আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রচলিত গণতন্ত্র ও এর সীমাবদ্ধতা

আহমাদ-২০০৫

বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে যে গণতান্ত্রিক সিস্টেম চলছে তা এই গণতন্ত্রের বিচারেও এই তত্বের সাথে সম্পূর্ন রকমের ধোকাবাঁজি। প্রচলিত গণতান্ত্রিক সিস্টেমে জনগন শুধুমাত্র প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী কিংবা দল ছাড়া আর কোনো কিছু নির্ধারন বা নির্বাচনে তার অধিকার বা ক্ষমতার প্রয়োগ করতে পারে না। আর তাই রাজনীতিবিদেরও জনগনের মাথার উপর খুব সহজে কাঠাল ভেঙ্গে খেতে পারে। বাংলাদেশের রাজনীতিবিদেরা শয়তানি বুদ্ধিতে খুব পটু বলে প্রচলিত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার এই সিমাবদ্ধতাগুলো খুব সহজেই খুজে বের করে একে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করতে পেরেছেন, যা হয়তো উন্নত বিশ্বের অনেক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের রাজনীতিবিদেরা এখনও পেরে উঠেনি তবে অশান্তি তাদের এখানেও ধীরে ধীরে দেখা দিচ্ছে, আশাকরা যাচ্ছে খুব শীঘ্রই এই তন্ত্রী ধসে পরবে। আমি জানি উপরের কথাগুলো পড়ে আপনারা এখনও তেমন কিছুই বুঝতে পারেন নি।

তাই এখন কিছু মাধ্যমে উদাহরণ দিয়ে এর ব্যাখ্যা করছি। ১. রাজতন্ত্র বা একনায়ক তন্ত্র যেমন প্রতিষ্ঠিত ছিল রাজা বা নায়কের উপর তার জনগনের বিশ্বাসের উপর। কিন্তু যখন কোনো রাজা/নায়ক/নেতা তার অধিনস্থ সেই জনগনের বিশ্বাস ভঙ্গ করতেন তখনই অশান্তি দেখা দিতে। যেহেতু পদ গুলা ছিল এক ব্যাক্তির জন্যই নির্দিষ্ট তাই জনগন চাইলেই খুব সহজে সেই রাজা/নায়ক/নেতাকে অপসারন করতে পারত না। প্রয়োজন হতো বিপ্লব কিংবা স্বসস্র যুদ্ধের, প্রানহানী ঘঠতো অনেক।

আর একসময় এ অশান্তি থেকে বিরেয়ে আশার জন্য একটা শান্তিপূর্ন সামাধান বের হলো, যা হলো জনগনের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হবে তাদে বিশ্বাসেরর সেই আস্তাভাজন প্রতিনিধে, তাদে নেতার পরির্বতনে অপাত দৃষ্টিতে বিল্পব কিংবা স্বসস্র যুদ্ধের প্রয়োজনীয়তা বিলুপ্ত হলেও। যে জন্যই এই নেত্রিত্তের পরির্বত প্রয়োজন ছিল তার কোনো পরিবর্তন হয়নি । অর্থাৎ জনগনকে আবারও সেই নেতার উপর আস্থা বা বিশ্বাস রেকে চলতে হয় একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ( ৫ বছর)। . এই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সেই নেতা যদি জনগনের সেই বিশ্বাস ভঙ্গ করে তখন তাকে সেই আগেকার পদ্ধতি বিল্পব ও স্বসস্র যুদ্ধের মাধ্যম ছাড়া পরিবর্তন ঘটানো যায় না, নির্দিষ্ট সেই সময় পেরূনোর আগে। এবং দেখাও যাচ্ছে যে ভোটিং পদ্ধতির এই গণতন্ত্রের মাধ্যমে নির্বাচিত এই নেতাও প্রায়ই জনগনের সেই অস্থা ও বিশ্বাস ভঙ্গ করে কিন্তু জনগনের করার কিছুই থাকে নির্দিষ্ট সেই সময় পেরূনো না পর্যন্ত।

অতএব দেখাযাচ্ছে যে, আমাদের এমন একটা সিস্টেমের প্রয়োগন হয়ে পড়েছে যেখানে নেতা/রাষ্টপ্রধান বা দল চাইলেই যেন জনগনের সেই আস্থা ভঙ্গ করতে না পারে। ২. বার্তমান প্রচলিত গণতান্ত্রিক সিস্টের মাধ্যমে, আপনি কি পরবেন: ----- ক) রাষ্ট্রের অর্থনীতি কি হবে , সেই ব্যপারে আপনার/জনগনের সরসরি মতাত প্রতিষ্ঠা করতে? ------খ) রাষ্ট্র ভারতের সাথে তিস্তা চুক্তি করবে না করবে না, সেই ব্যপারে আপনার/জনগনের সরসরি মতাত প্রতিষ্ঠা করতে? ----- গ) আপনি কি পারবেন রাষ্ট্রিয় সম্পদ গ্যাসের মূল্য, বিদ্যুতের বিল, পানির বিল কত হবে সেই বিষয় গুলা নির্ধারন করতে আপনার মতামত দিতে ? ----- ঘ) আপনিকি পারবেন সরকার কি পরিমান রাজস্ব আদায় করবে তা নির্ধরন করে দিতে? ----- ঙ) আপনি কি পারবেন রামপাল বিদুৎ কেন্দ্র হবে কি হবে না সেই ব্যপারে আপনার মতামত দিতে। ------ চ) আপনি কি পেরেছেন, কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ ব্যবস্থার বিরোধীতা করেতে ?? ----- ছ) আপনি কি পেরেছেন, পদ্মাসেতু নিজেদের টাকায় হবে না, বিশ্ব ব্যাংকের টাকায় হবে তা নির্ধারন করে দিতে ? -----ঙ) আপনি কি পেরেছেন , সাগর রুনী, শেয়ার লুটেরাদের বিচার কার্যক্রম শুরুকারাতে ?? নাহ, এই কোনো কিছুতেই আপনার সরাসরি মতামত দেওয়ার কোনো পদ্ধতি প্রচলিত গণতান্ত্রিক সিস্টেমের মধ্যে নাই, এসব ক্ষেত্রে শত বছরের আগের সেই পুরোনো রাজতান্ত্রিক পদ্ধতির মতই রাষ্টনেতার উপর আস্থা করে থাকতে হয়। তারা যা স্বীদ্ধান্ত নেবে ভালো কি মন্দ তাই আপনাদের মেনে নিতে হবে। কিন্তু গণতন্ত্র মানে তো জনগনের তন্ত্র জনগনের ইচ্ছার প্রতিফল ঘটবে সরাসরি কিন্তু কোথায় , তা কি হচ্ছে, জনগনকে সেই আস্থা ও বিশ্বাসের মধ্যেই বসবাস করতে হচ্ছে।

অতএব দেখাযাচ্ছে, প্রচলিত গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে জনগনের রাষ্ট্রী গুরুত্বপূর্ন বিষয় গুলোতেও সরাসরি মতমত দেওয়ার কোনো অধিকার বা পদ্ধতি নেই। তাই ‌একে পরিপূর্ন গনতন্ত্র বালও যায় না। এজন্য আমাদের এমন কোনো ব্যবস্থার উদ্ভাব করতে হবে যাতে করে, রাষ্ট্রের প্রতিটাকাজেই জনগনের মতামত দেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়, তাকে আর বিশ্বাস ভঙ্গকারি প্রতিনিধিদের উপর আস্থা রেখে বাস করতে না হয়। প্রচলিত গণতন্ত্রের আরও অনেক ড্রোবেকস আছে, যা আমি ধীরে ধীরে তুলে ধরবো আপনাদের কাছে আমার পরর্বতি লেখাগুলোর মাধ্যমে। আর সমস্যা ও স্বীমাবদ্ধতা গুলো যখন বুঝতে পারবেন এর সামাধান গুলোও আপনারাই বার করে নিতে পারবেন।

তার পরেও আমিও চেষ্টা করবো আমার চিন্তাভাবনার এর সমাধান গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করতে। সঙ্গে থাকুন। ধন্যবাদ মারুফ আহমাদ পূর্বে প্রকাশ: Click This Link

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।