজিদের সৈন্য বাহিনীর হাতে কারবালার প্রান্তরে শহীদ হয়েছিলেন।

আশুরার ঐতিহাসিক গুরুত্ব জনপ্রিয় ধারণায় আশুরা মূলত একটি শোকাবহ দিন কেননা এদিন মুহাম্মদ (সা-এর দৌহিত্র হুসাইন (রা নির্মমভাবে শহীদ হয়েছিলেন। কিন্তু ইসলামের ইতিহাস অনুসারে এই দিনটি বিভিন্ন কারণে গুরুত্বপূর্ণ। এই দিনটি একটি পবিত্র দিন কেননা ১০ মুহররম তারিখে আসমান ও যমিন সৃষ্টি করা হয়েছিল। এই দিনে পৃথিবীর প্রথম মানুষ হযরত আদম (আ কে সৃষ্টি করা হয়েছিল। এই দিনে আল্লাহ নবীদেরকে স্ব স্ব শত্রুর হাত থেকে আশ্রয় প্রদান করেছেন।

এই দিন নবী মুসা (আ-এর শত্রুফেরাউনকে নীল নদে ডুবিয়ে দেয়া হয়। নূহ (আ-এর কিস্তি ঝড়ের কবল হতে রক্ষা পেয়েছিলো এবং তিনি জুডি পর্বতশৃংগে নোঙ্গর ফেলেছিলেন। এই দিনে দাউদ (আ-এর তাওবা কবুল হয়েছিলো, নমরূদের অগ্নিকুণ্ড থেকে ইব্রাহীম (আ উদ্ধার পেয়েছিলেন ; আইয়ুব (আ দূরারোগ্য ব্যাধি থেকে মুক্ত ও সুস্থতা ালাভ করেছিলেন ; এদিনে আল্লাহ তা'আলা ঈসা (আ- কে উর্দ্ধাকাশে উঠিয়ে নিয়েছেন। হাসিদে বর্ণিত আছে যে এই তারিখেই কেয়ামত সংঘটিত হবে। ইমাম হুসাইন (রা-এর শাহাদাৎ হিজরী ৬০ সনে এজিদ বিন মুয়াবিয়া পিতার মৃত্যুর পর নিজেকে মুসলিম বিশ্বের খলিফা হিসাবে ঘোষণা করে।

সে প্রকৃত মুসলমান ছিল না,সে ছিল মোনাফেক। সে এমনই পথভ্রষ্ট ছিল যে সে মদ্যপানকে বৈধ ঘোষণা করেছিল। অধিকন্তু সে একই সঙ্গে দুই সহোদরাকে বিয়ে করাকেও বৈধ ঘোষণা করেছিল। শাসক হিসাবে সে ছিল স্বৈরাচারী ও অত্যাচারী। ইমাম হুসাইন (রাএজিদের আনুগত্য করতে অস্বীকৃত হন এবং ইসলামের সংস্কারের লক্ষ্যে মদীনা ছেড়ে মক্কা চলে আসেন।

উল্লেখযোগ্য যে, উমাইয়া শাসনামলে ইসলাম পথভ্রষ্ট হয়ে পড়েছিল। মক্কা থেকে তিনি কুফার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। শেষ পর্যন্ত তিনি কারবালার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। এ সময় উমর ইবনে সাদ আবি ওক্কাসের নেতৃত্বে চার হাজার সৈন্য কারবালায় প্রবেশ করে। কয়েক ঘণ্টা পর শিমার ইবনে জিলজুশান মুরাদির নেতৃত্বে আরো বহু নতুন সৈন্য এসে তার সাথে যোগ দেয়৷ কারবালায় দুই পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নেয়।

নানা নাটকীয় ঘটনার মধ্য দিয়ে যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। এই অসম যুদ্ধে ইমাম হুসাইন (রা এবং তাঁর ৭২ জন সঙ্গী শাহাদৎ বরণ করেন। শিমার ইবনে জিলজুশান মুরাদি নিজে কণ্ঠদেশে ছুরি চালিয়ে ইমাম হুসাইন (রা হত্যা করে। সেদিন ছিল হিজরী ৬১ সনের ১০ মুহররম। আশুরা উদযাপনের রীতি ইহুদিরা আশুরা উপলক্ষে মুহররম মাসের ১০ তারিখে রোজা রাখে।

শিয়া সম্প্রদায় মর্সিয়া ও মাতমের মাধ্যমে এই দিনটি উদযাপন করে। আশুরা উপলক্ষে ৯ এবং ১০ মুহররম তারিখে অথবা ১০ এবং ১১ রোজা মুহররম তারিখে রাখা মুলমানদের জন্য সুন্নাত। এছাড়া মুসলমানরা এদিন উত্তম আহারের জন্য চেষ্টা করে থাকে। সোর্সঃউইকিপিডিয়া

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.