আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অনিশ্চিত গন্তব্যে রাজনীতি

যা লিখবো এবং বলবো সব সত্যি লিখবো এবং বলবো.। এই জন্য ব্লকে আসা.।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির অবস্থান এখনো বিপরীতমুখী। আওয়ামীলীগ আছে নির্বাচন নিয়ে আর বিএনপি যাচ্ছে আন্দোলনে। ইতোমধ্যেই নির্দিষ্ট সময়ে নির্বাচন করতে আওয়ামী লীগ পুরো প্রস্ত্ততি নিয়ে মাঠে নেমে পড়েছে৷ অপরদিকে বিএনপি তত্ত্ববধায়ক ইসূতে রাজপথে সরগরম।

বৃহস্পতিবার গঠন করা হয়েছে নির্বাচনকালীন সরকার৷ কিন্তু সেই সরকারে অংশ নেয়নি প্রধান বিরোধী দল বিএনপি৷ তবে আওয়ামী লীগ এর চেষ্টা সবদলকে নিয়ে একটি নির্বাচনমুখী পরিবেশ তৈরি করা৷ এই অবস্থায় আগামী দু-তিন দিনের মধ্যেই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন৷ কিন্তু বিএনপি তত্ত্ববধায়ক সরকারের আন্দোলন এর অংশ হিসেবে আগামী সোমবার থেকে টানা হরতাল আর অবরোধের পরিকল্পনাও রয়েছে বলে জানা যায়। বিশ্লেষকদের কথায়, আওয়ামী লীগ তার মিত্রদের নিয়ে যে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করেছে তা দিয়ে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করা সম্ভব হবে না৷ কারণ, প্রধান বিরোধী দল ছাড়া নির্বাচন হলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না কখনোই৷ এছাড়া, আওয়ামী লীগের সঙ্গে নির্বাচনকালীন সরকারে যাঁরা আছেন তাঁদের সবাই বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোটের অংশীদার হয়েই নির্বাচন করেছিল৷ এ কারণে নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করতে সরকার ১৮ দলীয় জোটে ভেঙ্গে সেখান থেকে দু-একটি দলকে নির্বাচনে আনার চেষ্টা করছে৷ এমনকি, নির্বাচনকালীন সরকারে তাঁদের মন্ত্রীত্ব বা মন্ত্রী পদমর্যাদায় সরকারের উপদেষ্টা করার চেষ্টা চলছে৷ বিশেষ করে কর্ণেল (অব.) অলি আহমেদের এলডিপি ও সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বিকল্পধারাকে সরকারের সঙ্গে যুক্ত করার জন্য জোর চেষ্টা চলছে৷ দেশের শীর্ষ একটি অনলাইন থেকে এমন আভাস পাওয়া যায়। তবে শেষ পর্যন্ত তাঁরা আসেন কিনা, সেটাই দেখার৷ প্রসঙ্গত, এই দুটি দল বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটে আছে৷ বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক উল হক বলেছেন, জাতীয় সংসদের শেষ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের পর সমঝোতার আর কোনো সুযোগ রইল না৷ এখন আর আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে কোনোভাবেই সমঝোতায় পৌঁছানো যাবে না৷ সংসদ অধিবেশন শেষ হয়ে যাওয়ায় দুই জোটের মধ্যে আর আলোচনারও সুযোগ নেই৷ তাঁর মতে, বিএনপির সামনে এখন মাত্র দুটি পথ খোলা রয়েছে৷ এর একটি, যা কিছু হয়েছে তার সব কিছু মেনে নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেয়া৷ অপরটি হলো, আন্দোলনের মাধ্যমে নির্বাচন স্থগিত করে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতায় আসতে সরকারকে বাধ্য করা৷ কিন্তু অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে যে, প্রথম পথে বিএনপি যাবে না বা যাওয়ার সুযোগও নেই৷ তাই তারা এখন আন্দোলনের মাধ্যমেই দাবি আদায়ের চেষ্টা করবে৷ বিরোধী দলীয় চীফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, নির্বাচনকালীন সরকারে বিষয়ে রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্তে আশাহত হয়েছে বিরোধী দল বিএনপি৷ সংসদে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, রাষ্ট্রপতি তাঁকে নির্বাচনকালীন সরকার পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছেন৷ রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বিরোধী দলীয় নেতার সাক্ষাতের পর এ রকম সিদ্ধান্ত হয়ত আশা করা যায় না৷ তাঁর কথায় আমরা আবারো রাষ্ট্রপতিকে জানিয়েছি সময় এখনও শেষ হয়নি৷ আপনি সমঝোতার উদ্যোগ নিন৷ আমরা আপনার সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি। আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নাসিম বলেন, বিএনপি না এলেও নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে। কোনএকটা রাজনৈতিক দলে জন্য নির্বাচন বন্ধ রাখলে গনতন্ত্র ধ্বংস হয়ে যাবে।

তাই আওয়ামীলীগ নির্বাচন করবে। সেখানে বিএনপি না এল কিছু করারা নাই। সরাষ্ট্রমন্ত্রীর মহি উদ্দিন খান আলমগীর বলেন, কোন দল নির্বাচনে না এলেও যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর এই নির্বাচনে যারা বাধা দিবে তাদেরকে কঠোর হস্তে দমন করবে আইন শৃংখলা বাহিনী। কিন্তু এতো কিছুর মাঝেও শনিবার রাতে একটু আশার আলো দেখা গেলো রাজনৈতিক অঙ্গনে।

আর সেটা হলো আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এর মাঝে বৈঠক। অপরদিকে শুনা যাচ্ছে গত ১৬ নভেম্বর (এখনো নিশ্চিত নয়) লন্ডনে বিএনপির সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের মধ্যে নাকি গোপণীয় বৈঠক হয়েছে। তবে এর মধ্যে কি রাজনীতির অনিশ্চিত গন্তব্যে সঠিক পথ ফিরে পাবে...?

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।