আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফাটল ধরা চৈতি ভবন অবৈধভাবে চালুর পাঁয়তারা

শিল্পাঞ্চল টঙ্গীর দাঁড়াইলে ফাটল ধরা চৈতি ভবন অবৈধভাবে চালুর চেষ্টা করছে মালিক পক্ষ। ওই ভবনে দুটি পোশাক কারখানা রয়েছে।

কারখানা দুটির শ্রমিকদের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটিতে তোলার পাঁয়তারা চলছে। খবর বাংলানিউজ। কারখানার মালিকপক্ষ বলছে, তারা গাজীপুর জেলা প্রশাসনের অনুমোদন পেয়েছে।

কিন্তু জেলা প্রশাসক মো. নুরুল ইসলাম বলেছেন, তিনি কোনো অনুমোদন দেননি। গতকাল জেলা প্রশাসক জানান, চৈতি ভবন চালু করার কোনো অনুমতি দেওয়া হয়নি। অনুমোদন রয়েছে বলে মালিক পক্ষ কারখানা দুটি চালু করার চেষ্টা করছে-মর্মে বক্তব্যের ব্যাপারে তিনি বলেন, তারা অনুমোদনের কোনো কাগজ দেখাতে পারবে না। একটি সূত্র জানায়, দুটি গার্মেন্টে কারখানার মালিক পক্ষ জেলা প্রশাসকের ফিটনেস সার্টিফিকেটের কথা বলে এবং বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে শ্রমিকদের কাজে যোগদান করানোর চেষ্টা করছেন। গত ২৩ নভেম্বর সকাল ১০টার দিকে সাত তলা বিশিষ্ট চৈতি কমপ্লেঙ্ েফাটল দেখা দেয়।

ফলে ৬ষ্ঠ ও ৭ম তলার ফেম সোয়েটার ও এস এস সোয়েটার কারখানা দুটি বন্ধ করে ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে জেলা প্রশাসন। তবে প্রথম থেকেই এ বিষয়ে কারখানা দুটির কোনো কর্মকর্তা সাংবাদিকদের কাছে মুখ খুলছেন না। এদিকে ফাটল ধরা চৈতি ভবনের আশপাশের অধিবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। যে কোনো সময় ভবনটি ভেঙে পড়তে পারে আশঙ্কায় ভবনের কাছাকাছি যাদের অবস্থান তারা নিরাপদ স্থানে সরে যেতে শুরু করেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রানা প্লাজার পর পোশাক সেক্টরে দফায় দফায় ফাটল আতঙ্ক ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছে।

চৈতি ভবনে ফাটল দেখা দেওয়ার পর ভবনটির বিষয়ে জরুরিভিত্তিতে ব্যবস্থা না নেওয়ায় জনমনে হতাশা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। এ ব্যাপারে টঙ্গী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম জানান, ভবনটি চালুর বিষয় জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানেন। তবে গতকাল সকাল পর্যন্ত ভবনটি বন্ধ ছিল বলে তিনি জানান। ২৩ নভেম্বর সকালে ৭তলা ভবনে দুটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা কাজে যোগ দেওয়ার পর সকাল ১০টার দিকে ফাটল দেখা যায়। এ সময় আতঙ্কে শ্রমিকরা দ্রুত নিচে নেমে আসতে থাকেন।

তাড়াহুড়ো করে নামতে গিয়ে পাঁচ শ্রমিক আহত হন। এরপর জেলা প্রশাসন ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে। এদিকে চৈতি ভবনকে ঘিরে তৈরি হচ্ছে শ্রমিক অসন্তোষ। শ্রমিকদের অভিযোগ, কোনো আইনগত ব্যবস্থা না নিয়ে বরং মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে ভবনটি আবার চালু করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

 

 



অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।