আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফিলিপাইনে ঘূর্ণিঝড়ে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে

বৃহস্পতিবার ঘূর্ণিঝড় হাইয়ানে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ লেইতি প্রদেশের প্রধান শহর ট্যাকলোবান নগর কর্তৃপক্ষ নিহতের সংখ্যা ৪ হাজার বলে জানিয়েছে। মঙ্গলবার দেশটির প্রেসিডেন্ট একুইনো নিহতের সংখ্যা ২ থেকে আড়াই হাজার হবে বলে দাবী করেছিলেন। সরকারি হিসাবেও এমন সংখ্যাই দেখানো হচ্ছিল। কিন্তু আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষরা এক ট্যাকলোবান শহরেই অন্তত ১০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে আসছিলেন। কিন্তু এক দিন পেরোতেই বৃহস্পতিবার ট্যালোবান নগর কর্তৃপক্ষ সিটি হলের এক নোটিশ বোর্ডে মৃতের সংখ্যা ৪ হাজার বলে উল্লেখ করে।

ওই দিন স্থানীয় কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে নিহতদের মৃতদেহগুলো গণকবরে কবর দেয়ার সময় সংখ্যাটি হিসাব করা হয়। ট্যাকলোবানের মেয়র আলফ্রেড রোমুয়ালদেজ বলেছেন, কিছু লোক সম্ভবত সুনামির মতো ধেয়ে আসা জলোচ্ছ্বাসের সঙ্গে সাগরে ভেসে গেছে। ট্যাকলোবানের কাছাকাছি একটি জনবসতিতে ১০ থেকে ১২ হাজার মানুষ বসবাস করতো, সেখানে এখন কেউ নেই বলে জানিয়েছেন তিনি। সিটি হলের ওই নোটিশই সরকারি কর্তৃপক্ষের প্রকাশ করা প্রথম তালিকা যার মাধ্যমে দেশটির প্রেসিডেন্টের ঘোষিত মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেল। এর আগে ১০ হাজার মৃতের সংখ্যাকে “আবেগিক বিকার” বলে উল্লেখ করেছিলেন একুইনো।

গণমাধ্যমকে এই সংখ্যা কথা বলা স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা এলমার সোরিয়া’কে বৃহস্পতিবার তার পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। শুক্রবার পর্যন্ত ফিলিপাইনের সরকারি হিসেবে সারাদেশে ২ হাজার ৩শ’ ৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করা হয়েছে। সরকারি হিসাব ও ট্যাকলোবান নগর কর্তৃপক্ষের হিসাবের গড়মিলে তৈরি হওয়া বিভ্রান্তির মধ্যে জাতিসংঘ সরকারি হিসাবের উল্লেখ করে সব মিলিয়ে নিহতের সর্বশেষ সংখ্যা মোট ৪ হাজার ৪শ’ ৫৭ জন বলে নির্ধারণ করেছে। ত্রাণ তৎপরতা নিয়ে ঘূর্ণিঝড় দুর্গতদের মধ্যে অসন্তোষ ধূমায়িত হচ্ছে। এদের কেউ কেউ বেপরোয়া হয়ে লুটপাটে জড়িয়ে পড়ছে।

এ রকম এক হাঙ্গামার সময় মঙ্গলাবার একটি সরকারি খাদ্য গুদামের দেয়াল ধসে ৮ জন নিহত হয়। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর ভেঙে পড়াকে ত্রাণ তৎপরতার ধীর গতির কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। পৌর কর্মীদের অনেকই ঘূণিঝড়ের আঘাতে নিহত হয়েছেন বা নিখোঁজ রয়েছেন। তাই সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ধ্বংসস্তুপের নীচে চাপা পড়া রাস্তা পরিষ্কার করা যাচ্ছে না, উদ্ধারকারী গাড়িগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানীর ব্যবস্থা করা যাচ্ছে না, ফলে চারদিকে অরাজকতা বিরাজ করছে। ঘূর্ণিঝড়ের এই ক্ষয়ক্ষতি ফিলিপাইনের জন্য অচিন্তনীয় বলে বর্ণণা করেছেন বিদেশি ত্রাণ কর্মীরা।


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.