আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জর্জ বেস্ট: ফুটবলে সেরা, কথাতেও!

উত্তর আয়ারল্যান্ডের কর্দমাক্ত মাঠে এক কিশোর ফুটবলারকে ফুল ফোটাতে দেখে বিস্ময়ে হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন বব বিশপ। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের এই স্কাউট (খুদে প্রতিভা খুঁজে বার করেন যাঁরা) সেই কিশোরটির খেলা দেখে এতটাই মুগ্ধ হয়েছিলেন, সঙ্গে সঙ্গে ক্লাবের সদর দপ্তরে টেলিগ্রাম পাঠান, ‘আই থিংক আই হ্যাভ ফাউন্ড আ জিনিয়াস। ’
সেই ‘জিনিয়াস’টি এরপর সত্যি সত্যিই ফুল ফুটিয়েছেন ক্লাব ফুটবলে। জর্জ বেস্টকে বলা হয় কখনোই বিশ্বকাপ না খেলা সর্বকালের সেরা ফুটবলার। শুধু বিশ্বকাপ নয়, ফুটবলীয় শক্তির বিচারে খর্বশক্তির দল উত্তর আয়ারল্যান্ডে জন্মেছিলেন বলে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপেও খেলা হয়নি কখনো।


১৭ বছর বয়সে ইউনাইটেডের হয়ে অভিষেক। টানা ১১ বছর খেলেছেন রেড ডেভিলদের হয়ে। ১৯৬৮ সালে প্রথম ইউরোপিয়ান কাপ (এখনকার চ্যাম্পিয়নস লিগ) জেতা ইউনাইটেড দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন। ওই মৌসুমে ক্লাবের হয়ে ৫৩ ম্যাচে করেছিলেন ৩২ গোল। মনে রাখবেন, বেস্ট কিন্তু স্ট্রাইকার ছিলেন না।

মূলত ছিলেন অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার। পরের চার মৌসুমে আরও ৯৪ গোল।
খ্যাতির হাত ধরে আসে অর্থ, আসে অন্ধকার পথে পা বাড়ানোর হাতছানি। নারী, মদ আর জুয়ার নেশায় নিজেকে শেষ করে ফেলেন। না হলে হয়তো তাঁর নাম উচ্চারিত হতো ফুটবলের সর্বকালের সেরাদের সঙ্গে একই কাতারে।

সেই প্রতিশ্রুতি ছিলই। বেস্ট কতটা অপ্রতিরোধ্য ছিলেন সেটা বোঝা যাবে একবার এক ম্যাচে তাঁকে আটকানোর দায়িত্ব পাওয়া এক ডিফেন্ডারের কথায়। রয় ফেয়ারফ্যাক্স নামের সেই খেলোয়াড়টি বলেছিলেন, ‘আমি একবারই তাঁর সবচেয়ে কাছাকাছি যেতে পেরেছিলাম, যখন ম্যাচ শেষে আমরা হাত মেলাচ্ছিলাম। ’
বেস্ট ফুটবল মাঠে সেরা ছিলেন, ছিলেন মাঠের বাইরের সেরাও। কথায় তাঁর জুড়ি মেলা ভার।

ছিল অসাধারণ রসবোধ। গতকাল ছিল তাঁর অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী। বেস্টকে স্মরণ করার সবচেয়ে ভালো উপায় সম্ভবত তাঁর কিছু অমর বাণীই আবার স্মরণ করা!
আসুন বেস্টের এমনই কয়েকটি বাণীই জেনে নিই—
* মদ খাওয়া একবার বাদ দিয়ে দিয়েছিলাম, অবশ্য তখন আমি ছিলাম ঘুমের মধ্যে।
* একবার বলেছিলাম, গাজ্জার (পল গ্যাসকোয়েন) আইকিউ ওর শার্টের নম্বরের চেয়ে কম। এই শুনে ও আমাকে বলল, ‘আইকিউ জিনিসটা আবার কী?’

* ১৯৬৯ সালে আমি একবার নারী ও অ্যালকোহল ছেড়ে দিয়েছিলাম।

সেটা ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে বাজে ২০ মিনিট।

* মদ, নারী এবং দামি গাড়ির পেছনে আমি অনেক টাকা খরচ করেছি। এ ছাড়া আমার জীবনের বাকি সব কিছুই ছিল অপচয়।

* আমি কালো হয়ে জন্মালে কেউ পেলের নাম জানতেই পেত না।

* আমি অনেক কিছুই মিস করি—মিস কানাডা, মিস যুক্তরাজ্য, মিস ওয়ার্ল্ড।

শুধু ক্রিকেটের সর্বশেষ স্কোর জানতে C লিখে এসএমএস করুন 2221 নম্বরে। যেকোনো খেলার আপডেট পেতে S লিখে এসএমএস করুন 2221 নম্বরে।

 

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.