আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সবগুলো আসন চায় বিজেপি, মানতে নারাজ বিএনপি

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা না হলেও ভোলার চারটি আসনে প্রধান দুই জোটের সম্ভাব্য প্রার্থীরা প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। নির্বাচন নিয়ে ১৪-দলীয় জোটের মধ্যে তেমন বিরোধ নেই।
তবে ভোলার চারটি আসনেই প্রার্থী দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে ১৮-দলীয় জোটের শরিক বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি)। কিন্তু বিজেপিকে মেনে নেবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে বিএনপি।
ভোলার চারটি আসনেই ১৪ দলের প্রধান শরিক আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী এলাকায় এসে গণসংযোগ করছেন।


জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুল কাদের মোল্লা জানান, দলে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব থাকলেও কেন্দ্রনির্ধারিত প্রার্থীর পক্ষেই তাঁরা কাজ করবেন।
বিজেপির চেয়ারম্যান ও ভোলা-১ আসনের সাংসদ আন্দালিব রহমান পার্থ বলেন, ‘২০০১ সালের নির্বাচনে আমাদের দলের চারজন সাংসদ ছিলেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে দুটি আসনে নির্বাচন করে একটিতে জয়ী হয়েছি। এবার নির্বাচন হলে আমরা ১০টি আসন চাইব। এর মধ্যে ভোলার চারটি আসন তো রয়েছেই।

মনোনয়ন না পেলেও ১৮ দলের সিদ্ধান্ত মেনে নেব। ’
ভোলা-১ (সদর উপজেলা): ২০০৮ সালে এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে হারিয়ে জয়ী হয়েছিলেন আন্দালিব রহমান। এবারও আন্দালিব ১৮-দলীয় জোট থেকে মনোনয়ন চাইবেন। জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম নবী আলমগীরও এই আসন থেকে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
গোলাম নবী প্রথম আলোকে বলেন, ‘ভোলায় বিএনপিতে কোনো বিরোধ নেই।

জনগণ আমাদের প্রত্যাশা করে, এ জন্যই মনোনয়ন পাওয়ার দাবি জানাচ্ছি। ’
ওই আসনে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুল কাদের মোল্লা ও যুবলীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মাহবুবুর রহমান এবং আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন মনোনয়নপত্র কিনেছেন। গোলাম নবী, মাহবুবুর রহমান, ভোলা উপজেলা জাতীয় পার্টির (এরশাদ) আজিম গোলাদার বিভিন্ন স্থানে পোস্টার ও ব্যানার লাগিয়েছেন।
ভোলা-২ (দৌলতখান-বোরহানউদ্দিন): ২০০৮ সালের নির্বাচনে তোফায়েল আহমেদের কাছে হেরেছিলেন বিজেপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আশিকুর রহমান। এই বছর আইনি জটিলতায় সাবেক সাংসদ ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাফিজ ইব্রাহীম নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি।


আশিকুর রহমান বলেন, ‘১৮ দলের মনোনয়ন পেলে আমার নির্বাচন করতে কোনো বাধা নেই। ’ হাফিজ ইব্রাহীম বলেন, ‘আমি প্রার্থী হতে পারি বা না পারি, বিএনপির বাইরের কাউকে ১৮ দলের প্রার্থী হতে দেওয়া হবে না। ’
ওই আসনে ১৪ দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী ঢাকা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সম্পাদক আবুল কালাম আযাদ হাওলাদার প্রচারণা চালাচ্ছেন। ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য আবদুল কাদের খান, দৌলতখান পৌরসভার মেয়র আলী আযম মুকুল মনোনয়নপত্র কিনেছেন।
ভোলা-৩ (লালমোহন-তজুমদ্দিন): এখানে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী দুজন।

তাঁরা হলেন তজুমদ্দিন উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জসীম উদ্দিন সাংসদ হন। পরে আইনগত কারণে তাঁর সদস্যপদ বাতিল হলে উপনির্বাচনে যুবলীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন সাংসদ হাফিজ উদ্দিনকে হারিয়ে নির্বাচিত হন।
এই আসনে ১৮-দলীয় জোটের শরিক বিজেপির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য রেবা রহমান প্রার্থী হতে পারেন। আর ১৪ দল থেকে বর্তমান সাংসদ নুরুন্নবী চৌধুরী ছাড়াও মেজর (অব.) জসিম উদ্দিনসহ আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতা মনোনয়নপত্র কিনেছেন।


ভোলা-৪ (চরফ্যাশন-মনপুরা): এই আসনে ১৮ দল থেকে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন আলম ও বিজেপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক ওয়াশিকুর রহমান এবং ১৪ দল থেকে বর্তমান সাংসদ ও চরফ্যাশন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল্যাহ আল ইসলাম জ্যাকব ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা কুতুব মফিজুল ইসলাম মনোনয়নপ্রত্যাশী।
চরফ্যাশন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন মালতিয়া জানান, ভোলা-৪ আসনে বিজেপিকে চরফ্যাশন-মনপুরাবাসী মেনে নেবে না।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফারুক মিয়া জানান, ভোলা বিএনপির ঘাঁটি। এখানে ১৮-দলীয় জোট থেকে বিএনপির বাইরের কেউ যাতে মনোনয়ন না পান, সে জন্য তাঁরা আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন। এ ব্যাপারে দলীয় চেয়ারপারসনকে তাঁরা অবহিত করেছেন।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.